পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অগ্রছায়ণ দিনেন্দ্র-স্মৃতি Sίστα চাকর আসিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “আপনার খাবার এই থাকতেও পারে না। লোকের মুখও ত একটু দেখতে ইচ্ছ থানেই নিয়ে আসব কি ?” করে ?” সুরেশ্বর তাঁহাকে ধমক দিয়া বিদায় করিয়া দিলেন । তিনি খাইবেন না । চাকর গিয়া যামিনীকে খবর দিল। ঘামিনী একটু ততস্তত: করিয়া নিজেই খবর লইতে আসিলেন । জিজ্ঞাসা করিলেন, “খেতে চাইছ না কেন ? শরীর কি বেশী খারাপ বোধ হচ্ছে ?” - সুরেশ্বর বলিলেন, “এত রাত্রে খেলে আর রক্ষা থাকবে ? ভূগে মরণ ও আমিই ?” বামিনী মৃদুস্বরে বলিলেন, “সময়মত খেলেই হ’ত ।" মরেশ্বর গলা চড়াইয় বলিলেন, “মানুষগুলো এল, তাদের ফেলে চলে আসা যায় কখনও ? একটা সাধারণ ভদ্রতা ত আছে ? অার একল-একলা জেলের কয়েদীর মত মাতুষ এত রাত্রে থাইলে সত্যই হয়ত আরও শরীর খারাপ হইবে ভাবিয়া যামিনী চলিয়া আসিলেন। এক রাত নাই-ব খাইলেন, তাহাতে কিছু আসিয়া যাইবে না। সকালবেলট কাটাইয়া দিতে পারিলে তাহারও বিপদ কাটিয়া যায় । খবরের কাগজ পড়ার অভ্যাস সুরেশ্বরের খানিকটা আছে। আজকার সভার বিবরণ পড়িয়া, তাহার মনে যদি কোন সন্দেহ হয় এবং তিনি সোজাসুজি যামিনীকে প্রশ্ন করিয়া বসেন, তাহা হইলেই মুস্কিল। তাহার কাছে কথা লুকান চলে, কিন্তু একেবারে মিথ্যা উত্তর দেওয়া ত যামিনীর দ্বার ঘটিয় উঠবে না, মেয়েকেও সে-পরামর্শ দিতে তিনি পরিবেন ন} । ক্রমশঃ দিনেন্দ্র-স্মৃতি ঐনিৰ্ম্মলচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সঘন মেঘের স্বনে অঝোর বাদল-ধারে বিদ্যুতের চমকনে বনানীর বীণ-তারে সবে স্বরু বরষী-বোধন, মল্লার হবে না মৰ্ম্মরিত ? কেতকী কদম্ব বনে গোপন মন্মের তলে হের এ ভরা শ্রাবণে বেদনার ধার-জলে উৎসবের পূর্ণ আয়োজন। কোন স্থর আজি উচ্ছসিত ! নাটের কাণ্ডারী’, আজি dio নাটমঞ্চে ধরণীর তব পথ চেয়ে আছি, তুলি পাট, হে অধীর, ‘স্বরের ভাণ্ডারী’, ধর স্বর, নটেশের আপন অঙ্গনে আশা ও উদ্বেগ প্রাণে উদার অক্ষয় ষেথা ধৈৰ্য্য আর নাহি মানে জীবন-উৎসব, সেথা দেহ মন রসত্যাতুর । আহবান কি পেলে সঙ্গোপনে ?