পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ-সংখ্যা ] ব্যুন বেশ রাজড়োগ খাচ্ছে। তার যে উপযুক্ত পুত্র বর্তমান! এত খাটাখাটুনিতেও রাজপুরে কোনো কষ্ট নেই। বন তাকে খাবার জিনিষ সবই জুগিয়ে" দিচ্ছে, ভোর বেলায় বুনের পার্থী ডেকে তার ঘুম ভাঙ্গাচ্ছে। উঠেই বেণুবনেবু মাথায় মাথায়, সবুজ পাতায় পাতায় আলোর মাতন তিনি দেখতে পাচ্ছেন–বন যেন এই নিয়ে র্তার লম্বন্ধন কবৃছে। সবচেয়ে স্বন্দর, সবচেয়ে পবিত্র যা --মায়ের ভালবাসা,—তাও বনের মধ্যে তিনি পেয়েছেন । র্তার মা তাকে ছেলেবেলায় ছেড়ে স্বর্গে গিয়েছিলেন ; র্তাকে আবার নূতন করে ফিরে পেয়েছেন । এমনটি কি আর রাজধানীতে মিস্ত ? বুড়ী বসে বসে ভাবে, ভার দেী গগ্যের কথা" রাজ পুত্র তার ছেলে; সে ত আজ রাজরাণী ! ভাবতে ভাবৃতে বুড়ীর চোখ দিয়ে আনন্দের অশ্র দু-এক ফোট ঝরে’ পড়ে । যখন-তখন রাজপুত্রের মাথায় হাত বুলোতে বুলোতে গভীর স্নেহে চুমা খায়। মনে মনে কত কি আশীৰ্ব্বাদ করে সেই জানে! রাজপুত্র এক-এক দিন হেসে বলেন, “এত কি আশীৰ্ব্বাদ কর্ছ বুড়ীম ? এতু আশীৰ্ব্বাদ যদি ফলে যায় ; আশীৰ্ব্বাদের বোঝার চাপে মারা যাব বলে রাখছি।” বুড়ী কিছু বলেন ; রাজপুত্রকে সজোরে বুকে চেপে ধরে । কখন কখন বলে, “বীপ, তোর একটা বিয়ে দিতে পারলে কি স্থখই না হত ! কেমন একটি স্বদর, খোৰাৰু মুখ দেখে আনলে মতে পার্তুম।" শুনে রাজপুত্র কেবল হাসেন । রাজপুত্র সামনে না থাকলে বুড়ী তার ছোট কুঁড়ে ঘরখানি আশীৰ্ব্বাদে আশীৰ্ব্বাদে ভরিয়ে তোলে-“বাবা, তোর খোকা হোকু খোকা হোকৃ..." কতবার যে এই আশিস, বুলিটি বুড়ী জাওড়ায়, তার সংখ্য নেই। একটা গল্প আছে ;–এক বুড়ী জজের কাছে স্থবিচার পেয়ে তাকে আশীৰ্ব্বাদ করে—“বাবা তুমি দারোগ হও।” সে তার खडिछाडी बांब्रां निरछद्र यांtभव्र मांरब्राञांब्र পুৰল প্রতাপ দেখে ধারণ করেছিল, দারোগ হওয়াটাই যেন পৃথিবীর সবচেয়ে গৌরবের জিনিষ । এ বুড়ীরও হয়েছে তাই। নিজে নিঃসন্তান বলে পুত্রের অভাবটী তার কাছে বড়ই বাজত। খোলু পাওয়াটাই যেন তার কাছে সবচেয়ে ছেলেদের পাততাড়ি—“খোকা হোক” পাখী। o SJJMMMJJSAMA SAMASAMeAMAM AMSAASAASAASAAAS وی اول ASA SSASAAA AAAA SAAAA AASA SAASAASSAAAAAASAAAAS AAAAAA সৌভাগ্যের বিষয় ছিল। তাই তার কাছে খোকা হোক এই আশীৰ্বাদ নাকি সবচেয়ে সেরা আশীৰ্ব্বাদ। - বুড়ীর দিন দিন শরীর ভেঙ্গে পড়ছিল। নানান রকম অমুখ বিমুখ লেগেই স্থাছে। কিন্তু আশীৰ্ব্বাদের সংখ্যাটা বেশী ছেড়ে কম হয়নি। আজকে অস্থখট। তার বডডই বেড়েছে। রাজপুত্র রোজ যেমন তার জন্তে গাছগাছড়া খুঁজতে নদীর তীরে যেতেন—আজও গেলেন। সেখানে পৌঁছে বিক্ষিত হয়ে দেখলেন, একটি পরম স্বস্বরী মেয়ের দেহ--তার কতকটা ভাসছে নদীর নীরে, কতকটা.পন্থে নদীর তীরে। মেয়েটির দেsলত জড়িয়ে বেগুনে রঙের শাড়ী, তাতে কারুকাৰ্য্য করা, চুনির চুম্কি' বসান। মেয়েটির গা-ভরা গান-সোনা হীরে জহরতে মোড়া, স্বর্ঘ্যের আলোয ঝকমক্‌ করে জলছেঃএ ত রাজকন্ত না হয়ে যায় না। অজানা আনন্দে উরুণ রাজপুত্রের বুক কেঁপে উঠল । রাজপুত্র ধীরে ধীরে মেয়েটির অচেতন দূেহ তুলে শুকনো ডাঙ্গায় এনে য়াখলেন। ক্রমে রাজপুত্রের সেবা ও যত্বে মেয়েটির চেতনা হল। পরিচয়ে রাজপুত্র জানতে পারলেন, সে রাজকন্যাই বটে। সর্থীদের সঙ্গে নৌকায় করে নদীত বেড়াতে বার হয়েছিল, হঠাং ঝড় আসায় নৌকো ডুবে যাওয়ায় এই দুর্দশ হয়েছে। সখীৰু কোথায় ভেসে গেছে কে জানে। রাজপুত্রও নিজের পরিচয় দিলেন। রাজপুত্রের বাকী সমস্ত জীবনসুত্রটা এই বনের সঙ্গে গাখা আছে শুনে রাজকুমারীর চোখে জল এল । টলটলে জলভরা চোখের দৃষ্টি রাজপুত্রের ওপর নিবদ্ধ করে রাজকুমারী বললেন, "কেন আমার সঙ্গে আমাদের রাজ্যে আপনি চলুন ন—আপনাকে স্বথে রাখৃবার প্রাণপণ যত্ন কবৃৰ ” রাজকুমার বলুলেন, “ন, রাজকুমারী তা হয় না। এই বনটিতেই আমি বেশ স্বখে আছি—আমার মা যে এখানে আছেন। চল আমাদের কুঁড়েঘরে—বুড়ীমাকে দেখলে ভাল করে চিনতে পারবে। মা তোমাকে দেখলে কতই না খুলী হবেন * আমি তোমাকে ঠিক সময়ে তোমূীর পিতার নিকট রেখে আসব। তবে যদি কখনও এই বনের কথা মনে পড়ে, তবে এই হতভাগা রাজপুত্রের কথা মনে কোরে আর ক্লিছ চাই না।” বলে প্রশান্ত