পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سبابهمb চোখদুটি রাজকম্ভার সামনে থেকে রাজপুত্র সরিয়ে দিলেন। " . . রাজপুত্র রাজকন্যাকে সঙ্গে করে কুঁড়েয় ফিরে দেখেন সৰ্ব্বনাশ হয়েছে। বুড়ীম মারা গেছেন। হায়, তিনি কত সাধ করেছিলেন, কিছুই ত পূর্ণ দেখতে পেলেন না— রাজপুত্ৰ বুড়ীমার সৎকার করে কুঁড়েঘরে ফিরে এলেন বিজয় দশমীর বিসর্জনের চোখের জল নিয়ে। রাজপুত্রের কাছে তার বুড়ীমার গুণের কথা শুনে রাজকুমারীর চোখ-দুটি জলে ভরে গেল। মা-হারা কুড়েখানা রাজপুত্রের চোখের সামনে খ খ করতে লাগল। রাজপুত্র “আজিনায় আছড়ে পড়ে কেঁদে উঠলেন—“মা-মাগো ! তুমি নেই—আর আমার কেউ নেই গো ! তোমায় ছেড়ে কেমন করে’ এ গহনবনে বাস করব মা—” রাজকুমারী রাজপুত্রের মাথা কোলে তুলে নিলেন। চোখের জল মুছিয়ে দিলেন। কি বলবার জন্তে র্তার ঠোঁটদুখানি কেঁপে উঠুল, কিন্তু কণ্ঠে স্বর ফুটুল না। রাজপুত্র খানিকক্ষণ পরে উঠে বসলেন ; তারপর হাতজোড় করে’ কুঁড়েঘরের পানে চেয়ে বললেন, “ওগো আমার মায়ের ঘর, ওগো আমার মায়ের মাটি, তোমাদের ছেড়ে এখন চলুম, আর ফিরব কি না জানি না। ফিরবারও বড় ইচ্ছে নেই। মা-হারা ঘর দেখতে পারব না ।” তার পর ভূমিষ্ঠ হয়ে প্রণাম করলেন। রাজকুমারীও দেখাদেখি । প্রণাম করলেন । তারা ছিলেন আঙ্গিনার অশোক-গাছের তলায়। গাছের ওপর থেকে কে বলে উঠল—“খোকা হোক, খোকা হো ।” রাজপুত্র মাথা তুলে অবাক হয়ে গাছের দিকে তাকালেন। দেখলেন গাছের একটা উচু ডালে কেমন ছোট একটি স্বন্দর পার্থী ! সবুজ পাতার সঙ্গে যেন মিশে আছে। পার্থী আবার ডেকে উঠল, “খোকা হোক, খোকা হোক ?” পার্থীর এমন ছাক ত রাজপুত্র কখনো শোনেন নি।“ কতদিন বনে আছেন, কত রকম পাখী দেখলেন, পাখীর কত্ব রকম ডাক শুনলেন। তার কাছে এ পার্থী ঘৈ একেবারেই অচেনা ! রাজপুত্ৰ তুড়ি" দিয়ে আদর করে ডাক্লেন, “আয় প্রবাসী-আশ্বিন, ১৩২৯ [ ૨રન જ્ઞાન, >મ ૧૭ സസ്സ് സ്പേ পাখী জায়, আদরে রাখিব তোরে সোনার খাচায়।” পাখী সত্যসত্যুই উড়ে এসে তার কাধের উপর বসল। রাজপুত্র তাকে ধরে খাচায় পূৰ্বলেন। রাজকুমারী বললেন, “চলুন রাজপুত্র, এ পার্থী আমাদের রাজ্যে নিয়ে , যাব । রাজবাড়ীর তোরণে এর সোনার খাচী টাঙ্গানো থাকৃবে। দেশ-বিদেশের লোক একে দেখতে আস্ৰে।” রাজপুত্র বললেন, “না রাজকুমারী, একে কাছছাড়া করতে পারব না। বুড়ীমা আমার খোকা দেখবার জন্ত বড়ই সাধ কবৃতেন। এর ডাক শুনে তার কথা সবই মনে পড়বে।” . রাজকন্যা কি জানি কি মনে করে লজ্জায় লাল হয়ে উঠলেন। 嶺 毫 毫 毫 এ দিকে রাজ রাজপুত্রকে বনে পাঠানোর পর সৰ্ব্বমঙ্গল-দেবীর পূজোয় মনপ্রাণ উৎসর্গ করেছেন। ७क बछ्द्र शांप्र, झ बछ्ब्र शाग्न, ऊिन दछ्ब्र शां★,-कूशांब्र रुद्दे “খোকাহোকৃ” পার্থী নিয়ে রাজ্যে ফিরে এল না! দুৰ্ব্বল মনকে শক্ত করে রাজা আবার নিজেকে পূজোর মধ্যে ডুবিয়েদিলেন। চার বছর গেল, পাঁচ বছর যায় যায়— রাজার মনের বঁাধন বুঝি আর থাকে না ! সৰ্ব্বমঙ্গলদেবীর মন্দিরে পুত্রের মঙ্গলের জন্যে রাজা এবার হত্য দিলেন। প্রথম দিনই ছুপুর রাত্রে স্বপ্নে সর্বমঙ্গল-দেবী রাজার শিয়রের পাশে আবিষ্কৃত হয়ে হাসতে হাতে রাজাকে বললেন, “মহারাজ, আপনার কুমারের সঙ্গে মালব-রাজকন্যার বিবাহ হয়েছে। কুমার এখন মালবদেশে। সে বন থেকে খোকাহোক পার্থী ধরে এনেছে। শীঘ্রই মালবরাজ্যে যাও। মহাসমারোহ করে নবদম্পতীকে এ রাজ্যে নিরে এস !” স্বপ্নভঙ্গে রাজার দেহমন আনন্দ্ৰে শিউরে উঠল । পরদিনই তিনি হাতীঘোড়া লোকলম্বর নিয়ে মালবরাজ্যে যাত্রা করলেন। 多 রাজকন্যাকে তার পিতার কাছে নিয়ে এসে, রাজপুত্র আর বনে ফিরতে পাননি। রাজকুমারীর রাঙা অঞ্চলেই বাধা পড়েছেন। এমন স্বন্দর রাজপুত্র হাতে পেয়ে পিতা মালবরাজ কন্যাকে তার হাতে সমর্পণ না করে' . থাকতে পারেন কি ? বিশেষ সে যখন কন্যার রক্ষা