পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] নিম্নবঙ্গের মঠ - ዳ‹} নিমবঙ্গের মঠ জন্মস্থঃখী কবি কাদিয়া কহিয়াছিলেন যে,— “ও ভাই বঙ্গবাসী, আমি ম’লে তোমরা আমার চিতায় দিবে মঠ ?" চিতার উপর মঠ প্রতিষ্ঠিত হউক টঙ্গ প্রাচীন কালের হিন্দুর চিরন্তন আকাঙ্ক্ষার বিষয় ছিল । পিতামাতার ও আয়ীয়-স্বজনের চিতাব পরলোকগম্ভ মঠ দিয় সোনারদের মঠ—ঢাকা । So প্রাচীনকালে চিন্দ্রসন্তান আত্মপ্রসাদ লাভ করিতেনশ এই প্রথা এখনও পূর্ববঙ্গে লুপ্ত হয় নাই, এখনও র্যাহারই সাধ্যে কুলার তিনিষ্ট পিত। মাতার শ্মশানে মঠ প্রতিষ্ঠিত করা পুণাজনক মনে করেন । কিন্তু এখন আর মঠগুলি আগের মত অভ্র ভেদ করিয়া উঠে না, পাচ ক্রোশ দূর হক্টতে আর তাহাদের শির দেখা যায় না । দায়-সার গোছের হাত দশ বার তৈয়ারী হইলেই খুব হইল। অনর্থক অত ইট স্বরকি স্তপীকৃত করিয়া ফেলিয়। রাখে কে ? এই নয়নানন্দদায়ক স্থাপত্যনিদর্শনগুলি নানা নৈসর্গিক উৎপাতে ক্রমেই লুপ্ত হইয়া যাইতেছে । ১৮৯৭ খৃঃ অব্দের বিখ্যাত ভূমিকম্পে আমাদের গ্রামের প্রকাণ্ড একটি মঠ কেওয়ার গ্রামের মঠ-চাকা ।