পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অগ্রহtয়ণ ৮। নিম্নলিখিত স্থানগুলি ৮ । একাকার, বিধৃদয়, চলচ্ছক্তি তোমার প্রিয় ও গৌরবের বস্তু কেন ও এতদ্দেশীয়—এই পদগুলির সন্ধি ংক্ষেপে লিথ ৪— বিচ্ছেদ কর । মক্কা, আগ্র, গৌড়, খানজাহানিয়া ও আজমীৰ শরীফ । কারক কাহীকে বলে ? ( ৬ নং ও ৯ নং প্রশ্ন উভয় পত্রেই এক ) একই কেন্দ্রে পরীক্ষার্থ সমবেত ছাত্রদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ও ভেদবুদ্ধির বীজ বপন করিবার ইহ অপেক্ষ ভাল ব্যবস্থ আর কি হইতে পারে ?ঃ মক্তবের বাংল। পরীক্ষ-পত্র মুসলমান ব্যতীত আর কেহ পরীক্ষা করিতে পারিবেন ন', ইত্যাদি অীর কয়েকটি প্রাসঙ্গিক বিষয়ের কথা এক্ষেত্রে আলোচনা করিলীম ল. । সম্প্রতি গভর্ণমেণ্ট শিক্ষার নুতন ব্যবস্থা সম্বন্ধে যে প্রস্তাব করিয়াছেন, তাহর ফলে যদি মক্তব ও পাঠশালা এক হইয় যায়, তবে সুখের বিষয় হইবে। কিন্তু, আমাদের আশঙ্কা এই যে, “সবুজ পত্র” পরিণামে “শাদ! পত্রকে” গ্রাস করিয়া না ফেলে ! সাম্প্রদায়িক ভেদ বজায় রাথিবীর জন্তই কি কোন কোন বাংলা শব্দের অদ্ভুত বানান স্বষ্টি হইতেছে? একথানি বিজ্ঞাপন-পত্রে কিছুকাল পূৰ্ব্বে দেখিয়াছি : "একতাই শক্তি ! জসর টাউনে ডিষ্ট্রকট মুসলিম ষ্টুডেন্টস ইউনিয়ন" কনভেনীর লিনীত – মহম্মদ মসিহর রহমান। ছাত্রবৃন্দ, জুসর। 球习颈比 একতাই শক্তি ! হসন্ত চিহ্ন দেওয়া-ন-দেওয়ার কথা ছাড়িয়া দিয়া, "জসঞ্জ” এই শব্দের বিষয় জিজ্ঞাস করিতে ইচ্ছ। হয়—হিন্দুর; “যশোহর” অথব। সংক্ষেপে “যশোর" লিখেন বলিয়াই কি নুতন বানানের দরকার হইয়াছে ? সম্প্রতি আর একখানি বিজ্ঞাপন-পত্ৰ দেখিলাম। "ময়মনসিংহে মুসলিম ছাত্র সম্মিলন” সম্বন্ধে । ( ৩১ আগষ্ট ও ১লা সেপ্টেম্বর ) রচনাটি বেশ ; কিন্তু দুই স্থানে খটক, লাগিল—”ভাবের আদান প্রদান ও সংক্রিত সাধনের জন্ত এই শ্রেণীর সম্মিলনী যে কত প্রয়োজন” ইত্যাদি। এবং“দলে দলে ইহাতে যুগদান করিবেন"। চিহ্নিত শব্দ দুইটি ছাপার টুল ভিন্ন অন্ত কিছু নহে ত ?

