পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অগ্রহণক্টণ ঢাকা প্রবেশিকা পরীক্ষার একখানি বাংলা পাঠ্যপুস্তক $్చరీ& (পৃ. ৮৭ )। "বাজে-জাপ্ত করির নীল দরিয়ায় ঢালিয়া দিলেন” (পৃ. ৮e )। "হারাম নাপাক জানোয়ার একটিও দেশে রাখা হইল না" (পৃ. ৮৬)। “খালিফার হেক্‌মতে" (পৃ. ৮৬)। "কাহাকেও রেয়াং করিতেন না” (পৃ. ৮৭ )। "বিখ্যাত আলেমের আবির্ভাব” (পৃ. ৯- ) ! "বহু আলেম দীর-উল হেক্‌মতে আসিয়া সমবেত ( "জমা” নহে?) হইলে, খালিফ হাকিমের খেয়াল চাপিল, সকলকে প্রাসাদে দাও২ করিয়৷ পাওয়াইবেন" (পৃ. ৯০ ) ( দাও২=নিমন্ত্রণ )। "খোদ খলিফার হুকুম” (পৃ. ৯- )। "বহুমূল্য খেলাত দিয়" (পৃ. ৯১)। “স্বস্থানে সহি-সালামতে আছে কিন” (পৃ. ৯১ ) ( অর্থাৎ অক্ষত, ঠিক ঠিক আছে কি না ) শিল্পীগণ দীদার পাইবার জন্ত...” ( পৃ. ৯৩ ) ইত্যাদি ইত্যাদি। এই সঙ্গে স্থানে স্থানে সাধারণ ভাষার ব্যতিক্রম বলিয়৷ যাক মনে হইয়াছে তাহাও দুই-একটি উল্লেখ করিতেছি, যথা— "এখানে ওখানে বিদ্রোহী চেতিয় উঠতে লাগিল" ( পু. ৯১)। "টিনাটি লইয়া তিনি যেরূপ ঝকঝকি করিতেন"। পৃ. ৮৬ “হাকিম নিজে পাঙ্ক মুসলমানি ধরণের উৎকট নিষ্ঠাবান ছিলেন” (পৃ. ৮৫ ) । গুড়ালের উৎকেচ্ছ,ত" ( পৃ. ৮d ) । • অবগু, শেষোক্ত বিষয়ে আমার ভুল হইতে পারে। এসম্বন্ধে ভাষাবিদগণের মত শিরোধীর্য্য । সাহ হউক, উপরি লিখিত দৃষ্টান্তগুলি হইতে পাঠক বুলিতে পরিতেছেন যে, বাংলা ভাষাকে বিদেশী (আরবী-ফার্সী ) ছ।চে টালিয়৷ বিকৃত রূপ দিয়া উহ। হিন্দু-মুসলমান বালকদিগকে গলাধঃকরণ করিতে দেওয়া হইয়াছে। যে-সকল মুসলমান * মনে করেন, ষে, বিধাতার কুচক্রের ফলে হার আবব, কি তুরস্ক, কি মধ্য-এশিয়া হইতে অপহৃত হইয়। হতভাগ্য বঙ্গদেশে নিক্ষিপ্ত হইয়াছেন, গহীর নিজেদের জষ্ঠ এবং নিজেদের সন্তানসগুতির জষ্ঠ এক নুতন অপরূপ ভাষা শুষ্টি করিয়া লইতে চাহেন লউন, কিন্তু দেশের মাতৃভাষাকে লাঞ্চিত করার অধিকার ষ্টাঙ্গদের নাই। আর, র্যাহার এই দেশকেই একমাত্র মাতৃভূমি মনে করেন, প্রাচীনকাল হইতে যে-ভাষী এ দেশেরই ভাষা বলিয়া চলিয়া আসিতেছে, তাহাকেই যাহার একমাত্র মাতৃভাষ বলিয়। জানেন সেই হিন্দু বঙালীগণের উপর জোর করিয়! ঐ অপভাষা চাপনের চেষ্ট্র