পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কীৰ্ত্তিক বিবিধ প্রসঙ্গ—লণ্ডনে বাঙালী পুস্তক-বিক্রেতা SBS আবগুক পুস্তক ও রিপোর্টগুলি আমাকে উপহার দিবেন।” তাহাতে র্তাহারা আমাকে তাহাদের একখানা পুস্তকতালিকা পাঠাইয় দেন। আমি তাহা হইতে বাছিয়া একটা ফৰ্দ পাঠাই। যাহা চাহিয়াছিলাম, সব পাই নাই মনে আছে। ম্যাণ্ডেট সম্বন্ধীয় একখানি রিপোর্টও চাহিয়া পাই নাই, ইহা আমার মনে আছে, আমার ফর্দের অন্য কি পাই নাই, এখন মনে নাই। লীগের আমাকে টাকা দিবার ইচ্ছার কারণ সম্বন্ধে কিছু বলিতে চাই না, তবে তাহা যে নিছক্‌ সৌজন্য বা ন্যায়নিষ্ঠা হঠতে উৎপন্ন হয় নাই, এরূপ অনুমান করা যাইতে পারে। কেন না, যদিও আমি লীগের নিমন্ত্রিত অতিথি ছিলাম এবং তাহার সংবাদসরবরাহ-বিভাগের তৎকালীন কৰ্ত্তা কমিং সাহেব স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া লীগের তৎকালীন সেক্রেটরীজেনার্যাল সৰ্ব এরিক ড্রমণ্ডের সহিত আমার সাক্ষাৎকারের দিন ও সময় স্থির করেন, তথাপি আমি লীগ আফিসে ঠিক সেই সময়ে গেলে ঐ ড্রমও অতিব্যস্ততার ওজুহাতে আমার সহিত দেখা করিতে অসামর্থ্য জানায় ! এ-কথা স্বভাষ বাবু ঠিকই বলিয়াছেন, যে, লীগ-প্রতিষ্ঠার অন্যতম উদ্দেশ্য গুপ্ত রাজনৈতিক কথাবাৰ্ত্তার ( secret diplomacyর ) পরিবর্তে প্রকাশু আলোচনা চালান, অথচ সেই লীগ এখন গোপনীয় বলিয়া কোন কোন সংবাদ দিতে চায় না ! ভারতীয় দেশী রাজ্যের রাজার লীগের ভারতীয় চাদার কোন অংশ দেয় না, অথচ তাহাদের কেহন-কেহ বরাবর লীগে ভারতীয় প্রতিনিধি মনোনীত হয়, ইত্যাদি আর যে-সব কথা স্বভাষ বাবু বলিতেছেন, এইরূপ নানা সমালোচনা আমি জেনিভা যাওয়ার পর হইতে করিয়াছি। সেই সব কথার কিছু কিছু ভারত-গবন্মেন্টের মনোনীত প্রতিনিধিরাও পরে বলিয়াছেন। পেন্সিলভেনিয়ায় শ্বেত-অশ্বেতের সাম্য পেন্সিলভেনিয়া আমেরিকার য়ুনাইটেড ষ্টেটসের একটি রাষ্ট্র, তাহাতে যেমন শ্বেত অধিবাসী আছে, তেমনি সাড়ে চরি লক্ষ নিগ্রোও আছে। আমেরিকার নিগ্রোদের দাসত্ব ১৮৬৫ সালে আইন অনুসারে বিলুপ্ত হইয়া থাকিলেও, তাহারা দেশের সর্বত্র সকল বিষয়ে প্রতিষ্ঠানে ও স্থানে বেতদের সমান ব্যবহার পায় না। পেন্সিলভেনিয়া রাষ্ট্র সম্প্রতি আইন করিয়াছে যে, এই অসাম্য দূরীভূত হইবে। আইন অনুসারে প্রত্যেক হোটেলে শ্বেতদের সঙ্গে সমান সৰ্বে তাহারা প্রবেশ ও স্থান লাভ করিবে । কোন সাধারণ স্নানাগার ও সস্তরণাগার তাহাদের প্রবেশে বাধা দিতে পারিবে না—যেরূপ বাধা সম্প্রতি লণ্ডনে ভারতীয় কোন কোন ছাত্রকে পাইতে হইয়াছে। রেলওয়ে ট্রেনে ও বসে তাহারা ভাড়া দিয়া যেখানে ইচ্ছা বসিতে পারিবে। থিয়েটারে ও অন্য সব সাধারণ আমোদাগারে তাহারা টাকা দিয়া কোন শ্বেত নারীর পাশের আসনে বসিলেও ম্যানেজার আসিয়া তাহাদিগকে উঠাইয়া দিতে পারিবে না । গত ১লা সেপ্টেম্বর হইতে এই আইন জারি হইয়াছে। উপরের বিবৃতি হইতে পাঠকেরা বুঝিতে পারিবেন, দাসত্বমোচনের পরেও আমেরিকায় নিগ্রোদের সামাজিক অনধিকার অনেক দিকে ভারতবর্ষের অস্পৃশুদের অনধিকারের চেয়ে বেশী বই কম নহে। অন্ততঃ একটি রাষ্ট্রে এই সামাজিক অসাম্য অন্ততঃ আইনের পাতায় লুপ্ত হইল, ইহা সন্তোষের বিষয় । লণ্ডনে বাঙালী পুস্তক-বিক্রেতা ঐযুক্ত ডক্টর শশধর সিংহ, পিএইচ-ডি ( লগুন), এক জন কৃতবিদ্য বাঙালী যুবক ও স্থলেখক। তিনি গতানুগতিক কিছু না-করিয়া লগুনে পুস্তক-বিক্রয়ের ব্যবসা আরম্ভ করিয়াছেন। বিলাতী ও অন্য ইউরোপীয় নূতন বহিও তিনি জোগাইবেন, কিন্তু পুরাতন পুস্তক সংগ্রহ ও জোগানর দিকেই তিনি বিশেষ দৃষ্টি দিবেন। বিলাতে অনেক ভাল বহিও অনেকে কিনিয়া পড়িয় তাহার পর অল্পমূল্যে বিক্রা করে । এই জন্য প্রকাশের কয়েক মাস পরেই অনেক ভাল বহিও প্রায় নূতন অবস্থায় কম দামে পাওয়া যায়। তা ছাড়া দুষ্প্রাপ্য মূল্যবান পুরাতন পুস্তকও পাওয়া যায়। শশধর বাবুর ব্যবসার কথা আমরা মডার্ণ রিভিয়ুতে সম্পাদকীয় পৃষ্ঠায় লেখায় তিনি ইতিমধ্যেই অর্ডার পাইতেছেন, লিথিয়াছেন। তাহার দোকানের ঠিকানা—2 Great Ornıond Street, London, W. C. 1. *¡é \ïfà qGIoí রিভিয়ুর বিজ্ঞাপন-পৃষ্ঠায় স্রষ্টব্য।