পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কীৰ্ত্তিক এভারেক্ট-অভিযান ও ভারতীয় Cশপ So & معینی مییم কাৰ্য্য করিয়া ঐ সনেই অবসর গ্রহণ করেন । কর্ণেল ল্যামবার্ট ভারতীয় ত্রিকোণমিতিক জরীপ-কার্য্যের প্রবর্তক হইলেও ভোরেষ্টের অদম্য উৎসাহে ও অক্লাপ্ত পরিশ্রমে এই বিভাগ মুনিয়স্থিত হইয়াছিল। এভারেষ্ট প্রায় তেইশ বৎসর অবসর-জীবন যাপন করিয়া ১৮৬৬, ১লা ডিসেম্বর গ্রীনউইচে পরলোকগমন করেন । গল্প এভারেষ্টর অধীনে কায্য করিয়া তাঙ্গরই অনুস্থত পারঙ্গম হইয়াছিলেন এক জন বাঙালী -তিনি রুপনাথ শিকদার । র্তাহার বিষয় ইদানীং অল্পবিস্তর সকলেষ্ট গণিতে পারিয়াছেন । কখনও জরীপ-কায্যে, কখনও বা সদাপের ফলাফল গণনায় তিনি এভারেষ্টের দক্ষিণ হস্ত 1ঠলেন। পরবর্তীকালে (১৮৫১ খ্ৰীষ্টাব্দে) ভারত-সরকার কত্ত্বক প্রকাশিত জরীপ-বিষয়ক পুস্তকের ( The Manual or বহু অংশ তাহার পাণ্ডিত্যের নিদর্শন । এভারেষ্ট সহকারী রাধানাথকে কিরূপ শ্রদ্ধার চক্ষে :খিতেন তাহ রাধানাথের পিতা তিতুরাম শিকদারকে লিখিত র্তাহাব পত্র পাঠে সম্যক জানা যায়।* ভারতসরকারের পক্ষ হইতে সম্প্রতি হিমালয় ও তিব্বতের ভূগোল ও ভূতত্ত্ব বিষয়ক একখানি পুস্তক প্রকাশিত ইহাতে রাধানাথ যে চীফ কম্পিউটার বা প্রপান গণনাকারী ছিলেন ইহাই বার-বার উল্লেখ করা ইংঘাছে। রাধানাথ শিকদার শুধু কম্পিউটার বা গণনাকারীই ছিলেন না, তিনি জরীপ-কার্য্যেও নিযুক্ত ছিলেন। ঈষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর কোর্ট অফ ডিরেক্টস ১৮৪৭ খ্ৰীষ্টাব্দে ভারেষ্ট কৃত একথানি পুস্তক রাধানাথ শিকদারকে উপহার ল। এই পুস্তকখানি রাধানাথের ভ্রাতুষ্পুত্র অশীতিপরপে শযুক্ত কেদারনাথ শিকদারের নিকট আমি দেখিয়াছি। ট, গরদান-সম্পর্কে ইহাতে হস্তাক্ষরে লেখা আছে, *abū Radhanath—Presented by the Court of lorectors of the East India Company in পুপতিতে Nurreying )

  • を邪ひ5 |
  • knowledgment of his active participation

he Modern Review for September, 1933. aas જૂઠ્ઠા | “3GFH HÌN–A Sketch of the Geography and (“ ”) of Himalaya Mountains and 7 foes. By But I and Hayden. 3 x8-3 se পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য । in the survey.” এরূপ ক্ষেত্রে রাধানাথ শিকদারকে শুধু গণনাকারী বা প্রধান গণনাকারী বলিলে মুত ব্যক্তির উপর অশ্রদ্ধা প্রদর্শনষ্ট হইবে না, পরস্তু সত্যেরও অপলাপ হইবে । এভারেষ্ট-অভিযান প্রসঙ্গে রাধানাথ শিকদার সম্বন্ধে এত কথা বলিবার একটি সঙ্গত কারণ আছে । বৎসরতিনেক পূৰ্ব্বে প্রবাসী ও মডার্ণ রিভিউ মাসিকে রাধানাথ শিকদার সম্বন্ধে ইংরেজী ও বাংলা তিনটি প্রবন্ধ লিখি । তাহাতে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে ইহাও বলিয়ছিলাম যে, রাধানাথষ্ট সৰ্ব্বপ্রথম গণনা করিয়া বাহির করেন এভারেষ্ট-শৃঙ্গের ন্যায় সমউচ্চতাবিশিষ্ট পৰ্ব্বত এ জগতে আর দুইটি নাই। এই প্রসঙ্গে ১৯০৪, ১০ই নবেম্বরের বিজ্ঞান সঙ্গঙ্গীয় ‘নেচার’ পত্রে প্রকাশিত একটি প্রামাণিক প্রবন্ধ ও ভারতীয় জরীপ-বিভাগের ভূতপূৰ্ব্ব পদস্থ কৰ্ম্মচারী, অক্সফর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোলের অধ্যাপক এবং মুপ্রিসিদ্ধ বার্ষিক *হিমালয়্যান জর্ণ্যালে’র সম্পাদক মেজর কেনেথ মেসনের বক্তৃতার অংশবিশেষ উদ্ধৃত করি । উক্ত সরকারী পুস্তকে এই সকল প্রস্তাব মনোরম গল্প বলিয়। উড়াইয় দিবার চেষ্টা করা ইষ্টয়াছে ! একথা সত্য যে, একমাত্র রাধানাথ শিকদারকেই এভারেষ্টের আবিষ্কৰ্ত্ত বল ভ্ৰমাত্মক । বস্তুতঃ আমিও একথা কুত্ৰাপি বলি নাই । এভারেষ্টের ভারতবস ত্যাগের পর তাঁহারই পদ্ধতি অনুসরণ করিয়া মান দিক হইতে অন্যগুলির ন্যায় এই শুঙ্গটিরও উচ্চতা নির্ণয়ের জন্য পৰ্য্যবেক্ষণ চলিতেছিল । এই সকল পৰ্য্যবেক্ষণের ফল কলিকাতার সার্তে আপিসে তৎকালীন সার্ভেয়র-জেনরল স্তার এ শুরু ওয়ার অধীনে গণনা আরম্ভ হয়, এবং ১৮৫২ সনে রাধানাথ শিকদার সর্বপ্রথম এভারেষ্ট সৰ্ব্বোচ্চ শৃঙ্গ জানিয় তাহাকে জানান। এই শৃঙ্গটি এযাবৎ ‘কে পঞ্চদশ’ ( K. XW ) নামে অভিহিত হইতেছিল। স্থানীয় নামের অভাবে ভারতীয় জরীপবিভাগের নিয়ামক জর্জ এভারেষ্টের নামে অতঃপর ইহার ‘এভারেষ্ট’ নামকরণ হইল। অদ্যাবপি ইহা এভারেষ্ট নামেই পরিচিত। ૨ ইদানীং কয়েক বৎসর ধরিয়৷ হিমালয়ের শৃঙ্গগুলি