আমুচিত । মুসলমানদের মধ্যে কেহ কেহ বলির থাকেন যে, যে-সমস্ত কথ! *হার নিজেদের মধ্যে সাধারণতঃ ব্যবহার করিয়া থাকেন, সেই সব বৈশিষ্ট্যযুক্ত শব্দ পুস্তকেও ব্যবহার করিতে হইবে। কথিত ভাষার কতটা কি অবস্থায় লিপিত ভাষায় ব্যবহারযোগ্য তাহার কথা ছাড়িয়া দিলেও, ইহা বলা যাইতে পারে যে পূৰ্ব্বোক্ত দৃষ্টান্তগুলিতে সচরাচর ব্যবহার হয় না, এমন অনেক বৈদেশিক শব্দ আছে। তাহীর প্রমণ পুস্তকের পরিশিষ্ট। পরিশিষ্টের ৩১ পৃষ্ঠ হইতে ৩৭ পৃষ্ঠা পৰ্য্যন্ত “আরবী ও পারসী শব্দগুলির অর্থ" দেওয়া আছে। কঠিন ও স্বল্পব্যবহৃত শদকে বুঝাইবার জষ্ঠ সহজ ও সচরাচর ব্যবহৃত শব্দ প্রযুক্ত হইয়া পাকে । অন্তত: বাংলা ভাষা সম্বন্ধে ( যেমন অস্ত সব ভাষা সম্বন্ধে) ই নিয়ম চলিয়া আসিয়াছে, তবে এই জন্তই, “মুসলমানী বাংলা"র *** ইহার বিপরীত নিয়ম প্রচলিত হইয়াছে কিনা জানি না। যাহা 氢 "ত্বকছেদিত ভদ্রলোক” বলা যায় কি ? আলোচ্য পুস্তকের লেখক *4 Toro Ross “Circumcised people" ( মুসলমান এই মর্থে) কণার "ত্বকছেদিত জনমণ্ডলী” অনুবাদ করিয়াছেন। (পরিশিঃ ২২ পৃ. )। হউক, যে-সকল "আরবী-পারসী” শব্দ ও অর্থ দেওয়৷ হুইয়াছে, তাহার কয়েকটি উদাহরণ এই – “মরহুম-বাংলাতে মৃত ব্যক্তির কথা উল্লেখ করিতে ৬ এই চিহ্নটি ব্যবহৃত হয়। আরবীতে মৃত ব্যক্তির কথা উল্লেপ করিতে ‘भब्रश्म' *क ताबझठ श्द्र । ‘अब्रकृन' अर्थ 'ऊांश्ब्र थखि () भांखि হউক।” “এতিম পিতৃহীন কিংবা মাতৃহীন কিংব। উভয় (?) হীন।” “কসম-শপ” ( শাপ ? ) । “গশং.ইংরেজীতে যাহাঁকে round দেওয়া বলে। গণং অর্থ চতুদিকে ঘুরিয়া ফিরিয়া দেখা...” “মরঙ্গ-ইচ্ছা ; মেহমানগণ-নিমন্ত্রিত ব্যক্তিগণ ৷” “গোনাগার--...পাপী ; তগদীর— অদৃষ্ট।" "পূজার- কেঁকড়াণ চুলের পেঁচ ।” “কতল- বধ ।..রফমিটমাট ।” ইতাদি । উদ্ধৃত শব্দগুলির মধ্যে বেশীর ভাগই অর্থঙ্কপে প্রদত্ত সাধারণতঃ ব্যবহৃত, সহজ বাংলা শব্দগুলি অপেক্ষ কম প্রচলিত অথব। একেবারেই অপ্রচলিত, ইহু। বল বাংলা । দু-একটি শব্দ শিষ্ট বাংলায় অপ্রযোজ্য । তপপি, ঐরাপ বিদেশী শব্দ জোর করিয়া প্রয়োগ করার উদেখ কি পুস্তকের বাংলা ভাষাকে একটু "মঞ্জৰী মাদ্রাসী" গন্ধযুক্ত করা ? সেই ভাষ! আবার হিন্দু বালকগণকে