পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩৪২ "বার্থের মতে জাভা এবং কাছে sে. অক্ষরলিপির উত্তরভারতীয় সন্তান মন্দির-পথে ঘূলদ্বীপল। সিনা কটিদেশে বঙ্গ পরিধান করিতে দেখা যায় এবং এখানে সে চিত্ৰখানি প্রকাশিত হইল তাকাতে চহীদের মুখাবয়ুল বাঙালী বলিয়া বিভ্ৰম ঘটে । জাভার এই মন্দিরগুলির আলোচনা করিবার সময় ঠিক আমাদের আর একটি পপ স্মরণ করাষ্টয়া দিতেছে । নবম শতাব্দীর প্রারম্ভে স্বাভা তততে দ্বিতীয় ষয়বস্মণ কাম্বোজে উপনীত হন এবং সোলোক কক্‌ থম্ (Solok Kak Thom ) *(s-fizizi-ciri wlifaxw. হওয়ার পর অনেক নুতন তথ্য পাওয়া গিয়াছে । এষ্ট মূল্যবান অনুশাসন-পত্রে লিখিত আছে, “দ্বিতীয় ধয়বৰ্ম্মণ জাভ হইতে প্রত্যাবর্তন করিয়া হরিহরালয়, অমরেন্দ্রপুর এবং মহেন্দ্ৰপৰ্ব্বত নামে তিনটি নগর প্রতিষ্ঠা করিয়া শেষ জীবন হরিহরালয়ে অতিবাহিত করিযাছিলেন।” এবং দ্বিতীয় ময়ধৰ্ম্মণের সঙ্গে মহামান ও তন্মযান জাভা হইতে কাম্বোঙ্গে উপনীত হয়। আমরা যশোবর্মণের গোদিত লিপিতেও দেখিতে পাই উত্তর-ভারতীয় অক্ষর লিখিত । বার্থের মতে এই উত্তর-ভারতীয় অক্ষর জাভ! হইয়া কাম্বোজে উপনীত হয় এবং উত্তর-ভারতীয় পুথিগুলির বর্ণমালা হইতে ইহাদের বর্ণমালার পরস্পর সাদৃশু অনেক বেশী । এই অনুশাসন-পত্র সম্বন্ধে বিজন বাবু তাহার Indian Cultural /nfluence in Cambodia পুস্তকের ২৫৫ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন, অক্ষরলিপি হইতে বঙ্গ-অক্ষরের সঠি, অধিক সাদৃত আছে।” কাম্বোজের সহিত বাংলার এই সম্বন্ধ আমরা আরও অনেক দিক দিয়া দেখিতে পাই । ইৎসিং উল্লেখ করিয়াছেন, "শ্রবিজয়ের রাজাদের অর্ণবপোত ভারত এবং স্থমালার মধ্য যাতায়াত করিত তিনি নিজে রাজার একখানি জাহাঙে তাম্রলিপ্তাভিমুখে ( তমলুক যাত্র করেন।” চীনদেশীয় ইতিবৃত্তেও উল্লেখ দেখিতে পাওয়া যায় যে বঙ্গদেশের সহিত চন্দোচীনের সব্বদ যোগাযোগ ছিল । ষ্টত ছাড়া পিজলবাবুর উক্ত পুস্তকের ১৫৬ পৃষ্ঠায় দেখিতে পাঙ্গ যে হুয়েন সাং লিথিয় গিয়াছেন, সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথমভাগে কণ-মৃবর্ণের (দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ ) রাজা শশাঙ্ক বৌদ্ধদের ভীষণভাবে উৎপীড়ন করেন। সম্ভবতঃ এই উৎপীড়নের ফলে বৌদ্ধের দলে দলে এই দেশ হইতে স্বদর পৰ্ব্বগণ্ডে চলিয়া থাকেন । মসিয় সেনার ( M. Senart ) 8 S Pfo I ( Srei Santhor) Coiffs লিপি বিচার করিতে গিয়! বলিয়াছেন যে তারনাথ বহু বৌদ্ধের মগধদেশ হইতে অষ্টম শতাব্দীতে ইন্দোচানে আসিবার কথা উল্লেখ করিয়াছেন । কিন্তু ইহ সত্ত্বেও কর্ণ-সুবর্ণে বৌদ্ধধৰ্ম্ম প্রবলভাবে প্রচলিত ছিল । হুয়েম সাং নিজেই এই স্থানে রত্নমূত্তিক নামে একটি বৃহৎ ও প্রসিদ্ধ বৌদ্ধ মঠের কথা উল্লেখ করিষাছেন । (Watters, Translation, vol. II, p. 191) I •II-5C*ja বিষয় এই সব স্থানকে বৰ্ত্তমানেও বলা হয় রাঙামাটি ; এবং মৃতিতে মালয়-উপদ্বীপে প্রাপ্ত একখানি প্রাচীন খোদিত লিপিতেও রক্ত-মৃত্তিক কথাটির উল্লেখ দেখিতে পাওয়া যায় এবং এই খোদিত লিপির প্রণেতা একজন ধাৰ্ম্মিক বৌদ্ধ সদাগর ছিলেন। সম্ভবতঃ ইহা ভাগীরথীতীরের এই বৌদ্ধমঠকে নির্দেশ করে। এমন কি হুয়েন