পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sk সংখ্যা ] বুৰী বায়, ব্ৰহ্মাওর্কে জীৱন্ত কৰা যায় । এই সিদ্ধান্ত, এই অপূৰ্ব্ব generalisation tutfH 4451 y ffiğsi i) fiğ firtty* উপরে সহজিয়৷ মত এবং বৈষ্ণবদিগের "দেহতত্ত্ব” প্রতিষ্ঠিত । বাঙ্গালীর “cमश्ठञ्च” पात्रांजीब्र निअत्र ; s३ cमश्-उक्इ बांत्रालौब Anthro' pomorphism xfo www.sta-wwwwstopwta cwih i xtatána আগমনী বাঙ্গালীর নিজস্ব ; বাঙ্গালীই এক নরদেবতা এবং নারীদেবীকে পুজা করিতে শিখিয়াছিল। বাঙ্গালাদেশেই প্রেমের ধর্মের প্রথম বিকাশ হয় । - বেদের_বহুিদেববাদের প্রতিবাদ বুঙ্গালার তাত্ত্বিকগণ সার্থকভাবে করিতে পারিয়াছিল । "আত্মস্থং দেবতাং ত্যজু। o বহির্ণেবং বিচিস্বতে । e করন্থং কৌস্তুতং ত্যন্ত, ভ্রমতে কচতৃষ্ণয় ॥” অর্থাৎ হাতের মুঠার মধ্যে কৌস্তুভমণিকে ফেলিয়া দিয়া ব৷ উপেক্ষা করিয়৷ যে ব্যক্তি কাচখণ্ড অন্বেষণ করে, সে ব্যক্তি যেমন অজ্ঞতার পরিচয় দেয়, তেমনি যে ব্যক্তি চৌদ্দপেীয়া মাপের নরদেহে অবস্থিত কষ্টিপাথর—বাঙ্গালীর বিশিষ্টত (૧ ব্রাহ্মণেতর জাতি-সকলের মধ্যে যে ব্যাপক সমম্বর সাধনের চেষ্টা করিয়া গিয়াছেন তাৎ অপূৰ্ব্ব এবং জতুল্য। উহাই প্রভাৰে ৰাঙ্গালীয় Re "ছুৎমার্গ” দক্ষিণাত্যের তুল্য প্রবল হইতে পারে t 歌 স্ত্রীচৈতন্য-প্রবর্কিত গৌড়ীয় বৈষ্ণু ধৰ্ম্ম বাঙ্গালীর বিশিষ্টতার আরএকটা উপাদান। জ্বাগমবাগীশ কৃষ্ণানন্দ এবং শাক্তনশতরঙ্গিণী-প্রণেতা ব্ৰহ্মানন্দ গিরি বাঙ্গালীর বিশিষ্টত উন্মেষের আর দুইজন সাধক। ইহারাই “বাশিষ্ঠ্য পদ্ধতি” অবলম্বন করিক বাঙ্গালায় “শৈব বিবাহের” প্রচলন করিয়াছিলেন। শৈব বিবাহে নারীর, জাতি-বিচার করিতে হয় না, ীেবনের পূর্ণ উন্মেষ না ঘটিলে শৈব বিবাহ হইতে পারে না । এই শৈব-বিবাহের প্রভাবে বাঙ্গালায় নানা জাতির সম্মেলন ঘটিয়াছিল, শাক্তের যেমন শুৈৰ বিবাহ, বৈষ্ণবের তেমনি “কন্ঠ বদল" ছিল । দ্বীপঙ্কর খ্ৰীজ্ঞান অথবা বিক্রমপুরের নাস্তিক ভট্টাচাৰ্য বাঙ্গালীর, ব্যক্তিত্বের একজন প্রধান সহায়ক। ইনি বৌদ্ধধৰ্ম্মাবলম্বী ছিলেন, তাই লোকে ইহঁাকে নাস্তিক ভট্টাচাৰ্য্য বলিত। দীপঙ্কর ভুটানে তিব্বতে চীনে পরিভ্রমণ করিয়৷ বেড়াইয়াছিলেন। বাস্থালার বৌদ্ধ পণ্ডিতগণ BBBB BBBBB DDDB BDD BDD DB BBBB BBB BB BBB BBBB BDD DB BBB