জেlর করিয়া গিলাইবার ব্যবস্থা করিয়া সংস্পষ্ট শিক্ষ-কৰ্ম্মচারীর কি যথেচ্ছাচারের পরিচয় দেন নাই ? অচির ভবিষ্যতে বাংলা দেশে যে সম্প্রদায়িক শাসন-ব্যবস্থা প্রবর্তিত হইলে, তাহতে হিন্দু বালক-বালিকাদিগের শিক্ষার অবস্থা কিরূপ দাড়াইলে আলোচা পুস্তকপানি তাঁহারই একটু আভাস দিতেছে কি না, কে বলিলে ? পুস্তকগনির ভাষা সম্বন্ধে বাহ বলা হইল, তাহীর সঙ্গে উছার বিষয় সম্বন্ধে কিছু না বলিলে পাঠকের ধারণ অসম্পূর্ণ থাকিয় যাইবে । পুস্তকে চারিটি প্রবন্ধ আছে - "আবদুর রহমানের কীৰ্ত্তি” ( ৪• পৃঙ্গ), "ফ্রান্সে মোসলেম অধিকার" (২৪ পৃষ্ঠ), "আলহামরা” ( ১৮ পৃষ্ঠ ) এবং "পাগল পলিফা” ( ১৯ পৃষ্ঠা )। প্রথম প্রবন্ধটির শিরোনাম পড়িয়, কিছুদিন পূৰ্ব্বে কলিকাতায় কোন কোন সিনেমার প্রদর্শিত “কেলের কীৰ্ত্তি” নামক প্রহসনের কথা মনে পড়ে। যাহা হউক, পুস্তকখানিতে ভারতবর্ণের কোন সীমান্ত কি অসামান্ত ব্যক্তি অথবা বিষয় স্থাপ পায় নাই। আরবের মুসলমানের স্পেনে ও ফ্রাগে এবং মিশরে কি করিয়াছিল, তাহার বর্ণন দ্বারা বাঙালী মুসলমান বালকদিগের মনে অনুপ্রাণনার ৰিফল চেষ্টা করা হইয়াছে। এক স্থলে, মিশরের এক জন মুসলমান পণ্ডিত “মাধ্যাকর্ষণের প্রথম আৰিষ্কী" লিপির পাদটীকায় বলা হইয়াছে--"ভবতীয় পণ্ডিত ভাস্করাচাধা ইহার এক শত বৎসর পরে মাধ্যাকর্ষণ আবিষ্কার করেন।” অর্থাৎ ঐ বৈজ্ঞানিক সত্যটি প্রথম আবিষ্কারের গৌরব ভারতের নহে, বিদেশ মুসলমানের, এই আনন্দদায়ক উক্তিটি । মুসলমান ছাত্রদিগকে শিখাইয়া দেওয়া বিশেষ অবিখ্যক বিবেচিত হইয়াছে । এই প্রকারে, ছাত্রদিগের মনে স্বদেশভক্তি জন্মাইবীর চেষ্টা না করিয় , উহার বিপরীতই করা zette 1 cate sy, Betae zijn Ext: 1-torritorial patricties wqefqi Pan-Islanıis'ıı | Afál **{f# মুসলমান বালকের শিখুক যে স্বদেশী অ-মুসলমান অপেক্ষ বিদেশী মুসলমানও ভাস্থদের নিকটতর গান্ধীয় । বিদ্যালয়েও যদি এই মনোভাব প্রচারিত ৪ প্রতিপালিত হয়, তবে দেশের পক্ষে তাহার ফল কত ভয়াৰহ, বুদ্ধিমান হিন্দু ও মুসলমান বাঙালী তাহ বিচার করুন। এ দেশের মক্তব-মাত্রাসার বাংলা পাঠ্যপুস্তকে কোন হিন্দু

  • এই উক্তির ঐতিহাসিক সত্যত প্রমাণিত হয় লাই।--লেখক