পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩৬ প্রবাসী ১৩৪২ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধিপতি ব্রিটেনের তত্ত্বাবধানে থাকিবার যোগ্য, তেমনি আবিসনিয় ক্ষুদ্র দেশ বলিয়৷ ব্রিটিশ সাম্রাজ্য অপেক্ষ ক্ষুদ্রতর ইতালীয় সাম্রাজ্যের প্রভূ ইতালীর তত্ত্বাবধানে থাকিবার যোগ্য ।”* এসিয়া ও আফ্রিকার কঁাচ মালের ভাগাভাগি এসিয়া ও আফ্রিকার অশ্বেত জাতিদের পক্ষে পরম সান্তনাদায়ক আর একটি কথা সবু সামুয়েল হোর বলিয়াছেন। १५ी “As regards colonial raw materials, it is not nnatural for the existing state of affairs to arouse ars of exclusive monopolics at the expense of rit's not possessing colonial empires. It may be, • problem has been exaggeraled, but we will be lish to ignore it. Britain should by reidy te

cipate in the investigation of these matters.” তাৎপৰ্য্য । ঔপনিবেশিক কঁচে। মাল সম্বন্ধে বক্তব্য এই যে, বৰ্ত্তমান অবস্থায়, যে-সব দেশের ঔপনিবেশিক সাম্রাজা নাই তাহীদের পক্ষে অসুবিধাজনক তদ্রুপ সাম্রাজ্যশালী অষ্ঠ দেশসকলের দ্বার কাচামাল

সমুহে একচেটিয়া অধিকারের আশঙ্কার উদ্রেক অস্বাভাবিক নহে। হইতে পারে, যে, এই সমস্তাটিকে বাস্তবের চেয়ে বড় করিয়া বর্ণনা করা হইয়াছে। কিন্তু ইহার অস্তিত্ব ন৷ মান আমাদের পক্ষে মুঢ়ত। হইবে। এই সব ব্যাপারের তদন্তে যোগ দিতে ব্রিটেনের প্রস্থত থাক। উচিত। উপনিবেশের ঠিক্ অর্থ সেই দেশ যাহা অন্য দেশ হইতে আগত লোকদের দ্বারা অধুষিত হইয়াছে—যেমন কানাডা, অষ্ট্রেলিয়া ইত্যাদি। কিন্তু ইউরোপীয়ের যে-সব দেশ দখল করিয়াছে অথচ তথাকার স্থায়ী বাসিন্দা হয় নাই, সেগুলাকেও তাহারা চলিত ভাষায় উপনিবেশ বলিয়া থাকে ; যেমন ভারতবর্ষ, জাভা, কাম্বোডিয়া, আফ্রিকার অনেক দেশ। সবু সামুয়েল হোরের উল্লিখিত সমস্যাটা এই, যে, ব্রিটেন ফ্রান্স হল্যাণ্ড প্রভৃতি দেশ তাহাদের “উপনিবেশ"গুলি হইতে যেরূপ সহজে ও বেশী পরিমাণে র্কাচ মাল আহরণ করিয়া তাহা হইতে তাহাদের কারখানার সাহায্যে তৎসমুদয়কে মূল্যবান পণ্যদ্রব্যে পরিণত করিয়া বিক্রী করে, ইতালী ও অন্য কোন কোন দেশ তাহ

  • রাষ্ট্রসংঘের ( League of Nationsএর ) ব্যবহার অনুসারে স্মল নেগুন বা ক্ষুদ্র জাতির ব্যাখ্য' সম্বন্ধে মডার্ণ রিভিয়ুর গত জুন সংখ্যার ৭২৭ পৃষ্ঠা দেখুন।

করিতে পারে না। অতএব ইতালী বলিতে পারে, “তোমাদের সাম্রাজ্যের র্কাচা মালে তোমাদের একচেটিয়া অধিকার আছে ; কঁাচ মাল সংগ্রহের জন্য আমাদিগকেও ঐরকম একটা সাম্রাজ্য অর্জন করিতে দাও।” সৰ্ব সামুয়েল বলিতেছেন, এই রকম বিষয়ের আলোচনায় যোগ দিতে ব্রিটেনের প্রস্তুত থাকা উচিত। বটেই ত ! মেজর বামনদাস বক্ষ তাহার কোন কোন গ্রন্থে ও of fifolio, “colonization means dispiacement.” “উপনিবেশস্থাপনের অর্থ আদি বাসিন্দাদিগকে স্থানচ্যুত করা।” কোন কোন মহাদেশে ও দেশে এই স্থানচ্যুতি সংসাধিত হইয়াছে নিমূলীকরণ বা প্রায় নিমূলীকরণ দ্বারা—যেমন উত্তর আমেরিকায়, অষ্ট্রেলিয়ায় ও আফ্রিকার অনেক দেশে । ভারতবর্ষের মত দেশে এই রকমের স্থানচ্যুতি সম্ভবপর হয় নাই। এখানকার কাচা মাল যাহাতে প্রধানতঃ ব্রিটেন প্রভৃতি ইউরোপীয় দেশের লোকেরা কারখানায় দামী জিনিষ তৈরি করিবার জন্য ব্যবহার করিতে পারে তাহার চেষ্টাই করা হইয়াছে। ভারতবর্ষের লোকের আগে যেমন ভাল চাষী ছিল, তেমনি স্বদক্ষ পণ্যশিল্পীও ছিল । বাষ্পীয় যন্সের সাহায্যে পরিচালিত কারখানার যুগেও তাহার। সেইরূপ সুদক্ষ পণ্যশিল্পী হইতেই পারিত ; কিন্তু তাহাদিগকে তদুপযোগী শিক্ষা ও সুবিধা দেওয়া হয় নাই, বরং অসুবিধা ও বাধারই স্বষ্টি হইয়াছে, এই বিষয়টির বিস্তারিত বর্ণনা এখানে হইতে পারে না । বিস্তারিত বৃত্তান্ত মেজর বামনদাস বন্ধ প্রণীত “কুইন্‌ অব ইণ্ডিয়ান ট্রেড এণ্ড ইণ্ডাষ্টিজ” নামক পুস্তকের সদ্য প্রকাশিত তৃতীয় সংস্করণে দ্রষ্টব্য। এখানে কেবল ইহা বলিলেই চলিবে, যে, ইউরোপীয়ের বরাবর এইরূপ ধারণা পোষণ করিয়া আসিতেছে, যে, এসিয়া ও আফ্রিকা তথাকার আদি অধিবাসীদের সম্পূর্ণ ব্যবহারের জন্য নহে। ইউরোপীয়েরা তথাকার যে-যে অঞ্চলে বসবাস করিতে পারে, তথায় তাহা করিবে। যদি তদৰ্থে বা তাহার ফলে আদি অধিবাসীরা নিমূল বা দাসবৎ হয়, তাহা হইবে। যে-সব অঞ্চল ইউরোপীয়দের বসবাসের যোগ্য নহে, তথাকার অধিবাসীরা ইউরোপীয়দের জন্য র্কাচা মাল উৎপন্ন করিবে— তাহারা সেগুলা নিজেদের কারখানায় মূল্যবান পণ্যে পরিণত