পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঢাকা প্রবেশিক পরীক্ষার একখানি বাংলা পাঠ্যপুস্তকও ঐরমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ১৩৩৯ সালের বৈশাখ মাসের প্রবাসীতে পকাশিত “মত্তব মাদ্রাসীর বাংলা ভাষা" শীৰ্ষক প্রবন্ধে সাম্প্রদায়িক ভেদ-ৰুদ্ধির ফলে আমাদের মাতৃভাষাও কিরূপে বাটোয়ারীর বিষয় হইয়া দাড়াইয়াছে, তাহার প্রমাণ দিয়াছিলাম। ঐ প্রবন্ধে এরূপ আশঙ্কা প্রকাশ করা হইয়াছিল যে, কেবল সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্তই শাসনক্ষেত্রে সাম্প্রদায়িক প্রভুত্ব বৃদ্ধি পাইবার সঙ্গে সঙ্গে তথাকথিত “মুসলমানী” বাংলা অ-মুসলমানদিগের উপরও চাপাইবার চেষ্ট হইতে পারে। আলোঁচা পুস্তকখানি ঐ জাশঙ্কার সত্যত প্রমাণ করিতেছে । পুস্তকখানির নাম "প্রবন্ধ-মল”, প্রথম ভাগ। লেখক "থান बांशंष्ट्रब्र कश्रिी ३भमझल श्रक, सि ,ि ” अलltॉंद्र भांश्रीग्न "Proscribod for High Schools and High Madrastilis under tho Board of Intormediate and Secondary Education, Ilacca, for 1987,” এই কথাগুলি ছাপ আছে। ১৯৩৪ খ্ৰীষ্টাব্দে পুস্তকখানির তৃতীয় সংস্করণ বাহির হইয়াছে। এই তৃতীয় সংস্করণ অবলম্বন করিয়াই বর্তমান প্রবন্ধ লেপ হইতেছে । পুস্তকপানি যে হিন্দু ও মুসলমান উভয় শ্রেণীর ছাত্রদিগের জন্ত পাঠ্য নির্দিষ্ট হইয়াছে, ইহা উপরে লিখিত ইংরেজী কথাগুলিতে স্পষ্ট বলা হইয়াছে। High School অর্থাৎ উচ্চ বিদ্যালয়গুলিতে সমস্ত ণ হইলেও, বেশীর ভাগ ছাত্র হিন্দু, এবং উচ্চ মাঙ্গসাগুলিতে ( যেমন নিম্ন মাদ্রাসগুলিতেও ) সমস্ত লালকই মুসলমান, ইহা বলা दांझलj अस्ति । মাদ্রাস (এবং মক্তব ) সমুহের জঙ্ক যে-সকল বাংলা পুস্তক পাঠ্য করা হয়, সেগুলির বাংলা ভাষাকে যে ইচ্ছ। করিয়াই বিকৃত রূপ দেওয়৷ হয়, এবং কেন দেওয়া হয়, তাহার পুনরুপ্লেগ নিম্প্রয়োজন। কিন্তু এই অস্বাভাবিক লিপিত ভাষাকে, সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়ের প্রিয় মনে করিয়া, অপর সম্প্রদায়ের উপর চাপানের চেষ্টা ঘোর অন্তয় । থান বাহাদুর কাজী ইমদাদুল হক মহাশয়ের পুস্তকখানি ঐ অন্তীয় চেষ্টার পরিচায়ক। উক্ত থlন বাহাদুর সুন্দর, বিশুদ্ধ, অধিকৃত বাংল: লিখিবার যোগ্যতা রাপেন, ইহা অনেকেই জামেন। বর্তমান পুস্তকেও উtহার সেই যোগ্যতার প্রমাণ যথেষ্ট পরিমাণে বিদ্যমাণ। "এই মহাত্মার জীবনে যেরূপ অত্যাশ্চর্ঘ্য ঘটনা ঘটিয়াছে" ( পৃষ্ঠা ১ ) , "শৈশবেই ষ্ঠাহীর পিত মবিয়ার মৃত্যু হয়" (পৃ. স্বপ্ন ভাঙ্গিয় গেল”, (পৃ. ১ার "বদুইনগণের আতিথেয়ত ও দয়ার উপরই নির্ভর করিয়৷ প্ৰাণ_ধরণ করিতে হইত" (পৃ. ১" ); "দ্বন্ধফেননিভ শুভ্র (পৃ. ঐ ) : “রাজকণ্ঠদিগের” (পৃ. ৭৬ ) : "মণিরত্নভূতি" (পৃ. ৭৬) : "রক্তচিহ্নিত" (পৃ. ঐ ) , ইত্যাদি বাংলা শব্দ প্রয়োগ দ্বারা ইহাই গুচিত হয় যে লেখক ইচ্ছা করিলে পুস্তকখানির প্রত্যেক পঙক্তি পুস্তকখানি যে প্রবেশিকার