পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ, সংখ্যা ] -ూv^^^^ so @ কৰ্ণ, আর কন্যাও তাকে কম শ্রদ্ধার চোখে দেখেনি । সোনার পিন্ধরাবন্ধ “খোকাহোক" পাখীর ডাকে বুড়ীমার কথা রাজপুত্রের মনে পড়ে যায়। তিনি আকাশের দিকে চেয়ে কপালে স্থাত ঠেকিয়ে কাকে প্রণাম করেন। • একদিন রাজপুত্র দেখলেন, রাজধানী হাতীঘোড়া লোক-লম্বরে ছেয়ে গেছে। ব্যাপার কি জানবার জন্যে সভায় যাবার উদ্যোগ করছেন এমন সময় মালবরাজ এসে তাকে বললেন “তোমার পিতা এসেছেন। তার সঙ্গে দেখা করবে চল!” মালবরাজের মুখ হামি-হাসি। রাজপুত্র অবাক হয়ে তার সঙ্গে চললেন। . পিতা-পুত্রের দুজনেরি চোখে জল এল । পুত্রের অভিমানে ; পিতার মিলন-আনন্দে। পরে পিতা যখন পুত্রকে সব কথা খুলে বললেন—পুত্র পিতার বুকে মাথা রেখে কাতে লাগল। পুত্রের নিকট তার বনবাসের সব কথা শুনে পিতা শিউরে উঠলেন, তার গায়ে কাটা দিল। পিঞ্জরাবদ্ধ “খোকাহেীকৃ” পাণীর পানে চেয়ে কপালে বন্ধহাত ঠেকিয়ে সজল নয়নে রাজা বললেন, “মা সৰ্ব্বমঙ্গল, অপার তোর করুণ। আমার কুমারের মঙ্গলের জন্যে বনে তুই AeSAeSAeS AeSAeS eSASAeSAeSAeSAeSA SAAAAS "ছটামাখা গগনের ঘন ঘটা সাজনা, হুম্হুম্ জুম্হূম খুন-করা বাজনা ; •খোকারে"পাড়ানো ঘুম- সে আমার কাজ না ।" “– সেহলী লে| সেহলী ! গুরুগুরু দেয়া ডাকে, তাই শুনে এ হ'লি ?” “সমীরণ-শিহরণে ফুলে ফুলে নাচন, আকুল নয়ন তুলি অকুলের যাচনা ; এ কুলে বসতি করে’ প্রাণ আর বঁাচে না।” “—সেহলী লো সেহলী ! বায়ু বহে ফুল দোলে, তাই দেখে এ হ'লি ?” “ঝরঝর ঝরে ওই শাওনের ঝরণা, অধর ধরায় নামি করে পদচারণা ; এই পড়ে রইলো এ ছার ঘর-করন । “—সেইলী লো সেহী ! স্বরবার ৰরিষণে অকারণে এ হ'লি !” কাজরী গান چوامb to സസ്സസ്സസസ്സസസ്.സി.സ~സ সেজে এসেছিল। ধন্য কুমার ধন্য ! তোর ভালবাসা সে পেয়েছে—” তার কণ্ঠস্বর ভারী হয়ে এল। রাজ পুত্রকে গভীর স্নেহে আলিঙ্গন দিলেন। রাজ্যে এসে মহাসমাঝুেহে “খোকাহোক" পাখীর পূজো করে রাজকুমার তাকে ছেড়ে দিলেন । এই গল্পটি অনেকেই জানেন। তারা বলেন যে রাজপুত্রের, “খোকাহোকৃ” পাখীরই বংশ পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছে । তাদের কেউ কেউ বলেন যে, রাজপুঞ্জের “খোকাহোকৃ” পার্থী র্তার বুড়ীমাই। রাজপুত্রের মায়া কাটাতে না পেরে “খোকাহোক”—এই বুলি নিয়ে মরার পর পাখীর মূৰ্ত্তি নিয়েছিল। আবার কেউ কেউ বুলেন । ষে রাজপুত্রের “খোকাহোকৃ” পাখী, একটা পাখীই । রাজপুত্রের বুড়ীমার কুড়েঘরের আঙ্গিনায় অশোক-গাছে সে বাস করত। সেখানে বসে বুড়ীমার “খোকা হোক” আশীৰ্ব্বাদটি অনবরত শুনে শুনে সে বুলি সে ভূলতে পারে নি। “খোকাহোকৃ” বলে ডাকা তার অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল। বুড়ীমার মরার পরই সে রাজপুঞ্জের নজরে পড়ে। কোনটা ঠিক কে জানে ? শ্ৰী দুর্গাপ্রসাদ মজুমদার “ঝমৃঝম্ নূপুরের রুগুরুগু লাহন, পিতমের বুকভর প্রমণকাড়া বাহনা; স্লোহাগ-মিনতি-স্বরে ঘরে মন রহে না ।” “— সেইলী লো সেহলী । , জলদ প্রপাত হেরি তুই যেন কি হলি!” “চিতচোর এলো মোর দূরে গেল ভাবনা, পরশনে ধুয়ে গেল বিরহের দাবনা ; বাহিরে পরাণসাঙা ঘরে আর যাব না ।” * “—সেহলী লে সেহলী ! কুলের বহুরী হয়ে বাউরী কি হইলি ?” “এসে এসে পিয়া মোর হিয়া আছে বিছানা, অঙ্গে অঙ্গে কর তরঙ্গ রচনা ; ঝুমঝুম দাও চুম—আর নাই যাঁচনা।” "– সেহলী লে সেহগী ! . বসন তিতিল জলে,-লাজ খেয়ে কি হ’লি ?” - • দরবেশ