DDDDDS DD ठांशं त्रि হয়, সে ততোহধিক মূর্খ। সোজা কথা এই—বাহিরের দেবতার পূজা বন্ধ করিয়া, যাগযজ্ঞাদি পরিহার করিয়া, পরম্বাস্থার পূজার ব্যাপৃত হও। এই সিদ্ধাস্তুের উপরে বাঙ্গালীর উপাসনা-তত্ত্ব বিস্তস্ত । বাঙ্গালীর দেহতত্ত্ব বেদের Deismএর প্রতিবাদ । বাঙ্গালীর দেহতত্ত্বের প্রভাবে বাঙ্গালায় বৈদিক যাগ-বজ্ঞাদি লোপ পাইয়াছিল ; আমাদের মনে হয় বৈদিক বাগ-যজ্ঞাদি এবং Deism কোন . কালেই বঙ্গদেশে তেমন প্রতিষ্ঠালাভ করিতে পারে নাই । এই দেহত্বত্ত্বের অস্তুরালে একটা প্রকাও Philosophy বা দর্শনশাস্ত্র নিহিত আছে। এই দেহতত্ত্ব বুঝিতে কুইলে, নাম, রূপ, ভাব, রস এই চারি পদার্থকে বুঝিতে হইবে। এই দেহতত্ত্ব বুঝিতে হইলে ঘটুচক্ৰভেদ ব্যাপারটা বুঝিতে হইবে। নহিলে বাঙ্গাল সাহিতোর অন্ধেকটা বুঝিতে পারিৰে ন, বাঙ্গালীর বিশিষ্টভাবের অর্ধেকটা হৃদয়ঙ্গম করিতে পারবে না। বাঙ্গালীর ব্যক্তিত্ব তাহার আবিষ্কৃত সকল ব্যাপারে যেন শতমুখী হইয় ফুটিয়া উঠিয়াছে। পূবে কেবল মিথিলায় স্তায়ের অধ্যয়নঅধ্যাপন হইত, মিথিলার পণ্ডিতগণ বাঙ্গালী ছাত্রদের পুথি লিখিয়৷ আনিতে দিতেন না। বাঙ্গালার কাণ ভট্টশিরোমণি রঘুনাথ মিথিলায় যাইয় গুীয়শাস্ত্র ধথারীতি অধ্যয়ন করিলেন এবং সঙ্গে সঙ্গে সকল পুথি কণ্ঠস্থ করিয়া ফেলিলেন। দেশে আসিয়া একচক্ষু রঘুনাথ তীবত স্কারগ্রন্থ লিপিবদ্ধ করিলেন, সঙ্গে সঙ্গে অপুৰ্ব্ব-মনীষা-প্রভাবে নব্যস্তারের উদ্ভাবনা করিলেন। ফলে মিথিলার একচেটিয়া চুর্ণ হইল, নবদ্বীপ নব্য এবং পুরাতন স্কায়ের পঠন-পাঠনের কেন্দ্রস্বরূপ হইল। ইহাই বাঙ্গালীর বিশিষ্টতার পরিচায়ক। বাঙ্গালী স্কায়ের এই অভু্যদয়ধারা চারশত বর্ধ-কাল অব্যাহত রাখিতে পারিয়াছিলেন, নবীপকে নব্য-স্তায়ের অদ্বিতীয় কেলা করিয়া রাখিয়াছিলেন। দায়ভাগ ও স্ত্রীধনবিষ্কাসে বাঙ্গালী স্মাৰ্ত্ত যে গণবাদের পরিচয় দিয়াছন তাহ! ইলেণ্ডেও ১৮৬৬ খৃষ্টাব্দের পূৰ্ব্বে কল্পনামাত্র ছিল। জীমূতবাহনের সিদ্ধান্ত-সকল পুরামাত্রায় এখনও ব্রটিশজাতি গ্রহণ করিতে পারেন নাই। জীমূতবাহনের “দারভাগ" মিতাক্ষরার প্রকাও •fvqfs,- Feudalismqq foew f′ta' protest ? **««ĦĦ পূৰ্ব্বে, সকল সভ্যজাতির আগেভাগে বাঙ্গালী এই প্রতিবাদটি করিয়৷ नििग्नेछ्न ! . -- está morrerir.2vrazazo nasaza fin a Protestant fisron 1 