পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b-ჯა) স্বরূপ। তার খরদৃষ্টিতে রাজ্য পুড়ে যাচ্ছে। রাজ্যের যদি মঙ্গল চাওত রাজ্যের বাইরে কোথাও তাকে পাঠিয়ে দাও, কক্ষণও তাকে রাজ্যে ফিরিয়ে আনতে পাবে না। আনলেই আবার অমঙ্গলের স্বষ্টি হবে। তবে যদি এখন তাকে বনে পাঠিয়ে দাও তা হলে তোমার ও তার এটুকু স্ববিধে হবে যে, সে যদি সেখান থেকে থোকাহোক পার্থী ধরে’ নিয়ে এসে রাজ্যে ছেড়ে দিতে পারে ত তার কুদৃষ্টিটুকু কেটে যাবে। রাজ্যের আর অমঙ্গল হবে না । তোমার মৃত্যুর পর সোস্বথে ও শাস্তিতে রাজত্ব করতে পাৰ্বৰে ।” রাজা স্বপ্নে বললেন, “সে কি রকম পাখী, মা ? কুমার আমার সে পাখী খুঁজে পাবে ত?” দেবী উত্তর করলেন, “সে পার্থী গৃহস্থের বাড়ী বাড়ী খোকাহোক থোকাহাক বলে’ ডেকে বেড়িয়ে তাদের কল্যাণ কামনা করে। সে পাখী কুমার পাবে কি না বলতে পারি না। তবে আমার উপর বিশ্বাস রেখে। আর একটা কথা, বনে পঠাবার সময় রাজপুত্রকে বলে, ‘স্বপ্নে দেবীর কাছে জানলুম छूमि এ রাজ্যের অমঙ্গলের কারণ। তাই তোমাকে বনে চিরতরে নির্বাসিত কবুলুম। ব্যস্ এই পৰ্য্যন্ত! আর কোন কথা না। আর জেনে রাখবে আমি যা করি সবই মঙ্গলের জন্যে ।” রাজ। পরদিনই দেবীর উপদেশ-মত কাজ করলেন। “যা করেন সর্বমঙ্গলা সবই মঙ্গলের জন্তে”–এই হল রাজার জপমালা । il রাজপুত্ৰ ভাবৃছিলেন, "যার জীবনটা কেবল অমঙ্গলের বোঝা তার বেঁচে থাকায় লাভ কি ? এ জীবন না রাখাই শ্রেয় ! তিনি উঠে দাড়ালেন। তখন পশ্চিম দিকের আকাশের কোলে রাঙা রবি আস্তে আস্তে ভুবছে । রাজপুত্র সেদিকে চেয়ে দেখলেন, আকাশের গায়ে কে রাশি রাশি ফাগ ছড়িয়ে দিয়েছে। বসনপ্রান্তে র্তার চোখ পড়ল, তাই ত তার কাপড়েও যে ফাগের ছিটে লেগেছে! তার মনে পড়ল আজ হোলি-খেলা । বনের গাছের মাথায় মাথায়, লতার পাতায় পাতায় ফাগের ছড়াছড়ি। বনের গাছপালা সবই যেন তাকে হোলি খেলতে ডাকৃছে। জীবনের খেলা তার ত ত ো ফুরায় নি। বনের সাথে একটু খেলতে হবে যে ! বনের একটা গাছে কেমনু, সুন্ধর স্বন্দর ফল পেকে প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩২৯ [ ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড রয়েছে। রাজকুমার একটি করে পাড়েন, একটি করে ॐtन । কাছেই ঝরণা। তার তক্তকে জল। তার ওপর ছোট ছোট চকচকে ঢেউ । অঞ্জলি ভৰুে জলপান করে রাজপুত্রের প্রাণ স্বশীতল হল । - বনের পার্থীর ডাক কেমন মিষ্টি ! শুনে রাজপুত্র মোহিত হলেন ।

  • কে রে আমন চাদের মত ছেলে ?—কেমন করে’ এখানে এলি রে বাপ !" এই কথাগুলো উচ্চারিত হতে

শুনে রাজপুত্র অবাক হয়ে পেছন ফিরে দেখলেন, নিবিড় গাছপালার ভেতর থেকে বেরিয়ে এসেছে এক বুড়ী,— কেমন হন্দী ! গা দিয়ে দুধে আলতা-গোলা রঙ ফেটে পড়ছে —মাথায় নিয়েছে একটা ঝুড়ি,—তাতে কাঠ । রাজপুত্রের ছেলেবেলায় ধাইমার-কাছে-সোনা কাঠকুড়োণী গল্পের একটা ছড়া মনে পড়ে গেল— কে গো মা বুড়ী, মাথাতে ঝুড়ি, কাঠ-কুড়ী ! এই-বিজনবনে বুড়ীকে দেখে রাজপুত্র আশ্বস্ত হলেন, যাহোক এমন বনেও মানুষের মুখ দেখতে পাওয়া গেল ! তিনি বুড়ীর কাছে তার এই দুর্দশার কারণ সব খুলে বললেন। বুড়ীর চোখে জল এল। রাজপুত্রের স্বম্বর মুখ দেখে বুড়ীর হৃদয়ে যেন পুত্র-স্নেহ উথলে উঠল। “আয় বাপু আমারি কাছে থাকৃবি! তোর ভয় কি ?”— এই না বলে বুড়ী তার কুঁড়েঘরে রাজপুত্রকে নিয়ে গেল ।

  • 碌 碌

রাজপুভ্রের সঙ্গে বুড়ীর প্রথম সাক্ষতের ক্ষণ থেকে তিন তিনটি বছর চলে গেছে । রাজপুত্র এখন বুড়ীকে মা বলে জানেন, বুড়ীও রাজপুত্রকে পুত্র বলে खांप्न । फूछ८भद्र भ८५J भांब्रांब्र दकनül cब* शमृक्ल झग्र উঠেছে। বুড়ী এখন হাটুতে পারে না, বড়ই ছৰ্ব্বল। রাজशूब cनवा रुद्ररश्न । उिनि ८ब्रांब ब्रूफ़ि निरञ्च का? ठूएफ़ॉरङ যান, ফল পেড়ে আনেন, গুণমা-ঘাসের বোঝা বন্ধে এনে ঘাসের ফলগুলি পিষে পিঠে তৈরী করেন। বুঢ়ী বলে