পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মঠ ও আশ্রম অধ্যাপক স্ত্রীউমেশচন্দ্র ভট্টাচাৰ্য্য জাবাল-উপনিষদে একটি শ্রতি আছে, তাহাতে আমরা সন্ন্যাস আশ্রম গ্রহণ সম্বন্ধে এই ব্যবস্থাটি পাই।–“ব্ৰহ্মচৰ্য্য শেষ করিয়া, গৃহী श्व ; शूरौ श्झेब्र পরে বানপ্রস্থ হইবে ; তার পর প্রত্ৰজ্য গ্রহণ করিবে।” ইহাই শ্রতি-স্মৃতির প্রাচীন ব্যবস্থা। কিন্তু ইহার পরক্ষণেই জাবাল-উপনিষদ বলিতেছেন—“যদি অন্য রকম হয়, তবে ব্রহ্মচৰ্য্য আশ্রম হইতেও প্রত্ৰজ্য গ্রহণ করা যায়, অথবা গার্হস্থ্য কিংবা বানপ্রস্থ আশ্রম হইতেও প্রত্ৰজ্য গ্রহণ করা যায়। যেদিন সংসারে বৈরাগ্য উপস্থিত হইবে, সে দিনষ্ট সন্ন্যাস গ্রহণ করিতে পরিবে ।” এই শেষোক্ত মতটি ঠিক শ্রুতি-স্মৃতির আশ্রম সম্বন্ধে সাধারণ ব্যবস্থার অনুযায়ী নহে। “যেদিন বৈরাগ্য উপস্থিত হইবে, সে দিনই সন্ন্যাসী হইতে পরিবে” -এ অধিকার ধৰ্ম্মশাস্ত্র কাহাকেও দেয় নাই ! এ সম্বন্ধে মনুসংহিতার ষষ্ঠ অধ্যায়ে যে ব্যবস্থা রহিয়াছে, তাহ এই ;–“গৃহস্থ যখন নিজের চৰ্ম্ম লোল এবং কেশ পঙ্ক দেখিবে এবং যখন সে তার লস্তানের সস্তান দেখিবে, তখন সে অরণ্য আশ্রয় করিবে।” আর কিছু কাল বনে বাস করিবার পর যখন সে অনুমিত আয়ুর চতুর্থ ভাগে উপনীত হইবে, তখন সে সমস্ত পরিত্যাগ করিয়া পরিব্রাজক হইবে ৬৩৩। মন্ত্র এই আশ্রম-ক্রমের ব্যত্যয় কখনও অনুমোদন করেন নাই। মন্থর মতে— অনধীক্ত্য দ্বিজে বেদানমুংপাদ্য তথা স্থতা । অনিষ্ট, চৈব যজ্ঞৈশ্চ মোক্ষমিচ্ছন্ন ব্রজতাধ । | ۹ و إنا ,xxص۔ অর্থাৎ দ্বিজাতি বেদাদি পাঠ না করিয়া এবং গৃহী না ইইয়া এবং ষজ্ঞাদি কৰ্ম্ম না করিয়া যদি মোক্ষলাভ করিতে টান ( অর্থাৎ সন্ন্যাস আশ্রম গ্রহণ করেন.), তবে তিনি অঞ্চপাতে বাইবেন । ইহাতে স্পষ্টই বুঝা যায়, যে, আশ্রমের 6६ फ्रम गांधांब्रभृ७: अन्नश्ड श्हेड, डांशंहे भष्ट्रब्र अठिरथठ । যে কোন সময়ে সন্ন্যাস কিংবা প্রত্ৰজ্য গ্রহণ করা ইহার অনুমোদিত নহে। - বিষ্ণু-সংহিতায়ও আমরা এই প্রকার ব্যবস্থাই দেখিতে পাই (৯৪ অ: ) । সেখানেও এই একই কথাই বলা হইয়াছে যে, গৃহী যখন লোল-চৰ্ম্ম ও গুরু-কেশ হইবে কিংবা নাতির মূখ দেখিবে, তখনই বনে যাওয়ার কথা ভাবিবে, তার পূৰ্ব্বে নয়। অবশুই, তার পরেও আর গৃহে থাকা দ্বিজাতির কৰ্ত্তব্য নয়। এই সব বিধি হইতে বুঝা যায় যে, হিন্দুর প্রাচীন রীতি অনুসারে ঘথাক্রমে চারিটি আশ্রম অবলম্বন করাই ঈঙ্গিত ছিল, ইহার কোন একটি অতিক্রম করিয়া আর একটি অবলম্বন করা ঠিক সাধারণ ভাবে শাস্ত্রসন্মত নয়। জাবালউপনিষদে যে শ্রুতি কখনও কখনও আশ্রম-চতুষ্টয়ের ক্রম-ভঙ্গ অনুমোদন করা যায় বলিয়া মত দিয়াছেন, তাহাও সাধারণ নিয়ম নয়। চারিটি আশ্রমেরই প্রয়োজন আছে এবং প্রত্যেকটিরই একটা নির্দিষ্ট সময়ও আছে ; যখন যেটি খু৭ গ্রহণ করা শাস্ত্রসন্মত নয় এবং কোনও একটি গ্রহণ না-করাও শাস্ত্রকারদের অভিমত নয় । বিশেষতঃ গৃহস্থ আশ্রম অবহেলা করার কোনও যুক্তিই নাই। বরং ধৰ্ম্মশাস্ত্রে এবং মহাভারতাদি গ্রন্থে গৃহীর এত প্রশংসা রহিয়াছে, যে, সে আশ্রম গ্রহণ না করা দস্তুরমত অবৈধ বলিয়াই মনে হয়। কিন্তু উপরে উদ্ধৃত জাবাল-শ্রাত হইতে মনে হয়, একটা বিরুদ্ধ মত ক্রমশঃ মাথা উচু করিতেছিল। বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাব বুদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এই মত আরও প্রবল আকার ধারণ করে । বুদ্ধ নিজে অসময়ে–অশাস্ত্রীয় সময়ে-সন্ন্যাস গ্রহণ করিয়াছিলেন ; এবং তিনিই আবাল্য সন্ন্যাসী সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠা করেন। তার পর, হিন্দুসমাজেও ইহার অল্পকরণ দুষ্ট হয়। এবং র্যাহাকে অন্ত কারণে প্রচ্ছন্ন বৌদ্ধ বলিয়া তিরস্কার করা