পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অগ্রহায়ণ পুস্তক-পরিচয় 登密气” সাবিত্রীর সহিত সাক্ষৎ-পরিচয় গ্রন্থে হইল না, তাহার সমস্ত পরিচয়ই পাওয়া গেল খগেশ্রনাথের চিন্তায় ও আলাপে এবং সাবিত্রীর বন্ধু qমলার সহিত খগেন্ত্রের কথোপকথনের মধ্যে। তাহাতে মনে হয় সে ছিল অত্যন্ত সাধারণ মেয়ে, তাহার প্রবৃত্তি আশা-আকাঙ্গ সকলষ্ট ছিল সাধারণ মেয়ের মত এবং সাধারণ মেয়ের যে অসাধারণত্ব আছে সাবিত্রীরও সেই অসাধারণত্ব ছিল যাহ খগেন্ত্রের চোখে প্রথমট ধরা পড়ে নাই । খগেন্দ্রনাথ তাহাকে ভালবাসেন নাই, তাহার আদর্শ সাবিত্রীকে ভালবাসিয়াছিলেন, নিজের বুদ্ধি দিয়া প্রকৃত প্রাকৃত সাবিত্রীকে অভিপ্রাকৃত করিতে চাহিয়াছিলেন ; সাবিত্রী যে অস্তের নিকট শিখিতে প্রস্তুত ছিল না তাহী নহে বন্ধু রমলার প্রভাব তাহার জীবনে নানাভাবে ব্যক্ত হইয়াছিল কিন্তু তবুও সে খগেন্ত্রের নিকট কিছু শিখিতে চাহে নাই। কেন ? ইহার উত্তর খগেন্দ্রনাথই দিয়াছেন গ্রন্থের শেষে ; স্টtহার সকল চেষ্টাই সাবিত্রীর মধ্যে fTHEIP contrariant attitudo sforsēn: #fffffÈH stā frī পারে নাই ।---যে প্রেম তিনি বাঙ্গতঃ সাবিত্রীকে দিয়াছিলেন তাহ হার স্বকৃত আদর্শ সাবিত্রীর সুতরাং উহার নিজেরই উদ্দেশে গোপনে উৎসর্গীকৃত হইয়াছিল। সেই বিরোধই সাবিত্রীর মৃত্যুর মূল কারণ। সাবিত্রীর আত্মহত্য খগেন্দ্রনাথের সমগ্র চেতনাকে আলোড়িত করিয়াছিল, তাহার মন চিন্তর বিক্ষোভে ও অবচেতলার তরঙ্গাঘাতে উৎপান্ত হইল। এমন সময়ে সাবিত্রীর মৃতদেহের সৎকার উপলক্ষে প্লমলার সহিত ঠাহীর সাক্ষাৎ পরিচয় । গ্রন্থের প্রথম দিকে রমলার যে পরিচয় পাই তাহ কতকট এইরূপ । তিনি সম্পূর্ণ আধুনিক মনোবৃত্তিসম্পন্ন, আত্মপ্রতিষ্ঠ , সাবিত্রী বন্ধুমহলের একচ্ছত্র নেত্রী। পরে শুনি যে তিনি স্বামীর কলুধিত ব্যবহারের জন্ত পৃথক বাস করেন, এবং দম্পত্যজীবনের প্রতি ঠাহীর সুগভীর বিরাগ। ক্রমে রমলার আরও পরিচয় পাই; তিনি সহজসেবানিপুণ, অদ্যায়ের প্রতি স্টাহার যেমন একটা গভীর বিরাগ অাছে, দুঃথের প্রতি তেমনি হার একটা অপরিসীম সহানুভূতি আছে এবং সে সহানুভূতি বিচারবুদ্ধি দ্বার মার্জিত ও সংযত। রমলার জীবনে যে স্বতঃস্ফূৰ্ত্ত সামঞ্জস্ত মূৰ্ত্তি পরিগঙ্গ করিয়ছিল তাহার পরিচয় খগেন্দ্রনাথ পূর্বে পান নাই। রমলীর নিকটেই খগেন্দ্রনাথ সুজন বলিয়া একটি ছাত্রের পরিচয় পান যে