পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৃহত্তর ভারতে বঙ্গ-সংস্কৃতির প্রভাব শ্ৰীঅজিতকুমার মুখোপাধ্যায় গছ-পূৰ্ব্ব প্রথম শতাব্দী হইতে খ্ৰীষ্টীয় সপ্তম শতাব্দী পয্যন্ত বাংলা বৌদ্ধদের লীলাক্ষেত্র ছিল এবং তখন এই স্থানকেই কেন্দ্র করিয়া “বাংলা ও মগধের বৌদ্ধ কোষ, বৌদ্ধ ব্যাকরণ, বৌদ্ধ ধৰ্ম্ম, বৌদ্ধ শাস্ত্র, বৌদ্ধ দর্শন, বৌদ্ধ ভাস্কৰ্য্য" প্রভৃতি সমগ্র ভারতে বিস্তৃতি লাভ করে। বৌদ্ধদের এই গৌরবময় যুগ যখন ভারতসীমা অতিক্রম করিয়া পৃথিবীর অন্যান্য স্থানে বিস্তৃতি লাভ করিতেছিল তখনও দথা যায় এই বঙ্গ-মগধই ছিল তাহাদের প্রচারের প্রধান কন্দ্রস্থান। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরিয়া বঙ্গের বৌদ্ধ ভিক্ষু, ব্ৰাহ্মণ পণ্ডিত, সওদাগর, বণিক প্রভৃতির সংস্পশে আসিয়া স্থাপত্য, চিত্র, ভাস্কৰ্য্য প্রভৃতিতে দক্ষিণ-পূৰ্ব্ব ভারত কিরূপ প্রভাবান্বিত হইয়াছিল সেই সঙ্গন্ধেই এই প্রবন্ধে কিছু আলোচনা করিব । চঙী লোরে-জংগ্রাং-এর ভিত্তিভূমি নৃদিও কোন কোন মনীষিবৃন্দের মতে डाल्नेहरू ও সাচী গুপের ভাস্কৰ্য্য বোম্বাই ও পুনার মধ্যবৰ্ত্তী কালে চৈত্যগৃহ কিংবা অজস্তার চৈত্যগুহ ও তৎসংলগ্ন কিছু চিত্রাবলী “ঙ্গের বাস্তশিল্পের অল্পকরণে কিংবা প্রভাবে অল্পপ্রাণিত ঈয়ছিল কিন্তু ইহার কোন বিশেষ ঐতিহাসিক প্রমাণ ও উপকরণ না-থাকার দরুণ এই সম্বন্ধে আলোচনা একরূপ পরিত্যাগ করিয়াই আমরা চতুর্থ শতাব্দীর শেষ ভাগে বাংলায় পাহাড়পুর যে অপূৰ্ব্ব স্থাপত্য শিল্প রাখিয়া গিয়াছে এব: Aloios of oi no single monastery of such dimensions has yet come to light in India—Go স্বানে নিৰ্ব্বিবাদে চলিয়া আসিতে পারি। - চঙা সেউ মন্দিরের ভিত্তিভূমি প্রত্নতত্ত্ব-বিভাগের ১৯২৫-২৬ খ্ৰীষ্টাব্দের বাধিক বিবরণীতে এই স্তুপ খননে আবিষ্কৃত মন্দির সম্বন্ধে লিখিত হইয়াছিল, "মন্দিরের গঠন নিতান্ত সরল । ইহা একটি ত্রিতল মন্দির। নিম্নাংশ ক্রুশের আকারে নিৰ্ম্মিত। এই ক্রুশের দীর্ঘতম বাহু ছিল উত্তর দিকে । নিম্নতলে কোনও গৃহাদি নাই, একেবারে ভরাট গাথনি । তাহার উপরে দ্বিতলটি একটি নিরেট গাথা পোতার উপর নিৰ্ম্মিত তইয়াছে। দ্বিতলের পোতার চতুর্দিকে একটি স্ববিস্তৃত প্রদক্ষিণ পথ। পথটি বাহিরের দিকে আবক্ষ-উন্নত নিম্ন প্রাচীর দিয়া ঘেরা। এই প্রাচীরের বহির্ভাগ মৃত্তিক-নিৰ্ম্মিত মূৰ্ত্তিফলকদ্বারা বিচিত্রিত । * * * মন্দিরের প্রধান বেদীটি একটি খিলান-করা ছাদবিশিষ্ট কক্ষমধ্যে রক্ষিত। কক্ষটির উত্তর, দক্ষিণ, পূৰ্ব্ব ও পশ্চিমে স্তম্ভপরিবৃত এক-একটি স্ববৃহৎ মণ্ডপগুহ । প্রত্যেক মগুপের তিন পার্থে স্বউচ্চ সংকীর্ণ