পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আগ্রহায়ণ - লের অনুমতিতে নালন্দায় একটি বৌদ্ধ মঠ নিৰ্ম্মাণ শুবাইয়াছিলেন । ডক্টর বিঞ্জনরাজ চট্টোপাধ্যায় তাহার httin and /ar পুস্তকের ১১ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন, “বেদীর ভিতরকার মাষ্ট্রগুলি ( পূৰ্ব্ব-জাভার চণ্ডী পনতরন মন্দিরের রামায়ণের w্যাবলী ) বিশুদ্ধ ভারতীয় নিদর্শন এবং ইহার অনেক মূৰ্ত্তিতে খোদিত লিপি বৰ্ত্তমান । উত্তর-ভারতীয় অক্ষরের সহিত এই অক্ষরের সাদৃশ্য আছে ; আবার নাগরী অপেক্ষ যে শ’ল অক্ষরের সহিত ইহার বেশী মিল আছে তাহাও দেখিতে পইয়াছি।” ঐ পুস্তকের ১৮ পৃষ্ঠায় লিপিবদ্ধ আছে যে শবিজয়ের শৈলেন্দ্র রাজাদের মহাযান বৌদ্ধধৰ্ম্মে অত্যন্ত আসক্তি ছিল । অধ্যাপক ক্রোম তাহার ইন্দো-জাভার ইতিহাসে উল্লেখ করিয়াছেন যে, স্নমাত্রায় যে স্বর্ণ-ফলক আবিষ্কৃত হইয়াছে তাহার প্রত্যয় ও চিন্সসকল অতি বিচিত্র। অধ্যাপক কার্ণও বলিয়াছেন যে নালন্দার প্রসিদ্ধ গুরু ধৰ্ম্মপাল তাহার শেষ জীবন স্কমাত্রায় অতিবাহিত করিয়াছিলেন । বঙ্গ ৪ মগধের সহিত এই সব স্থানের ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ ছিল বলিয়াই ইহার মহাযান বৌদ্ধধৰ্ম্ম ঐ সব প্রদেশ হইতে আসে । ভারতের অন্যান্য প্রদেশ হইতে বঙ্গ ও মগধেই পাল-রাজত্বের সময় মহাধান বৌদ্ধধৰ্ম্ম প্রবল ছিল । এইখানেই মহাযানের rঠিত ও ঘান যুক্ত হয় এবং ঠিক অসুরূপ বৌদ্ধ ও তন্ত্রযানধুন্ মত সুমাত্র জাভা এবং কাম্বোডিয়ার কোন কোন অংশে rপিতে পাওয়া যায়। offs 5ā stri Efesą ŠĶIȘ Indian Puntlit in the how I of Snoয় পুস্তকে লিখিয়াছেন, “কয়েক জন সদাগরের : একটি বৃহৎ অর্ণবপোতে প্রসিদ্ধ বঙ্গ-ভিক্ষু দীপঙ্কর তীশ ) স্নবর্ণদ্বীপে গমন করিয়াছিলেন । তাহদের এই কয়েক মাস ব্যাপী দীর্ঘ ও একঘেয়ে হইয়াছিল এবং মধ্যে র্তাহার কয়েকবার ঝড়ের সম্মুখীন হইয়াছিলেন। য়ে স্থবৰ্ণদ্বীপ বৌদ্ধধর্শ্বের প্রধান কেন্দ্র ছিল এবং ইহার * ভক্ষু ধৰ্ম্মকীৰ্ত্তি একজন প্রসিদ্ধ পণ্ডিত বলিয়া পরিগণিত চি. দীপঙ্কর (অতীশ ) বুদ্ধদেবের পবিত্র উপদেশবাণী শিশ ধৰ্ম্মকীৰ্ত্তির সহিত বার বৎসর কাল তথায় বাস করিয় ২লন। তাহার পরে তিনি তাম্রদ্বীপ (সিংহল) হইয়া Tরতে প্রত্যাগমন করেন ।” ૨ઉt–8 বৃহত্তর ভারতে বঙ্গ-সংস্কৃতির প্রভাব ১৮৯ দ্বীপময় ভারতের এই সময়কার পুথির লেখার সঙ্গেও বাংলা অক্ষরের অনেক দিক দিয়াই সাদৃশু আছে দেখিতে পাওয়া যায়। এই সম্বন্ধে উক্ত পুস্তকের ৪ পৃষ্ঠায় বিজনরাজ চট্টোপাধ্যায় লিখিয়াছেন, “কাম্বোডিয়া এবং জাভার এই উত্তর-ভারতীয় অক্ষরের সহিত দেবনাগরী দোলমঞ্চ অপেক্ষ বাংলা অক্ষরের বেশী সাদৃশু আছে। এই সব কাম্বোডিয়া, জাভা ও মৃমাত্রায় এখন যেরূপ মহাযান ও তন্ত্রযান-যুক্ত বৌদ্ধমত ও শৈবধৰ্ম্ম দেখিতে পাওয়া যায়, তাহাতে আমার মনে হয় অষ্টম শতাব্দীর প্রারম্ভ হইতেই সুদূর পূৰ্ব্বথণ্ডে দক্ষিণ-ভারতীয় প্রভাব ক্ষীণ হইয় আসে এবং ইহার ধৰ্ম্ম ও চারুচিত্র ক্রমশঃই পালবঙ্গ ও মগধের দ্বারা প্রভাবাম্বিত হইতে থাকে।” ( অধ্যাপক ক্রোমেরও এই মত ) ৷ যদিও স্বয়ূর পূর্ব-পণ্ডের প্রাচীন ঔপনিবেশিকের দক্ষিণ ভারত হইতে গিয়াছিলেন, কিন্তু ‘কলসন ( Kalasan ) খোদিত লিপি আবিষ্কৃত হওয়ায় পরবর্তী কাল সম্বন্ধে আর উক্ত কথা থাটে না। বিজনবাবুর উক্ত পুস্তকের ৪৫ পৃষ্ঠায় আমরা দেপিতে পাই যে, এই খোদিত লিপি অনুসারে ( কলসন গোদিত লিপি ৭০০ শকাবা ) মগধ প্রভাব এই সব স্থানে পরবর্তী কালে প্রবল হইয়াছিল। এই উত্তর-ভারতীয় এবং