পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] গিয়াছেন। জব্বলপুরের স্বনামখ্যাত উকীল ৬ শ্ৰীশচন্দ্র cछोधूबौ भशं*ब्र (पैशंद्र विदब्र१ १८व्र cग१ श्ब्रांप्छ्) সিংহ মহাশয়ের শ্যালিকা-পুত্র ছিলেন এবং “সিংহ মহাশয়ের বাসের কারণেই ঐশ-বাবুর আন্দাজ ১৮৭৬ সালে জব্বলপুরে প্রথম আগমন হয় । কেহ বলেন--v মথুরামোহন বস্তু, এবং কেহ কেহ বলেন-হালদাৰ মহাশয় নামে একজন বাঙ্গালী এখানকার প্রথম প্রবাসী বাঙ্গালী । হালদার মহাশয় জব্বলপুরের পোষ্টমাষ্টfর ছিলেন । o জব্বলপুরস্থ পুরাতন বাঙ্গালীদের মধ্যে 9 শ্ৰীনাথ বস্থ, ৮ নবীনচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, ৮ গিরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়, এবং ৬ বীরেশ্বরদত্ত মহাশয়দিগের নাম শুনা যায়। ইহার সকলেই রাজসরকারে উচ্চপদস্থ কৰ্ম্মচারী ( একৃষ্ট্র এসিষ্টান্ট কমিশনার) ছিলেন এবং প্রত্যেকে প্রভূত সম্পত্তি রাথিয়া গিয়াছেন । জব্বলপুরের আর-একজন পোষ্টমাষ্টারও বাঙ্গালী ছিলেন, তাহার নাম হরিপ্রসন্ন বন্দ্যোপাধ্যায়। খুব কম লোকেই জানেন যে রেভারেও কালীচরণ বন্দোপাধ্যায় মহাশয়ের জন্মস্থান জব্বলপুর। যে বাড়ীতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন সেই বাড়ীতে অথবা তাহার খুব নিকটেই আজকাল বাঙ্গালীদের দুর্গাপূজা হুইয়া থাকে। জব্বলপুর আজকাল মধ্য প্রদেশে নাগপুরের নীচেই প্রসিদ্ধ স্থান হইলেও ইহার অব্যবহিত পূৰ্ব্বে এতটা প্রসিদ্ধ ছিল না। মহারাষ্ট্র রাজাদিগের সময়ে এ প্রদেশের রাজধানী ছিল সাগরে। ইঃ ইণ্ডিয়ান, গ্রেট ইণ্ডিয়ান পেনিনস্থলার ও বেঙ্গল নাগপুর রেলের জংসন হওয়ার কারণে জব্বলপুর ক্রমে প্রসিদ্ধি লাভ করিবার পূৰ্ব্বে সাগরই এ প্রদেশে বড় স্থান ছিল । যেটি এখন জব্বলপুর কলেজ নামে পরিচিত, তাহ পূৰ্ব্বে ১৮৩৬ সালে সাগরে স্কুলৰূপে স্থাপিত হয় এবং বহুকাল পর্য্যন্ত সুগর হাইস্কুল নামে পরিচিত ছিল। সেই স্কুলের প্রথম হেড মাষ্টার বাঙ্গালী । Col. Sleeman’s Rambles and Recollections পুস্তকে তাহার নাম আছে মনে হয়। সাগর হইতে yযুরকানাথ সরকার মহাশয় এ প্রদেশে সৰ্ব্ব প্রথমে এল-এ পাশ করেন। সেইজন্ত কিংবদন্তী আছে যে এখাৰকার চিফ কুমিশনারের সমুঞ্চেনগরবাসীরা উহাকে মধ্যপ্রদেশে বাঙ্গালী b లిరి হাতীতে চড়াইয়া নগর প্রদক্ষিণ করান। ইনি পরে সাগর হাইস্কুলের শিক্ষকতা কার্ধ্য লয়েন এবং স্কুল ও কলেজ পরেজব্বলপুরে স্বানান্তরিত হইলে তিনি সৰ্ব্বলপুরে আসেন এবং ক্রমে স্কুলের হেড মাষ্টার হয়েন। শুনিয়াছি সাগরে বাঙ্গালীরা ১০৭ বৎসর হইতে দুর্গাপূজা করিয়া আসিতেছেন । জব্বলপুরের বাঙ্গালীরাও দুর্গাপূজা প্রায় ৭-৮ বৎসর হইতে ধারাবাহিক রূপে করিয়া আসিতেছেন । o জব্বলপুরের বাঙ্গালীরা এখানে সাধারণের উপকারের কার্ঘ্য অনেকু করিয়াছেন । এখানকার সর্বপ্রণন স্থানীয় সভা, যাহ। হিঁতকারিণী সভা নামে পরিচিত । তাহ, প্রথমে বাঙ্গালীদেরই দ্বার স্থাপিত এবং তাহার সেক্রেটারী এখন পৰ্য্যন্তও বাঙ্গালী শ্ৰীযুক্ত অম্বিকাচরণ ৰঙ্গোপাধ্যায়। ঐযুক্ত জুম্বিকাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের বিশেষ বাহাদুরী এই যে তিনি নিতান্ত হীনাবস্থাহইতে শুধু নিজ ক্ষমতাবলে জব্বলপুরের বাঙ্গালীদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয় হইয়াছেন এবং তাহারই বাটতে আজকাল এখানকার বাঙ্গালীদের দুর্গাপূজা হইয় থাকে। ৬ কৈলাসচন্দ্র দত্ত শাস্ত্রী, এম-ও এখানকার কলেজের ভূতপূৰ্ব্ব সংস্কৃত অধ্যাপক শুধুই যে একজন বিখ্যাত পণ্ডিত ছিলেন তাহা নহে ; ভিনি একজন বিশেষ ক্ষমতাশালী চৌকষ পুরুষ ছিলেন। তিনি স্বনামখ্যাঙ 'vপ্রসন্নকুমার সর্বাধিকারী • মহাশয়ের প্রিয় ছাত্র ছিলেন এবং দের প্রসাদ সৰ্ব্বাধিকারী মহাশয়ের বিলাত-যাত্রবৃত্তান্ত যাই “ভাবতবর্গ” মাসিক পত্রিকায় ধারাবাহিক রূপে প্রকাশিত হইতেছে ভাস্কার সর্বপ্রথমে কুৈলাসৰ্বাবুর মাম দেখিতে পাইবেন । কৈলাস-বাবু কয়েকখানি সংস্কৃত গ্রন্থ সম্পাদন করিয়াছিলেন। কাউয়েল কর্তৃক সম্পাদিত দশকুমারচরিষ্টের সংস্করণের ভূমিকায় তিনি যে কৈলাসবাবুর সম্পাদিত সংস্করণ হইতে বিশেষ সাহায্য থাইয়াছেল এরূপ উল্লেখ আছে । তিনি আরো দুষ্টএকখানি পুস্তকের পাণ্ডুলিপি লিখিয়া রাখিয়া গিয়াছেন, তাহা দুর্ভাগ্যক্রমে প্রকাশিত হয় নাই এবং এখন ભ তাহার অবর্তমানে প্রকাশিত হইবে তাহার সম্ভাবনা খুবই ' কম। হিতকারিণী সভার তিনি একজন প্রধান সভ্য