  • পরে যে এই নীতি পরিবর্তিত হইয়ছে, তাহার প্রমাণ পাই নাই—লেখক ।

টাকা প্রবেশিক পরীক্ষার একখানি বাংলা পাঠ্যপুস্তক s:v©ግ হিন্দু-মুসলমানের একত। ব্যতীত এদেশের মঙ্গল নাই, ইহা সৰ্ব্বজনস্বীকৃত সত্য। কিন্তু দেশের ভাষা, সাহিত্য, কৃষ্টি ইহাদের প্রতি হিন্দুমুসলমান উভয়ের সমান মমত্ব-বোধ এ-বিষয়ে অত্যাবশ্বক। কিছুদিন পূৰ্ব্বে মৌলবী সেরাজ-উল-হক “বঙ্গীয় মুসলিম তরুণ সঙ্বে"র বাধিক অধিবেশনে সভাপতিত্ব করিয়৷ বলিয়াছিলেন – “ভ্রাতৃগণ, আজ তুরস্ক, ইরান, পারস্ত প্রভৃতি নিজ নিজ দেশের প্রাচীন স্মৃতি স্মরণ পুৰ্ব্বক পূর্ব গৌরবের সংবোধ ও সংবেদ লইয়৷ জাগিয় উঠতেছে।...পারস্ত, তুরস্ক, আফগানিস্থান, আরব গৌরবের কণাকড়িও গ্রহণ ন করিয়৷ স্বকীয় অ-মুসলমান পূর্বপুরুষদের অতীত যুগের কীৰ্ত্তি-কাহিনীর, গৌরব-কাহিনীর স্মৃতির প্রদীপ জ্বালিয় ... নূতন রাষ্ট্র জীবন গঠন করিতেছে।--কিন্তু ভারতীয় মুসলমানগণই ভারতের প্রাচীন গৌরবময় মহিমাকে একেবারেই অস্বীকার করিয়াছেন। •••কেহ কেহ কুত্রিম ভাবে আপনাদিগকে মোগল, পাঠান, শেখ, সৈয়দ বলিয়; দাবি করিলেও মন তাহাতে মোটেই জোর পাইতেছে না --- “সেই প্রাচীন ভারতের সেই গৌরবের মহাজ্যোতিঃ হইতে ভারতীয় মুসলমানদিগকে বঞ্চিত রাখিলে মুসলমানের কখনও ভারতবক্ষে মাথা উচু করিয়া দাড়াইতে পরিবে না। এজষ্ঠ হিন্দুকে শুধু আপনার মনে কবিলে চলিবে না, তাহার সমস্ত গৌরবকেই হিন্দুর স্তায় কুক্ষিগত করিয়া লইতে হইবে।” ( প্রবাসী--বৈশাখ, ১৩৩৯ ) বঙ্গীয় মুসলমান-সাহিত্য সম্মিলনের সভাপতিরূপে কবি কায়কোবাদ বলিয়াছিলেন — “যাহার বাঙ্গালী মুসলমানদের জন্ত এক প্রকারের বাংলা ভাষা এবং বাঙ্গালী হিন্দুর জন্ত অপর এক প্রকারের বাংলা ভাষার প্রচলন দেখিতে চান আমি তাহদের কেহ নহি । আমি বাংলার হিন্দু ও বাংলার মুসলমানের জন্ত এক মিলিত ভাষ চাই।---আমরা যাহা রচনা করি তাহ যেন আমাদের প্রতিবেশীরাও অনায়াসে বুঝিতে পারেন, সে-বিষয়ে আমাদের লক্ষ্য রাখিতে হইবে।” ( প্রবাসী—মাঘ, ১৩৩৯ ) যদি মুসলমান সম্প্রদায়ের অধিকাংশ এই ভাবের ভাবুক হইতেন, তবে দেশের অনেক অশান্তি চিরকালের জষ্ঠ দূর হইত। কিন্তু প্রধানতঃ রাজনৈতিক লাভের আকর্ষণে মনোবৃত্তি যেন বিপরীত দিকেই চলিতেছে । পরিশেষে হিন্দু বাঙালীর ভাষা, সাহিত্য, কুষ্টি, প্রাচীন আদর্শধারা এই সকলের উপরই প্রচণ্ড আক্রমণ আসিতে পারে, হয়ত এমন দিন আসিতেছে। তাহার প্রতিকার কি, চিন্তু করা দরকার । সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ দূর কর এবং সাম্প্রদায়িক শাস্তি স্থাপন যে তৃতীয় পক্ষ অর্থাৎ ব্রিটিশ গভর্ণমেণ্টের আমুকুল্য ব্যতাত সম্ভব নহে, ইহা এখন বোধ হয় কাহারও বুঝিতে বাকী নাই। مگی کاهیختگی & 3-Se