পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“No o o কিন্তু."সবে ধন নীলমণি'র মত জন-কয়েকের নাম খোড়বড়িখাড়া ও খাড়াবড়িখোড়ের মত বাঁর বার আস্ফালনপূর্বক উচ্চারণ করিয়া আমরা যেন মনে না করি, যে, আমরা জগতের কোনো শ্রেষ্ঠ জাতির সমান হইয়াছি। আগে বলিয়াছি, বঙ্গের লোকসংখ্যা মোটামুটি বিলাতের সমান । আচ্ছা, বিলাতের জীবিত ও মৃত বৈজ্ঞানিক গবেষক, আবিষ্কৰ্ত্তা ও যুক্স-উদ্ভাবকদের নামের একটা ফর্দ প্রস্তুত করুন। জীবিত ও মৃত বাঙালী বৈজ্ঞানিক গবেষক আবিষ্কৰ্ত্ত ও যন্ত্র-উদ্ভাবকদেরও একটি তালিকা এস্তুত করুন। দেখিতে পাইবেন, আমাদের মানসিক দারিদ্র কত বেশী। আমরা কেবল নামের গুস্তিই করিতে বলিতেছি , খুব বড় বৈজ্ঞানিক কোথায় কয়জন জন্সিয়াছেন, তাহার বিচার করিতে বলিতেছি না। কোন কোন দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রের ও পুস্তক ব্যবসায়ীদের বিজ্ঞাপনের ভাষার অনুকরণ করিয়া আমাদের জনকয়েক মনস্বীর অতিশয়োক্তিপূর্ণ প্রশংসা করা অত্যন্ত লজ্জার বিষয় । দর্শনের ক্ষেত্রে, ইতিহাসের ক্ষেত্রে, সাহিত্যের ক্ষেত্রে, স্বকুমারশিল্পের ক্ষেত্রে, এইরূপ তালিকা প্রস্তুত করিলে দেখিতে পাইবেন, আমাদের মানসিক দারিদ্র্য কত বেশী । আরও একটা লক্ষ্য করিবার বিষয় এই যে, ইউরোপ আমেরিকা ৭ জাপানের মনীষীর। বিদেশের দর্শন ইতিহাস প্রভৃতি আয়ূৰ করিম তাঙ্গতে নূতন কিছু করিবার চেষ্ট কবিখছেন কিন্তু সেরূপ করিবাব মত মানসিক সাঙ্গস প্রতিভা পাঞ্চিত আমাদের জাতির ত নাক্ট-ই, ভারতবর্ধসম্বন্ধীয় জ্ঞােনরাজ্যেব নাম বিভাগে৭ সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ গবেষক ৭ লেখক অল্পস্থলেই ভারতবর্ষবংশীয় । ইউরোপের যে সকল দেশের লোকসংখ্যা বঙ্গের চেয়ে কম, তাহাদের সহিতও আমাদের তুলনা এইপ্রকারে করা যাইতে পারে। আধুনিক জাপানের বয়স আধুনিক বঙ্গের বয়স . অপেক্ষ কম । কিন্তু কাৰ্য্যক্ষেত্রে ও জ্ঞানরাজ্যে জাপানীরা ইতিমধ্যেই বাঙালী অপেক্ষা কষ্ঠিতা ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়াছে।" এইরূপ আন কারণে, আমাদের ধারণা এই যে, প্রবাসী-আশ্বিন, రిన • नाझे ५ ( ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড লজ্জিত হইবার কারণ যথেষ্ট আছে। গজ্জিত হইবার কারণগুলি ক্ৰমে-ক্রমে নষ্ট করিতে পারিলে তবে আমরা একটু , সোজা হইয়া দাড়াইতে পারিব। গৌরব বোধ করিবার সময় পরে আসিতে পারে। কোন অবস্থাতেই কাহারও অহঙ্কত হওয়া উচিত নয় ; আমাuদরও কখনও উচিত হইবে না । , n অবস্থা ত এইরূপ। প্রতিকার কি ? সে বিষয়ে • ব্যবস্থা প্রাচীন কাল হইতে চলিয়া আসিতেছে। একেবারে অশ্রুতপূর্ব রকমের নূতন কিছু এবিষয়ে আমরা বলিতে অসমর্থ। স্বাস্থ্যরক্ষার নিয়মাবলী, প্রকৃতির অমুসরণ করিয়া জীবনস্থাপন করিবার নিয়মাবলী, গায়ে জোর যাহাতে হয় এরূপ খাদ্য ক্রীড়া ও ব্যয়ামের ব্যবস্থা–এসব আমরা বাল্যকাল হইতেই পড়িয়া ও শুনিয়া আসিতেছি। তাহার অমুসরণ না-করাতেই ত যত কুফল হয়। উপদেশ ও ব্যবস্থা পুরাতন হইলেই অকেজো হয় না। সত্য কথা বলিতে উপদেশ কত হাজার বা লক্ষ বংসর পূৰ্ব্বে কে কোথায় প্রথম দিয়াছিলেন, কেহ জানে না ; কিন্তু সে উপদেশের প্রয়োজন এখনও রহিয়াছে। স্বস্থ থাকিবার ও গায়ে জোর করিবার প্রয়োজন এখনও আছে, চিরকাল থাকিবে। তাহার জন্য যাহা করা ও যাহা নাকরা উচিত, তাহারঞ্জান অনেকের আছে, অনেকেরই যাহা জানা আছে, তদন্টুসারে কাজ করিলে স্বফল অনিবাধ্য। * g মানসিক শক্তি লাভ ও বৃদ্ধিও অমুশীলনসাপেক্ষ। সভ্যদেশসমূহে শিক্ষাদান-প্রণালী সম্বন্ধে বহু গবেষণা হইতেছে। তাহাব সাহায্যে অল্পবুদ্ধি বালকুবালিকাদেরও উন্নতি হইতেছে। সে-সকলের খবর আমরা রাখি না । রাখা উচিত । অনেকের ধারণা এই যে, সব সাহসী মাস্থ্য জন্মাবধি সাহসী, এবং যে শৈশষে বা বাল্যে ভীরু ছিল, পরে সে সাহসী হইতে পারে না । ইহা ভুল। মহাবীর গর্ডন বলিয়াছেন, "দি কেহ বলে যে সে জীবনে কখনও ভয় পায় নাই, তাহা হইলে সে লত্য কথা বলে না। আমি প্রথম যখন যুদ্ধক্ষেত্রে বলুক ছড়ি, তখন চোখ বুজিয়া টুড়িয়া