পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাৰ্ত্তিক ৰিবিধ প্রসঙ্গ—ইতালী-আবিসনিয়া সমস্যা SBS সুতা ও কাপড় কিনিয়া । বঙ্গের কোন কোন কাপড়ের মিলে হিন্দু মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের ডিরেক্টর আছেন। মিঃ গৌবী জানিয়া রাখুন, প্রত্যেক ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের লোক যদি কেবল স্বস্ব সম্প্রদায়ের তৈরি বা উৎপন্ন জিনিষ কেনে, তাহা হইলে হিন্দুরা ঠকিবে না, ঠকিবে মুসলমানেরা। কারণ, হিন্দুদের সংখ্যা বেশী, কিনিবার সামর্থ্য বেশী, এবং এমন কোন পণ্যশিল্প নাই যাহা সকল হিন্দুরই পক্ষে চিরকাল নিষিদ্ধ ছিল । এখন ত কোনটিই কোন হিন্দুর অকরণীয় নহে। জীবনযাত্রা নিৰ্ব্বাহের জন্য যে-কোন জিনিষ দরকার, কোন-না-কোন হিন্দু জাতি তাহা প্রস্তুত করে এবং চিরকাল করিয়া আসিতেছে। মিঃ গৌবী লিখিয়াছেন, “আধুনিক সময়ে হিন্দুরা গো-চৰ্ম্ম-নিৰ্ম্মিত বুট ও জুতার ব্যবসা করিতে আরম্ভ করিয়াছে।” আধুনিক সময়ে নহে, স্মরণাতীত কাল হইতে হিন্দু চৰ্ম্মকারের (মুচি ও চামারের ) জুতা প্রস্তুত ও বিক্ৰী করিয়া আদিতেছে। আধুনিক সময়ে অবশু অন্ত জাতির হিন্দুরাও জুতা নিৰ্ম্মাণ ও বিক্রয় করিতেছে । ইহা হিন্দু মহাসভার অনুমোদিত । স্বকীয়নাসিকাচ্ছেদনপূর্বক অন্যণীয়যাত্রাভঙ্গোদ্যম সমীচীন নহে এই কারণে, যে, স্বীয় নাসিকাটির ছেদন যেরূপ ধ্রুব, অন্যের যাত্রাভঙ্গটি তদ্রুপ ধ্রুব না-হুইতেও পারে। রাষ্ট্রসংঘে ভারতের দেয় হ্রাস ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভায় একটি প্রশ্নের উত্তরে সর সূপেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, যে, ভারতবর্ষকে রাষ্ট্রসংঘকে লীগ অব নেশুঙ্গকে ) বার্ষিক যত টাকা দিতে হয়, তাহ এক য়ুনিট কমান হইয়াছে এবং ভবিষ্যতে আরও কমান হইবে কিনা তাহ বিবেচনাধীন। ভারতবর্ষের দেয় যে এক যুনিট কমিয়াছে, তাহ ১৯৩৪ সালের “দি লীগ ফ্রম ইয়্যার টু ইয়ার” পুস্তকের ১৮৭ পৃষ্ঠায় আছে। এক-আধ যুনিট-কমার জন্ত আমরা ব্যগ্র নহি । লীগ ভারতবর্ষের পক্ষে অকেজে, ইহাও ঠিক। ব্রিটেনের লাজুলে বাধা অবস্থায় ভারতবর্ষের লীগে থাকায় লাভের চেয়ে লোকসান বেশী, তাহাত সহজেই সূৰ্ব্ব ধায় । যদি লীগে ভারতবর্ষের প্রতিনিধিরা ভারতীয় কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপক সভার নির্বাচিত সভ্যদের দ্বারা নিৰ্ব্বাচিত ই, যদি লীগের কৌদিলে ভারতবর্ষের এই প্রকারে নির্বাচিত এক জন প্রতিনিধিকে সদস্ত করিয়া লওয়া হয়, এবং যদি লীগের আফিসের দায়িত্বপূর্ণ কাজে ও কেরাণীদের মধ্যে উপযুক্তসংখ্যক ভারতীয়কে লওয়া হয়, তাহা হইলে লীগের শক্তিহীন অবস্থাতেও ভারতবর্ষের লীগের সভ্য থাকা অবাঞ্ছনীয় হইবে না। কারণ, অন্ত কোন লাভ হউক বা নাহউক, জেনিভায় রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধির সভাদির অধিবেশন উপলক্ষে পৃথিবীর সকল সভ্য দেশের বড় বড় রাজনীতিঙ্গেরা, অর্থতত্ত্বজ্ঞেরা, স্বাস্থ্যতত্ত্বজ্ঞেরা ও সমাজতত্ত্ববিদেরা একত্র হন । র্তাহাদের সহিত আলাপ-পরিচয় ও ভাব-চিস্তার: আদানপ্রদান লাভজনক ও বাঞ্ছনীয়। লীগে ভারতীয়দের নিয়োগ সম্বন্ধে একটা কথা অনেকেরই জানা নাই, যে, সেখানেও আগা খাঁ ও বেগম শাহ নেওয়াজ মুসলমান বলিয়াই ( যোগ্যতম বলিয়া নহে ) মুসলমান উমেদারদেরই চাকরী পাইবার পক্ষে অপ্রকাগু ভাবে: ওকালতী জুড়িয়া দিয়াছেন। ইতালী-আবিসীনিয়া সমস্যা উপলক্ষ্যে রুশীয় প্রতিনিধির বক্তৃতা ইতালী ও আবিসনিয়ার বিবাদ উপলক্ষে লীগ অব। নেশুন্সে যে-সব আলোচনা ও তর্কবিতর্ক হইতেছে, তাহার মধ্যে এক দিন ইতালীর প্রতিনিধি আবিসনিয়ার আভ্যন্তরীণ দুরবস্থা প্রভৃতির বর্ণনা করেন। এ-সব বর্ণনার উদ্দেশ্য পৃথিবীকে জানান আবিসনিয়ার সম্রাট স্বশাসক ও যোগ্য শাসক নহেন, অতএব ইতালীকে সেই দেশের রক্ষক ও উদ্ধারকত্ত করা হউক। কিন্তু ইউরোপের শ্বেতকায়েরা আমেরিকা ও আফ্রিকায়, কিংবা এসিয়াতেই, কোথাও বাস্তবিক রক্ষক রূপে গিয়াছেন কি ? ইহা নিশ্চিত যে ইতালীকে আবিসনিয়ার রক্ষক করিয়া দিলে সে ভক্ষক হইবে। ইতালী কর্তৃক আবিসনিয়ার দুরবস্থা বর্ণনা উপলক্ষ্যে রাশিয়ার প্রতিনিধি মিঃ লিটভিনফ স্বাধীনচিত্ততা ও দ্যায়পরায়ণতার পরিচয় দিয়াছেন। রয়টরের টেলিগ্রাম অনুসারে তিনি সেদিন বলেন – “Nobody sympathized with the internal regiment, of Abyssinia as demonstrated by the Italian document; but no internal conditions could deprive a state of its. right to integrity and independence.”