Röf, ভূরি প্রমাণ পাওয়া যায়; নেপালে বাঙ্গালী কীৰ্ত্তির অনেক পুথিপত্র ' আছে । "ছিল দিন যখন বাঙ্গালী বৈবাহিক সুত্রে তিব্বৎ চীন নেপাল ভুটান প্রভৃতি দেশের সহিত সংবদ্ধ ছিল ; ছিল দিন যখন বাঙ্গালায় অসংখ্য বিদেশীয় পণ্ডিত আসিয়া বাস করিত এবং বাঙ্গালী রমণীকে শৈব বিবাহের সাহায্যে শক্তিরূপে প্রতিষ্ঠিত করিয়া গৃহস্থ হইয়া থাকিত। “ভরার মেয়ে বিবাহ” বাঙ্গাল দেশে বংশজ ও কষ্টশ্রোত্রীয় ব্রাহ্মণদিগের মধ্যে প্রচলিত ছিল ; শাক্ত কুলীন ব্রাহ্মণদের মধ্যে এবং কুলাচারী অঙ্ক জাতির মধ্যে পাকস্পর্শের দিনে নব-বধূর জাতি-কুলের পরিচয় লই। ঘোট হইত না । ইহা একটা বড় কথা। দেবীবরের মেলবন্ধন এবং কৌলীস্তের নবপ্রতিষ্ঠ বাঙ্গালীর ব্যক্তিত্বের একটা বড় পরিচয় । দেবীবর মেলবন্ধন করিয়া ৰে কত সাস্কৰ্যকে ঢাকিয় দিয়াছিলেন, তাহা আর এখন হিলাৰ করিয়া বলা যায় না। - ৯ বাঙ্গালার প্রথম ও মধ্য যুগের সাহিত্যেও একটা অপূৰ্ব্বত্ব আছে। কবিকঙ্কণ, ঘনরাম প্রভৃতি সকল বড় কবিই ব্রাহ্মণ, পরন্তু উtহাদের ffrs Fe agosto, Hero and Heroine aso-atfor ব্রাহ্মণ বা ক্ষত্রিয় নহে। গন্ধবণিক, সদেগাপ, কৈবর্ষ, গোড়ে, গোয়াল প্রভৃতি জাতীয় পুরুষ-সকলই এই-সকল কাৰ্যের নায়ক। ভারতচত্রের পূর্বকাল পৰ্য্যস্ত ব্রাহ্মণ-লিখিত সকল মহাকাব্যে ব্রাহ্মণপ্রাধান্তের লেশমাত্র নাই। চণ্ডীর ঘট স্থাপন ফুল্পর নিজেই করিত, ভজন্ত ব্রাহ্মণ ডাকিতে হইত না। কালকেতু, পুষ্পকেতু, ইছাই ঘোষ, লাউসেন, ভীম, ধনপতি প্রমুখ নায়কগণ কোন জাতীয় ছিলেন ? ইংরে। যদি মহাকাব্যের নায়ক হইতে পারেন, তবে তাহাদিগকে অস্পৃষ্ঠ বলি কোন হিসাবে? কাজেই বলিতে হয় শৃগু-অস্পৃষ্ঠের জল আচরপর এবং জল অনাচরণয়ের মধ্যে এমন অজ্ঞাত কোন তত্ত্ব আছে, যাহ! এখনও আমরা ধরিতে পারি নাই। বাংলা ভাষা বাঙ্গালীকে অপূর্ব বিশিষ্টত দিয়াছে। বাঙ্গালীর বিশিষ্টত এবং ব্যক্তিত্ব সমাজ-শরীরের সর্বাবয়ৰে, শিল্পকলায়, গানে-নাচে, চিকিৎসা-শাস্ত্রে, চিকিৎসা-পদ্ধতিতে, ঔষধ-নিশ্বাণে, লাঠি খেলায়, ক্ষুরপ-রণপা নিৰ্ম্মাণে ও ব্যবহারে, নৌশিল্পে, নৌকা প্রস্তুতিতে কথকতায়-ব্যাখ্যার বয়ন-শিল্পে, তসর-গরদের বসন প্রস্তুতিতে, গজদম্ভের কারুকাৰ্যে, স্বর্ণ-রৌপ্যের অলঙ্কারে-সভ্যজাতির সকল বাসনবিলাসে যেন সদাই স্পষ্টত হইয়:আছি। মনীষী জীযুত অক্ষয়কুমার