পাঠ্য তাই উহাতে লেখা নাই; আমি বিশ্বন্তসুত্ৰে শুনিয়াছি মাত্র। যদি আমার সংবাদ সত্য নাও হয়, তথাপি প্রবন্ধের বক্তবা অসঙ্গত হইবে না । লেখক শিষ্ট বাংলায় লিপিতে পারিতেন । ঐ ঐ স্থলে, তিনি পাদরেখ শৰাগুলির পরিবর্তে যথাক্রমে, “তাজব”, “বাবজান" "এস্তেকাল,” "পেীয়াব," "মেহমানি," "মেহেরবানি,” “জানধারণ” ( জলপথের পরিবর্তে "পানিপথ” হইতে পারিলে, ইহাও হইতে পারে ), "সফেদ,” “জওয়াহরভূতি” ও “খুনচিহ্নিত" লিখেন নাই। কিন্তু, মনে রাণিতে হইবে, পুস্তকখানি মাদ্রাসার জন্তও উদ্দিষ্ট । সুতরাং, মাদ্রাসার নির্দিষ্ট লক্ষণযুক্ত বাংলু ভাষা পুস্তকের মধ্যে আনিতে হইবে! উত্ত লক্ষণযুক্ত বাংলা ভাষা আর কিছুই নহে, শিষ্ট বাংলার উন্নত নাক কাণ কাটিয়৷ ভেঁাত করিয়া দিলেই (রবীন্দ্রনাথের ভাষায় ) অবিশ্বক স্বলক্ষণগুলি দেখা দিয়া থাকে। আলোচ্য পুস্তকেও তাঁহাই করা হইয়াছে। গুন্দর শিষ্ট ভাষার অঙ্গে স্থানে স্থানে এক এক পোচ দিয় যেন জাত রক্ষা করা হইয়াছে। দৃষ্টান্তরূপে, নিম্নলিখিত স্থলগুলি উদ্ধত করা যাইতে পারে। - "দমিঙ্গের সাহঞ্জাদাগণের” (পৃ. ১ ) ৷ ”আহ, ইহার এতিম” পৃ. ২) (এতিম= পিতৃমাতৃহীন )। "আমি কসম করিয়া বলিতে পারি” (পৃ. ৩) “শাহজালা আবান গশং ফিরিতেছেন" (পৃ. ৪) । “আল্লাহতা'লার মরঙ্গীতে" (পৃ. ৫ ) ৷ "সকলে হাত ধুইয়া দস্তরগানে বসিল" (পৃ. ৫ )। "প্রথম লোক্মা মুথে তুলিবার সঙ্গে সঙ্গে তাহদের তরবারির আধাতে মেহমানগণের ছিন্ন মন্তক দস্তরখানে গড়াগড়ি সাইতে লাগিল’ ( পৃ. ৫ ) । "াহার চাচা” (পৃ. ৮ )। "টকাকড়ি ও জও হেরাত" (পৃ. ১২) ( ওকারে আকার যুক্ত করা হইয়াছে )। "উভয় পার্থে একটি করিয় চুলের ঘুঙ্গুর থাকিবে"(পৃ. ১১)। (আমরা ঘুঙ্গুর নামক শাকারী অলঙ্কারের কথা জানিতাম। যাহ। হউক, লেপক “চুলের স্থানে “পণমে"র না লিথিয় ধষ্ঠবাদাহ হইয়াছেন ) { “অপনি অনর্থক গোনাগার হইবেন” (পু ১৪ ) । “তাহ হইলে ভগদীর ত রদ হুইবার নহে* (পৃ. ঐ ) । ইহার পরেই আছে—"ইহারই অদৃষ্টে" ইত্যাদি (তগদীর অদৃষ্ট ) । “গোদার কাছে শোকর করিলেন" (পৃ. ২৬ )। "হঁহাদিগকে কতল করেন" (পৃ. ২৭ )। "একটা সোলেহু করিবার জন্ত" (পৃ. ২৮ )। "রক্ষার প্রস্তাবের দফ একেবারে রফা হক্টর গেল" (পৃ. ২৯ ) । “তাহার এবারত বড় চমৎকার হুইত (পৃ. ২৯ ) (এবরত রচন)। "ইহার কিমিয়া জানে” (পৃ. ৬৩) । "সুন্নী খেলাফত বাতিল ও শিয়। খেলাফত ও ইমামত জারি করেন" (পৃ ৭৯ )। "একদিন গোছলখানায় আছাড় খাইর মারা পড়েন” (পৃ. ৮• ) । “জওয়াহেরাত পচিত" (পৃ. ৮১ ) (এখানে ও'কারে আকার নাই ) । “পিতার নিযুক্ত ওস্তাদ” (পৃ. ৮১ ) ( ওস্তাদ-- শিক্ষক )। "খাজনাখানার মালিক” (পৃ. ঐ )। "মগৃরেী আমীরকে প্রতিনিধি হইয় প্রভুত্ব করিতে দেখিয়া মশরেকৗ আমীরগণের চোখ টাটাইতে লাগিল" (পৃ. ৮২) (মশরেক্ট মগৃরেী= পূর্ব ও পশ্চিম দেশীয় ) । “তাহারী দলে দলে আসিয়......জমা হইতে লাগিল" (পৃ. ৮৩ )। "শরীবের কারৰার একেবারেই বন্ধ করির দিলেন”