পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$t#డి ७धकांनौ . ఏతీss আছেন। এত খবরদারি সহাও যায় না, আবার বিশ্লোহু করিবারও উপায় নাই, শাস্তি নিজেকেই পাইতে হয়। অসুখটা সুরেশ্বরের নিতান্তই সত্য, তাহার ভিতর কাল্পনিক কিছু নাই, পান হইতে চূণ খসিলে তাঁহারই অসোয়ন্তি ও যন্ত্রণার সীমা থাকে না । তনু আজ সন্ধ্যার সময় তিনি নীচে নামিয়া আসিয়ছিলেন। ডাক্তারের নিষেধ সত্ত্বেও গুটি দুই বন্ধু আসিয়া উপস্থিত হইয়াছেন । এই মানুষ ক'টির যাইবার কোন স্থান নাই, স্বরেশ্বরের আড্ডা ভাঙিয়া যাওয়ায় ইহার চক্ষে অন্ধকার দেখিতেছিলেন। আরও দু-একবার ডাক্তারের নিষেধ অমান্ত করিয়া প্রবেশের চেষ্ট তাহারা করিয়াছেন, কিন্তু নীচে হইতেই ফিরিয়া যাইতে হইয়াছে। আজ গৃহস্বামী নীচে থাকাতে ঢুকিবার সুবিধ হইল। সুরেশ্বর মহোৎসাহে র্তাহাদের ডাকিয়া বসাইলেন । আর কিছু না হোক একটু গল্প ত করা যাইবে, পানিকট তাসও ত গেলা যায় ? সময়মত শুইতে গেলেই হইবে | এমন সময় প্রভার চিঠি আসিয়া হাজির । মুরেশ্বর ড্রাইভারকে ডাকিয় চিঠিখানি চাহিয়া লইলেন। সব চিঠি খুলিয়া পড়া তাহার রোগ, অবশু তাঙ্গর চিঠি খুলিবার হুকুম কাহারও নাই । প্রভ চিঠিখান যথেষ্ট সাবধান হইয়া লিখিয়াছে। স্বরেশ্বর বুঝিলেন যামিনী এবং মমতার নিমন্ত্রণ কি একটা মেয়েমজলিশে । যাইতে বারণ করাও যায় না, আবার ভালও লাগে না। ঘরের গৃহিণী ঘরের বাহিরে গেলেই মুরেশ্বরের মেজাজ খারাপ হইয়া যায়, অবশ্য ঘরেও র্তাহার সহিত সুরেশ্বরের মুখ দেখাদেখি নাই। চিঠি পড়িয়া, আবার তিনি পত্রবাহকের হাতে ফিরাইয়া দিলেন, সে উপরে চলিয়া গেল । র্তাহার মুখের ভাব দেখিয়া এক জন বন্ধু জিজ্ঞাসা করিলেন, “কিছু খারাপ খবর নাকি ?” স্বরেশ্বর ঠোট বাকাইয়া বলিলেন, “না; খারাপ আর কি ! তা কালও একবার এস এই সময়, একটু চ'-টা হবে।” যামিনীই বখন ফৰ্ত্তি করিতে ঘাইতেছেন, তখন তিনিই বা কেন একটু না করেন ? সাবধান হইয়া চলিলে আর ভাবনা কি ? ডাক্তাররা সৰ্ব্বদাই বাড়াবাড়ি করে, তাহাদের সব কথা আত মানিয়া চলা য়ায় না। যামিনী চিঠি পড়িয়া, মমতাকে ভাকিয়া বলিলেন, “ওৱে তোর মামীম কাল দুপুরে আমাদের খেতে বলেছে। লুসির সঙ্গে খুব গল্প করবার স্ববিধা হবে।” মমতা ব্যাপারটা বুঝিল, তবে সে-বিষয়ে কিছু মন্তব্য করিল না । বলিল, “বেশ ত, কাল রবিবার অাছে, অনেক ক্ষণ থাকতে পারব।” যামিনী স্বরেশ্বরের ঘরের দিকে চাহিয়া দেখিলেন, ঘর তখনও অন্ধকার, নীচে সমানে আড়া চলিতেছে । আজ বাড়াবাড়ি করিয়া শয্যাগ্রহণ করিলে, সুরেশ্বর কাল আর ঘামিনীকে বাড়ির বাহির হইতে দিবেন না। কি করা যায় ? বামিনী দাড়াইয়া ভাবিতে লাগিলেন। মমতা তাহার মনের কথা বুঝিয় জিজ্ঞাসা করিল, “বাবাকে নীচের থেকে ডেকে আনব মা ?” স্বরেশ্বরের বন্ধুর দল শিশু-অবস্থা হইতে মমতাকে দেখিতেছে, অনেকে কোলে পিঠেও করিয়াছে । কাজেক্ট তাহাদের সামনে মমতাকে পরদ সঁাচাইয়া চলিতে হয় না ; মানুষগুলিকে বিশেষ পছন্দ করে না বলিয় সে বড় তাহাদের সামনে যায় না, কিন্তু প্রয়োজন হইলে না যাইতে পারে এমন নয়। আজ সে চটিজোড় পায়ে দিয়া, সশব্দে নীচে নামিয় চলিল। সিড়ির পাশেই সুরেশ্বরের খাস বসিবার ঘর, বড় ড্রয়িংক্রমটি একটু সামনে। পায়ের শব্দে সকলেই চাহিয়৷ দেখিল। স্বরেখর একঢ় একুঞ্চিত করিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “কি বল্ছ মা ?” মমতা বলিল, “বেশী রাত হয়ে যাচ্ছে, তাই তোমায় ডাকতে এসেছি। খাবার সময় হয়ে গিয়েছে ” সুরেশ্বর মনে মনে চটিলেও এতগুলি মানুষের সামনে কিছু বলিলেন না । আর মমতাকে কিছু বলা তাহার নিয়মও ছিল না। একেই তাহার বাপের প্রতি শ্রদ্ধাভক্তি বিশেষ নাই, যদি আরও কমিয়া যায় সেই এক ভয়। হয়ত যামিনীষ্ট মেয়েকে পাঠাইয়াছেন, কিন্তু সে-কথা মমতাকে জিজ্ঞাসা কর চলে না। অগত্য র্তাহাকে উঠতে হইল। বন্ধুদের দিকে চাহিয়া একটু হাসিয়া বলিলেন, “কত অভিভাবক জুটেছে দেখছ ত ? কাল তাহলে এস এখন,” বলিয়া মমতার সঙ্গে উপরে উঠিয়া চলিলেম । বন্ধুর দল বিদায় হইয়া গেল । মমতা কাছে বসিয়া তাহাকে খাওয়াইল, এবং শোবার ঘরে