পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা } ത്സസസ്സ്പ്രസ്സാ একজন পুরুষ তার উত্তরে বললেন, "গিল্পেরামর্শটা দিয়ে এসে না ?” সামনে চেয়ে দেখলাম। আগুনের আভা তখন রাত্রির অন্ধকারকে মনেকখানি দূরে ঠেলে নিয়ে গিয়ে ছিল। কাজেই যাকে দেখলাম তাকে বেশ ভাল করেই দেখলাম। স্বমিত্রাকে গত পাঁচ বছরের মধ্যে চোখে দেখিনি, তার খোঁজ-খবরও বিশেষ জানতাম না ; অকস্মাৎ যুগজ দূরে দাড়িয়ে সে কথা বলছে দেখে একটু অবাক হয়ে গেলাম। দিনের আলোয় কোনোদিন যার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি, এই মাঝরাত্রে ঘরপোড়ানো আগুন কি করে তাকে দৃষ্টিলোকে টেনে আমূল ? মাকে বললাম, “ম, সামনে চেয়ে দেখ ত, ও স্বমিত্র न'। ?” 龜 廳 মা একবার তাকিয়ে দেখে বললেন, “তাই ত, আবার এখানেও এসে জুটেছেন !” তিনি তৎক্ষণাং ঘরে ঢুকে গেলেন। স্বমিত্রার সঙ্গে প্রথম পরিচয় আমাদের কারুই বিশেষ মধুরভাবে হয়নি, কিন্তু আর-সকলে আরম্ভের তীব্রতাকে পরের মাধুর্ঘ্যে ভুলতে পেরেছিল, মা সেটা পারেননি। যে ছেলেকে উপলক্ষ্য করে সে পরিচয়ের স্বত্রপাত হয়, সে বেঁচে ছিল না, এটা তার বিরাগের একটা কারণ। তা ছাড়া কয়েক বছর আগে ৰে ঘটনাটা সুমিত্রীকে আমাদের জীবন থেকে নিৰ্ব্বাসিত করে দিল, তার স্থতিও কিছু স্বর্থপ্রদ নয়। বাবা অনেক চেষ্টার পর কুস্কমের জন্ত অল্প খরচে একটি ভাল পাত্র স্থির করেছিলেন। কথা প্রায় পাকাপাকি হয়ে এসেছিল। আমার বেশ মনে আছে আমি ঘরে বলে নিজের ক'জন রন্ধুবান্ধবকে বোনের বিয়েতে নিমন্ত্রণ কর্ব মনে মনে তার তালিকা করছিলাম। এমন সময় পাশের ঘৰে বাবা-মায়ের গলার স্বর আমার মনকে সেদিকে টেনে নিয়ে গেল। বেশ জোরেই তঁরা কথা বলছিলেন, কাজেই শুম্বার কোনো ভুল হল না। তল্লাম স্থমিত্রার বাবা লুকিয়ে লুকিয়ে সেই পাত্রের সঙ্গে নিজের মেয়ের বিয়ে স্থির করে ফেলেছেন। দু-একুদিনের মধুেই বিয়ে, আজ আমাদের বাড়ী নিমার্থে লোক পাঠানেওইয়েছে। शमजू టసి همه ۹ مه ۰ - یک शभिजाब बिदाश् नषरक जछ ब्ररूम बादश झगड মনে মনে আমার ছিল । খবর পেয়ে আমার মনোভাবটা বে-রকম হল, সেটার সঙ্গে আমার বাবা ক্লিৰা মা য অনুভব করছিলেন তার খুৰ বেশী সাদৃশ্ব ছিল না। তারা কুহুমের বিবাহ না-হওয়াটা নিয়ে উত্তেজিত হয়ে উঠেছিলেন ; আমার কাছে স্থমিত্রীর বিবাহ হওয়াট। তার চেয়ে বেশী উত্তেজনার কারণ হয়েছিল, এ কথা স্বীকার করছি। স্থমিত্রার বাবুর নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে আমরা যে কেউ যাইনি এ কথা বোধ হয় বলা বাহুল্য। লিখতে যতক্ষণ লাগল,এসব কথাগুলো মনে করতে তত সময় লাগেনি। হটাৎ চকিত হয়ে দেখলাম, দমকলের গাড়ী ঘণ্টা বাজিয়ে গলির মুখে এসে দাড়াল। নাটকের পঞ্চমাঙ্কের সময় হয়ে এসেছিল, এই ঘণ্টাধানির সঙ্গে সঙ্গে শেষ যবনিকা পড়ে গেল। - বাকী যা রইল তা নিয়ে কাব্যরচনা করা চলে বটে, কিন্তু আমার গল্পের মধ্যে তার বিশেষ কোনো স্থান নেই। পরদিন সন্ধ্যার সময় ছাত্ত্বের উপর বেড়াতে বেড়াতে গত রাত্রির কথাই ভাবছিলাম। আশে-পাশের কলের চিম্নীর ধোয়ার উচ্ছ্বাসে তখনও আকাশ বাতাস ভরিাক্রান্ত । অসংখ্য পাপের স্মৃতিতে ব্যথিত মঙ্গনগরীর বিরাট বক্ষ ভেদ করে এই কালিমাময় বিপুল দীর্ঘশ্বাসগুলি আমার মনের ভিতরটা পৰ্যন্ত দ্ৰাধারে ভরে দিয়েছিল । কেবলি ভাবছিলাম ভুলে থাকা অার স্কুলে যাওয়ার ভিতর এতবড় প্রভেদ কেন ? শুকতারার মত দিনের আলো প্রধর হতেই ৰে আকাশের গায়ে মিলিয়ে গিয়েছিল, আজ সন্ধ্যা হবার আগেই যে সাজের তারার মত ফিরে এল কেমন করে’ ? . . . নীচে মায়ের সঙ্গে উার , একমাত্র সঙ্গিনী আলোচনা চলছে, তার এক-একটা টুকরা হাওয়ার স্রোতে কানে ভেসে আস্ছিল। আলোচনার বিষয় আর কিছু নয়, আমাদের সংসারের, সীমাহীন জুৰ্গতির কাহিনী । বাবা ধীর যে পরিজাণে রেখে গিয়েছিলেন, টাকা সে পরিমাণে রেখে যেতে পারেন নি। যাঁও বা রেখে গিয়েছিলেন, তার ভfর অন্ত লোকে গ্রহণ করেছিল, কেবল ঋণগুলির উত্তরাধিকার পুৰে কেউ আমাৰে این گیاه حماییه ۶یصیه محیه