আধুনিক ধরণের বুদ্ধিবাদী হইয়াও রমলার স্পর্শে উচ্চতর একটা সামের সন্ধান পাইয়াছিল। এই নুতন পরিচয়ের সংঘর্ষের ফলেই খগেন্দ্রনাথের জীবনে অভিনব সুচনা ঘটিল। এতদিন তিনি একান্তই বুদ্ধির ব্যাপারী ছিলেন ; কিন্তু বুদ্ধি শেষ পৰ্য্যস্ত র্তাহাকে সকল কথ। স্পষ্ট করিয়া বলিতে পারিল না, শাস্তি দিতে পারিল না ; যে-ৰুদ্ধি সৰ্ব্বপ্রকাশক সে ত সাবিত্রীর মৃত্যুর রহস্য তাহার নিকট প্রকাশ করিতে পারে নাই। তবে কি বুদ্ধিই সব নছে ? এই চিন্তাই খগেঞ্জশাপক নুতন করিয়া অন্তমুখী করিয়া দিল , উহার নিজেকে অনুসন্ধান করিবার ইচ্ছা হইল। একাস্তে সেই আত্মবোধের উদ্দেস্যে তিনি রমলার নিকট হইতে দূরে কাশী গেলেন ; সেখান হইতে রমলার গল্প পত্রবিনিময় হয় ও তিনি ষ্টাহাকে নিজের ডায়েরী পাঠাইল্প পণ । তাহাতেই রমল বুঝিতে পারে খগেন্দ্র রমলাকে কিভাবে পশি ছন এবং সে ঠাহার জীবনে কোন স্থান অধিকার করিয়৷ "চ্ছ। গ্রন্থের শেষ দৃষ্ঠে দেপি নিরদিষ্ট খগেন্মের সন্ধানে রমলা চলিং ষ্ট সুজনকে সঙ্গে লইয়া, হজন রেলে তাহার হাতে গুজনের ক: ধী একখান চিঠি দিয়া গেল তাহাতে খগেন্দ্রের শেষ স্বীকারোক্তি, s! wil and tostament, ঠাহীর বুদ্ধিবাদের হার স্বীকারও নুতন "8"e ynthesisএর সন্ধানের ও লাভের ইঙ্গিত রছিয়াছে। 弥 (Jung) মামুষকে দুইটি সাধারণ শ্রেণীতে ভাগ করিয়াছেন, introvert ও extrovert , এই দুইটি শব্দের প্রতিশব্দ করা যাইতে পারে অজমুখী ও বহিমুখী। যাহাদের মন বঙ্কিমুখী তাহার ঘাঁ থাইলে ঘা ফিরাইয়া” দেয়, ঘায়ের কথা বসিয়া বসিয়া চিন্তা করে না। কিন্তু অভমুখীর সকল ঘাতপ্রতিঘাত চলে চেতনারাজ্যে এবং ধীরে ধীরে তাহার জগৎ সঙ্কুচিত হইয়া মাত্র মনোজগতে পরিণত হয় এবং সে মনোজগত একমাত্র তাহারই মনকে কেঞ্জ করিয়৷ গড়িয় ওঠে। অস্তমুখী মানুষ বাহিরের আঘাত পাইলে অস্তুরের অন্তরালে আশ্রয় লয় এবং ক্রমে বাহিরের জগৎ তাহীর নিকট মিথা হইয়: #াড়ায় । ইহারই বিকৃতি "ফ্যানটাসী ও পরিণতি নিউরোসিস্ । •Irfara!« {füğář qa; introvert I Introvorsion-qq qxR সুন্দর উদাহরণ সাহিতো, এমন কি মনস্তত্ত্বের গ্রন্থেও দুলভ। তিনি জীবন হইতে পলাঠয়া গিয়; আত্মরক্ষা করিতে চাহিয়াছিলেন, কিন্তু সে আত্মরক্ষ হইল না ; উহার সকল তত্ত্বই আঘাতে চুরমার হইয়৷ গেল - জীবনে কোন ঐক্যের সন্ধান তিনি পাইলেন না । উহার সকল কৰ্ম্মপ্রবৃত্তি অবরুদ্ধ হইয়। গিয়াছিল এবং খগেন্দ্রনাথই শেষে স্বীকার করিতেছেন “কৰ্ম্মপ্রবৃত্তি অবরুদ্ধ হলে মামুৰ বুদ্ধিজীবী হয়।” সেই বুদ্ধিবাদষ্ট ষ্ট্ৰাহকে ষ্টtহারই ভাষায় Egatist করিয়া তুলিয়ছিল যাহার জন্ত তিনি মানুষকে মানুষ হিসাবে দেখেন নাই, ঠাহার ‘সুখ সাধনের উপাদান হিসাবে দেখিয়াছিলেন। তাহার বুদ্ধিজীবী প্রেম প্রেমাস্পদকে মুক্তি দিতে পারে নাই । এই কথাই তিনি এতদিনে বুঝিয়াছেন । ভাই তিনি বুঝিতে পারিয়াছেন বুদ্ধি সার্থক নহে যদি তাহ বন্ধ্য হয়, যদি তাহ, আপনার মধ্যেই সঙ্কীর্ণ থাকে, কল্যাণকে ' জন্মদান না করে ; এই জন্তই বিরোধের শাস্তি, জীবনের সার্থকতা বৃদ্ধিবাদের মধ্যে নয় পূর্ণপরিণতিতে, মুক্তিতে এবং সে মুক্তির মন্ত্র একত্ব মহে একত, মৈত্রী ; যে মৈত্রী বুদ্ধিকে অস্বীকার করে না তবে তাহার উদ্ধে ওঠে, যাকার সাধনায় বাক্তিত্ব ক্ষুণ্ণ হয় না, বাহা জনতার আত্মবিসর্জন নছে । এষ্ট মৈত্রী মানুষকে সম্বন্ধস্বষ্টির জন্ত অনুপ্রাণিত করে, যে সম্বন্ধগুষ্টিই জীবন এবং যাহা জীবনেরই সাধন । Refe creativo unity, higher synthesis si toña varique রূপ পরিগ্রহ করিয়াছে মৈত্রেয় বৃন্ধের প্রতিমূৰ্ত্তিতে, হরপাৰ্ব্বতীর পরিকল্পনায় । খগেন্দ্রনাগের জীবনের এই পরিণতি দেখানই এই উপস্তাসের উদ্দেন্ত । ইহার মধ্যে ঘটনা-বৈচিত্রা নাই, চরিত্র-সমাবেশও নাই ; ইহার অমূল্য অবদান চিস্তুসমালেশ : ধৰ্ম্ম, সমাজ, আদর্শ, অর্টি, বিজ্ঞান প্রভৃতি সকলের সংঘাতের ফলে খগেন্দ্রনাথের চিত্তসমুদ্র মণিত হইয় যে তরঙ্গ আলোড়িত হইয়াছে শুনিপুণ কথাশিল্পী তাছাই অনবদ্ধভাবে অঙ্কিত করিয়াছেন । রামচরিতমানস—শ্ৰীসতীশচন্দ্র দাসগুপ্ত কত্ত্বক সঙ্কলিত ও অনুদিত। প্রকাশক খাদি প্রতিষ্ঠান, কলিকাতা। পৃষ্ঠা-সংখ্যা ৮২৪ । মূল্য কাগজ ও বাধাই অনুসারে দুই হইতে চারি টাকা । ভক্তকবি তুলসীদাসের অমর কাব্য রামচরিতমানস হিনীভাষা-. ভাৰীগণের পরম আদরের বস্তু, মহামূল্য ভক্তিগ্রন্থ । উত্তর-ভারতের কোটি কোটি নরনারীর পক্ষে ইহাই একমাত্র ধৰ্ম্মগ্রন্থ একথা বলিলে অত্যুক্তি হইবে না। এখনও সেখানকার প্রায় প্রঠিগুছে ইহার নিত্যপাঠ ও আলোচনা হয় । শত শত লোক হিন্দুধৰ্ম্ম ও সংস্কৃতি বলিতে বাহা বোঝে তাহা এই গ্রন্থের সাহায্যেই বোঝে। বস্তুতঃ বাংলাদেশে কাশীরামদাস কৃত্তিবাস যত পরিচিত ছিন্দীভাৰীগণের নিকট রামচরিতমানস তদপেক্ষ। অনেক বেশী পরিচিত.t, . তাছাজ