পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাভিক বিবিধ প্রসঙ্গ—শান্তিরক্ষা ও ভারাপণের অনুকুলতম অবস্থা S.(Nථා পশুর খাদ্য এবং জমীর সার রূপে খইলের ব্যবহারে, প্রভৃতি মান প্রকারের তৈল-বীজ ব্যবহৃত হওয়ায় উন্থ প্রচুর পরিমাণে ভারতবর্ষ হইতে বিদেশে রপ্তানী হয়। তাঁহাতে ভারতবর্ষের মে ক্ষতি হয় না, তাহী নহে। তাহা পরে বলিতেছি । ১৯৩২-৩৩ সালে ১১৩১ লক্ষ টাকা মূল্যের ৭৩৩০০০ টন বাজ ভারতবর্ষ হইতে রপ্তানী হয়, ১৯৩৩-৩৪ সালে রপ্তানী হয় ১৩৬৬ লক্ষ টাকা মূল্যের ১১২৪০ ০০ টন বীজ । এখন পুপানী আরও বাড়িয়া থাকিবে । এই চোঁদ-পনের কোটি টাকার বীজ বিদেশে গিয়া তৈলে, উদ্ভিজ্জ য়ত ও চর্বিতে, পড়লে ও অন্য নানা রকম অধিকতর মূল্যের জিনিষে পরিণত চষ্টয়; অন্যান্ত দেশের মত ভারতবর্ষেও আবার আসে ও পিকী হয়। অতএব, তৈলবীজসমূহ রপ্তানী না-করিয়া ভারতবর্ষেই তাহ তৈল উদ্ভিজ্জ্বল্পতাদি ও খইলে পরিণত করা শ্রেয় কি-না বিবেচ্য। ডক্টর শ’র প্রবন্ধে ইহার সপক্ষে ও বিরুদ্ধে ,ক্তিগুলি এইরূপ উল্লিখিত হইয়াছে — সপক্ষে (১) খইল বেশী পরিমাণে দেশেই রক্ষিত হইয়া জমীর • 4 ও গণাদির খাদারূপে ব্যবঙ্গত হইল। (২) তৈলসিঞ্চাশনাদি প্রসার লাভ ভারতব.ষ থাকিবে এবং লিস্তর ভারতীয় লোক কাজ প হলে ! (৩; ভারতেই বীজগুলি পিষ্ট হইলে তাজ ও উৎকৃষ্টতর তৈল সং’ল্প হইতে পরিবে । বিরুদ্ধে–(১) ভারতবর্ষ প্রধানতঃ কৃলিঙ্গীল দেশ, অতএব এখানে ." পাণ্ডুহিঁয়। উৎপন্ন শস্ত বৃদ্ধি ও তাহার রপ্তানীতে মন দেওয়াই ভাল । (২) তৈল লিঙ্কাশন ব্যবসা ভারতে বিস্তুত ভালে প্রতিষ্ঠিত হইলেও ১৭৭ তৎপরতার সহিত সাররূপে গইল ব্যবহার করিবে না, স্বতরাং :ম উপকৃত হইবে না। (৩) এখনই ভারতবধ অনেক তেল ও থইল ** দী করে , তাহ হইতে বুঝা যায়, যে, ভারতে এই জিনিষগুলির ১.iখন যথেষ্ট মিটাইয়। তবে রপ্তানী হয় ; সুতরাং এদেশে তৈল নিষ্কাশন + 'র অধিকতর বিস্তৃতি অনাবশ্যক। (৪) ইউরোপ যেরূপ খুব * গুণ-কর তেল চায় তাহ উৎপন্ন করিতে ভারতবর্ষের এখনও অনেক ম’ লাগিবে, মুতরাং তৈল নিষ্কাশন ব্যবসার শ্ৰীবৃদ্ধি হইবে না । * ; গুল অপেক্ষ, তৈল-বীজ রপ্তানী কর সঙ্কজ । পাঠকেরা দেখিবেন, বিপক্ষের যুক্তিগুলা অখণ্ডনীয় নহে। * পাঠের পর তর্কবিতর্কের সময় মিঃ বি টি মুলওয়ানী W. B. T. Mulwani—বোধ হয় সিন্ধী ) বিরুদ্ধযুক্তিধ, সমুচিত জবাব দেন। ভারতবর্ষ এখন প্রধানতঃ কফি দেশে পরিণত হইয়া থাকিলেও বরাবর তাহ ছিল —তৈলের ব্যবসাতেই ত অসংখ্য ঘানি চল, তেলের কল অনেক স্থাপিত হইয়াছে, আরও ’তে পারে। ভাল সৰ্ব্বাপেক্ষ আধুনিক যন্ত্র আমদানী বা প্রস্তুত করাইয়৷ বিশেষ যোগ্য বিশেষজ্ঞ নিযুক্ত করিলেই খুব রিফাইন-করা তেল উৎপন্ন হইতে পারে। বিদেশ হইতে ভারতবর্ষে বিস্তর কৃত্রিম সার আমদানী হইতেছে, তাহাতে কালক্রমে জমীর উর্বরতা নষ্ট হইতে পারে। তৈলনিষ্কাশন ব্যবসা ভারতে আরও প্রচলিত হইলে গবাদি পশু খইল খাইয়া বেশী দুধ দিবে ও চাষের কাজের বেশী যোগ্য হইবে, এবং একটু চেষ্টা করিলেই চাষীরা বিদেশাগত কৃত্রিম সার ব্যবহার না-করিয়া খইল ব্যবহার করিবে । তাহাতে জমীর উর্বরতা স্থায়ী ভাবে রক্ষিত ও বদ্ধিত হইবে । তৈলনিষ্কাশন ভারতেরই একটি বড় ব্যবসাতে পরিণত হইলে অনেক বেকার লোক কাজ পাইবে, এবং দেশের টাকা দেশে থাকিবে। তৈল-বীজের মধ্যে প্রবন্ধটির পরিশিষ্টে তিসি, রাই ও সরিষা, এবং তিলের বিস্তারিত হিসাব ভারতবর্ষের প্রত্যেক প্রদেশের জন্য দেওয়া হইয়াছে । চীনে-বাদাম, কাপাস-বীজ, ও রেড়ীর উল্লেখ আছে । নারিকেলেরও উল্লেখ আছে । গুঞ্জ বা স্বরগুঞ্জার উল্লেখ দেখিলাম না । তিসি, রাই ও সরিষা এবং তিলের যে হিসাব হইতে ১৯৩২-৩৩এর দেওয়া হইয়াছে, তাহাতে বঙ্গে কোন বীজেরই উংপশ্নের পরিমাণ কমে নাই, বরং কিছু বাড়িয়াছে দেখা যায়। বৰ্ত্তমান অবস্থা জানি না । ভিন্ন ভিন্ন প্রদেশে ১৯৩২-৩৩ সালে এই বীজগুলির উৎপন্ন পরিমাণ টনে দিতেছি । وا يتحے 6 جيل لاجه ●ርጃማ ! তিসি । রাই ও সরিস । তিল । বাংল। З 8 о о з > & B z < * \58 o o e বিহার-উড়িষ্য సె " ఆ చి చి : 8 c a o e 33 о е লোম্বাই 3 3 и о в Roy e o a 3.* - в в মধ্যপ্রদেশ-বেরার b 3 в. в е у ée е е 8", в. е е পঞ্জাব \3 е в в 3 2 - е е с У : • в в অfগ্র -অযোধ্য *3? в в в e 4 в в в 83 во в 8 $3r o a a 3е е в а

  • ( মিশ্র ফসল ) ১৪৮ e০ •

১৯৩২-৩৩ সালে মান্দ্রাজে তিল ১১২০০০ টন উৎপন্ন হইয়াছিল । “শান্তিরক্ষা ও স্বশাসনের ভারাপণের অনুকূলতম অবস্থা” ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভার উভয় কক্ষের সম্মিলিত অধিবেশনে বড়লাট সম্প্রতি যে বক্তৃতা করিয়াছেন, তাহাতে