পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ) থাকিরাও গরীব কেন, এবং সেই দেশেই ইউরোপীয়, মাড়োয়ারী, ভাটিয়া, দ্বিীওয়াল প্রভৃতি ধনী কেন, তাহার বিচার না করিয়া, জিজ্ঞাসা করি, আমাদের ধুণের পরিমাণ যাহা তাহারই মত লোকহিতকর সৎকাজ আমরা করি কি ? স্যা রবার্ট গিফেনের এক বৎসরের ( ১৯০৩ সালের ) একটা অনুমান অনুসারে বিলাতের বার্ষিক আয় ছিল একশত পচাত্তর কোটি পাউণ্ড এবং ভারতবর্ষের ছিল ষাট কোটি পাউণ্ড। বঙ্গের লোক সংখ্যা ভারতের লোকসংখ্যার এক-সপুমাংশ । বঙ্গের অীয় কম করিয়া ধরিয়া ভারতবর্ষের দশমাংশ মনে করিলে ছয় কোটি পাউণ্ড হয় । উন্স বিলাতের আয়ের,উন্নত্রিশ ভাগের এক ভাগ । সুতরাং আমরা যদি ৰিলাতের লোকদের সমান লোকহিতব্ৰত হই, তাহা হইলে তাহাদের প্রত্যেক ১৯টি লোকহিতকর প্রতিষ্ঠান অনুষ্ঠান ও প্রচেষ্টাব জায়গায় আমাদের একটি থাকা উচিভ । কিন্তু তাহা নাই । তাহদের প্রতি একশতটিতে একটিও আমাদের নাই । লংম্যান কোম্পানীর প্রকাশিত শুধু লগুনেরই জনহিতকর প্রতিষ্ঠানের তালিকার একটি পুস্তক আছে । शैश्: আমর ভুলিয়া যাই নাই, যে, মানুষ লোকহিতকর কার্ষে টাকা দেয় আয়ের উদ্ধৃত্ত হইতে, এবং উদৃত্ত অর্থ ধনী জাতির কেপ থাকে, গরীব জাতির সেরূপ থাকে না। কিন্তু আমাদেব দেশের ধনীরা ত তাহমুদের সমান ধনী পাশ্চা লোকদের সমান দান লোকহিতকর কার্য্যে করেন না । বিলাতের সঙ্গে তুলনা না করিয়া দেখিতে পাই, আমাদের দেশেই বিদেশীদের চালিত ও প্রতিষ্ঠিত এবং তাহদের অর্থে পুষ্ট যত লোকহিতকর কাজ আছে, আমাদের তাহ নাই। সাত্ত্বিকতা, আধ্যাত্মিকতা, হৃদয়বত্তা, সাত্ত্বিক জীবন, আধ্যাত্মিক জীবন, দয়া, মুখের কথার হয় না ; কাজে তাহার পরিচয় ও প্রমাণ থাকা চাই । • অনেকের ধারণু আছে, যে, বাঙালীর মত বুদ্ধিমান खा,ि . अस्त्रउः भत्क বাঙালী অপেক্ষা বুদ্ধিমান জাঁতি, জগতে আর একটিওঁ নাই । ইহ সত্য. যে, चाबब्र' বুদ্ধিহীন নহি । ইহাও সত্য, যে, আমাদের মধ্যে প্রতিভাশালী কয়েকজন লোক জরিয়াছেন। কিন্তু বিবিধ প্রসঙ্গ—শক্তির সাধনার ত্যাগ ও গ্রহণ AMAM MAeAM MM SAAA AAAA SAAAAA SAAA AAAA SAAA AAAA AAAA S AAAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA SAAAAA AAAA AAAA SAAAAA AAAA AAAA AAAASAAAA AAAA AAAA M SM MMMM MAe eM MeS AAAAA AAAA MAMM MM SM A S M M MeA SAAM M S AAAA S

  • న్ఫ

AM S T SSASAS SSAS SSAS SSAS SSAS AAAAA AAAA AAAASASASS সমুদয় বাঙালী জাতিকে, কিম্বা সমুদ্রয় ভারতীয়, জাতুিকে বৰ্ত্তমান সমযে অদ্বিতীয় বুদ্ধিমান ও প্রতিভাশালী বা অপর সব সভ্য জাতিদের সমান বুদ্ধিমান ও প্রতিভাশালী মনে করিবার কোন প্রমাণ পাইক্টেছি না। আমেরিকার একজনু ভারতবন্ধু সা গুলো গু, সাহেব এমন একখানি বহি লিখিতে বা লিগাইতে চান যাঙ্গতে ভারতবর্যের মৃত ও জীবিত ঐতিহাসিক ( অর্থাৎ শুধু পুরাণে ও কাব্যে বর্ণিত •নহে ) এমন কুড়িজন মানুষের জীবনচরিত থাকিবে যাহার জগংসভার মধ্যে বরেণ্য বলিয়া পরিগণিত হইতে পারেন, অর্থাং যাহাদিগকে, pধু ভারতবর্ষের নহে, জগতের মহৎ লোকদের মধ্যেও পরিগণিত করা যাইতে পারে। তিনি আমাৰ নিকট এরূপু কুড়িজনের একটি তালিকা চাহিয়াছেন। একপ একটি তালিকা প্রস্তুত করা: সহজ সঙ্গে । মনে রাখিতে হইবে, যে দেশে বনস্পতি নাই, সে দেশে ভেরে গুণ গাছও বৃক্ষ । এখন ঠিক প্রাসঙ্গিক কথার মধ্যে আস যাকু। জাতির ' বুদ্ধিমত্তার ও প্রতিভার পরিচয় দুই দিকে পাওয়া যায়। এক সাংসারিক ধনদৌলত কৃষি শিল্প বাবুসা বাণিজ্যে, আর-এক জ্ঞানের ও রসস্থষ্টির রাজ্যে । বাংলাদেশে পুরুষানুক্রমে যাহাঁদের বাস, সেই বাঙালী আমরা গরীব, এবং ক্রমশঃ আবণু গরীব"ইঘ। যাইতেছি ; কিন্তু বাংলায় ভারতবর্ণের অন্যান্স প্রদর্শ ইন্তে ও বিদেশ ইষ্টতে যে কোন জুতিব লোক আসিতেছে, সেই থাইতে পাইতেছে, ধনী হইতেছে, অনেকে লক্ষপভি ক্রোরপতি হইতেছে, ইহা দ্বারা কি বাঙালীব বুদ্ধিমত্তার পরিচয় পাওয়৷ যাইতেছে ? বঙ্গে সকলের চেয়ে বড় বড় কলকারখানা পাটের, কিন্তু সে কলকারূপান বাঙালীর একটিও নাই। ইহাতে কি বাঙালীর বৃদ্ধিমত্তার পরিচয় পাওয়া যাইতেছে ? বড় বড় কয়লার খনি ও কারবার, নড় বড় লোহা ইস্পাতের কলকারূপান, এসব কাহাঁদের ? বঙালীর নহে । বঙ্গের • বৃহত্তম ছাপাখান বাঙালীর নহে, সকলের চেয়ে ধনী সওদাগরেরা বাঙালী নহে। • অতএব সাংসারিক হিসাবে বাঙালীকে বুদ্ধিমান বলা যায় না। ’ বিজ্ঞান দর্শন.ইতিহাস সাহিত্য এবং হুকুমারশিল্পের ক্ষেত্রে প্রতিভাশালী বধা আছেন, স্বীকার করি।