পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পদার্থ ও তাহার-পরিণতি আমরা সচরাচীর যেসমস্ত জিনিষ দেশ ক্ষে পাই সে-সকলকে যদি আমরা ভেঙ্গে ভেঙ্গে ক্রমjম্বয়ে ভাগ করতে করতে চলে যাই, তবে কি হয় ? যেমন লেখবার খড়ি—এই খড়ি যদি ভেঙ্গে টুক্র টুকরা করি, সেই টুকরার কোন-একটিকে যদি আরো ভাঙ্গি, তাকে যদি আবীর ভাঙ্গি, তা হ’লে ক্রমে ক্রমে এমন এক অবস্থাতে এসে পৌছব যে আর ভাগ করা যাবে না। যদিষ্ট ব৷ অন্য-কোন এমন স্বল্প রসায়নিক প্রক্রিয়া দ্বারা তাকে সূক্ষ্মতর ভাবে ভাঙ্গতে চেষ্টা করি তাহলে সে পদার্থট আর খড়ি থাকবে না—সেটা ভেঙ্গে গিয়ে তখন হয়ে যাবে তিনটে জিনিষ, যে তিনটে জিনিষ পড়ির থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন, পরস্পর পরস্পর থেকেও ভিন্ন , এই রকম অবস্থার নাম হচ্ছে অণু ( molecule) । স্বতরাং অণু অবস্থা পৰ্য্যন্ত জিনিষটা রইল খড়ি। কিন্তু ঐ অণুকে যখন সূক্ষ্ম রাসায়নিক প্রক্রিয়া দ্বারা ভেঙ্গে অন্য তিন প্রকার জিনিষে 馨 পরিণত করা যায় তখন তার নাম হয় পরমাণু(atom)। এতদিন পৰ্য্যন্ত বৈজ্ঞানিকের পদার্থের পরিণতি পরমাণু পর্যন্তই জানতেন। পরমাণুকে আর ভাঙ্গতে পারা যেত না। কিন্তু সম্প্রতি পরমাণুকেও ভাঙ্গা হয়েছে—এবং তা হতে কেবলমাত্র তেজের উৎপত্তি হয়েছে । এরূপ তেজের নাম ইলেকট্রন। একটি বিন্দু-পরিমিত কেন্দ্রেরু চারিধারে কতকটা তড়িৎশক্তি , আবদ্ধ, এই তড়িৎশক্তিই ইলেক্ট্রন । স্বতরাং বেশ বুঝা যায় যে কতকটা শক্তি যখন বৃত্তাকারে কেন্দ্রীভূত হয় তখন তা ইলেক্ট্রন । এইরুপ কতকগুলি ইলেক্ট্রন একত্র মিশে একটি পরমাণু গড়ে উঠে। কতকগুলি পরমাণু মিশলে একটি অধুর স্বাক্ট হয়, এবং কতকগুলি অঞ্চ সমষ্টিতে একটি পদার্থের প্রকাশ। স্বতরাং জগতের যত কিছু পদার্থ আছে তার চরম অবস্থ শক্তি ; এই শক্তিরই বিভিন্ন রূপ হচ্ছে পদার্থ। অতএব শক্তি স্থাড়া এ জগছে আর কিছুই নেই- সেই এক শক্তি থেকেই সমস্ত জগতের স্থষ্টি, সমস্ত পদার্থের কষ্টি, সমস্ত জীবজন্তুর শুষ্টি, তবে কম আর বেশী। যখন কম শক্তিএকীভূত হয় তপন এক পদার্থের উৎপত্তি হয়, আঁবার বেশী শক্তি মিলিত হলে আর-এক পদুর্থের বিকাশ হয় । বৰ্ত্তমান বৈজ্ঞানিকু জগতের এই দৃঢ় পাবণ।। তুমিও শক্তি,-আমিও শক্তি, তবে তোমাতে আমাতে তফাৎ এই সে তুমি হয়ত আমার অপেক্ষ একটু বেশী শক্তি, আমি হয় ত একটু কম শক্তি ; এই বেশী-কমের তারতম্যই পদার্থগুলির মধ্যে বিভিন্নতার কারণ ।

  • শ্ৰী ইন্দ্রনারায়ণ মুখোপাধ্যায়

“খোকা হোকৃ” পার্থী তরুণ রাজপুত্র আজ গভীরবনে গুছিতলায় একাকী বসে’ । গালে হাত দিয়ে কি ভাবছেন। স্বন্দর মুখখানি মেঘলা পূর্ণিমা রাতের চাদটিরই মত মান । কি দোষে র্তার এ দশা ? রাজ্যে মহামারী ; রোজ হাজার লোক মৰ্বছে । রাজ উজাড় হতে ক'দিন লাগে ? এক একটি লোক মরে প্রজাবৎসল. রাজার দেহ থেকে এক এক বিন্দু রক্ত যে ঝরে পড়ে। দিন দিম লোকক্ষয় বেড়ে চলতে লাগল রাজ্যের ওপর শনির যে কোপদৃষ্টি পড়েছে তা কাটাবা

  • জন্য রাজা কত যাগযজ্ঞ করলেন, কিছুতেই কিছু হল না

শেষে রাজ্যাধিষ্ঠাত্রী দেী সৰ্ব্বমন্ত্রলার মন্দিরে রাজে মঙ্গলের জন্য রাজ হত্যা দিলেন। একদিন গেল, ছুদি গেল, তিন দিনের দিন ভোর রাত্রে রাজা স্বপ্ন দেখলে দেবী বলছেন, “মহারাজ, কুমারই তোমার রাজ্যের শ