পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আগ্রহীমণ ংগ্রেসের আগামী অধিবেশনের সভাপতি ংগ্রেসের আগামী অধিবেশনে কাহাকে সভাপতি নির্বাচন করা হইবে, এই বিষয়ের আলোচনা হইতেছে। ঐযুক্ত রাজাগোপাল আচারীকে ও ভ্ৰযুক্ত শেঠ যমুনালাল বজাজকে অনুরোধ করা হইয়ছিল, কিন্তু র্তাহারা সভাপতি হইতে রাজী হন নাই। এখন দুই জন নেতার নাম উল্লিখিত হইতেছে। ংগ্রেসের একাধিক দল আছে । কংগ্রেসের আফিস ও কংগ্রেস-ঘস্থটি যে-দলের হস্তগত হইয়া আছে, তাহদের ইচ্ছ, শ্ৰীযুক্ত জৱাহরলাল নেহরুকে সভাপতি কবা হউক । অন্য দিকে আসাম, উড়িষ্যা, মহার স্ট্র, মহাকোশল ও বাংলা দেশ হওঁতে শ্ৰীযুক্ত স্বভাষঃভ্র বন্ধকে সভাপতি করিবার ইচ্ছ। প্রকাশিত হইয়ছে। অন্ধ দেশের শ্রযুক্ত পটাভি সীতরামায়্যারও নাম হইয়াছে বটে, কিন্তু তাহাতে বেশী লোকের উৎসাহ দেখা যায় নাই । এই দুই জন নেতার মধ্যে যোগ্যতর কে তাহার বিচার করা অনাবশ্যক। প্রতি আবি বশনে সমগ্রভারতে যোগ্যতম কংগ্রেসপন্থীকেই যে সভাপতি নিৰ্ব্বাচন করা হইয়া থাকে, তাহ,ও নহে। জৱাহরলাল ও সুভাষচন্দ্র উভয়েই যোগ্য । উভয়েই দেশের জন্য স্বার্থ ত্যাগ ও দুঃখ বরণ করিয় ছেন । জৱাহরলাল একবার, ১৯২৯ সালে লাহেরে, সভাপতির কাজ করিয়াছেন । অন্য যোগ্য নেতা থাকিতে র্তাহাকে আবার সভাপতি করিবার প্রয়োজন নাই । তদ্ভিন্ন, তিনি ইতিপূর্বেই আগামী লক্ষ্মেী অধিবেশনের অভ্যর্থনা-সমিতির সভাপতি নিৰ্ব্বচিত হইয়ছেন। একই মাহ্য অভ্যর্থনী-সমিতির ও মধিবেশনের, উভয়ের, সভাপতি হইতে পারেন না। এক প্রকার সভাপতি জৱাহরলাল অন্য প্রকার সভাপতি জৱাহরপালের অভ্যর্থনা করিবেন কি ? তা ছাড়া, কংগ্রেসের নিয়মবলীর মধ্যে কোন নিয়ম না থাকিলেও ১৮৮৫ হইতে ১৯৩৪ iধ্যস্ত বরাবর এই রীতি অনুসারে কাজ হইয়া আদিতেছে, , অধিবেশন যেবার যে-প্রদেশে হয়, সভাপতি সেই প্রদেশ হইতে নিৰ্ব্বচিত হন না, অন্য কোন প্রদেশ হইতে বিচিত হইয়া থাকন। ইহা একটা অর্থহীন অনাবস্তক গাত নহে। ইহার অল্পবৰ্ত্তন দ্বারা এক প্রদেশ অন্ত কোন প্রদেশের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন ও ভদ্বারা সমগ্রভারতীয় °气一一》姆 বিবিধ প্রসঙ্গ-কংগ্রেCদর আগামী অধিবেশনের সভাপতি ২৮৫ মহাজতির একতাবদ্ধন দৃঢ়তর হয়। আগামী অধিবেশনে এই রীতির ব্যতিক্রম করিবার কোন কারণ ও প্রয়োজন দেখা যাইতেছে না । স্বভাষ বাবুকে আগামী অধিবেশনের সভাপতি করিবার পক্ষে একটি বড় যুক্তি এই যে, তিনি দীর্ঘকাল ইউরোপপ্রবাসী থাকিয়া তথাকার নানা দেশের রাষ্ট্রনীতি, অর্থনীতি, শিল্পবাণিজ্য বিস্তরের পস্থা এবং সংস্কৃতি সম্বন্ধে সাক্ষাৎভাবে জ্ঞানলাভ করিয়াছেন । এই সব দেশের কোনটির অবস্থার সঙ্গেই অবশ্য ভারতবর্ষের অবস্থাৰ ঠিক সাদৃপ্ত নাই। কিন্তু কোন কোন দেশের কোন কোন সমস্তার সহিত ভারতবর্ষের কোন কোন সমস্তার মিল আছে। স্বভাষ বাবু সেই সকল সমস্তার সমাধান সম্বন্ধে যে অভিজ্ঞতা লাভ করিয়াছেন ও চিস্ত কfরয়.ছেন এবং মোটের উপর বহুবর্ষব্যাপী জনসেবা হইতে তিনি যে সকল সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছেন, সকল প্রদেশের প্রতিনিধিদের নিকট তাহ উপস্থিত করিবার স্বযোগ তাহার পাওয়া উচিত। যদি অধিকাংশ প্রতিনিধি তাহার সিদ্ধান্তগুলির সমর্থন করেন ও তদনুসারে কাজ হয়, তাহা হইলে দেশের উপকৃত হইবার সম্ভাবনা । ংগ্রেসের সভ্যদের মধ্যে র্যাহারা সমাজতন্ত্রবাদী উহাদের ংগ্রেস হইতে পৃথক্ হইয়া সরিয়া পড়িবার সম্ভাবনা হইয়ছে। স্বভাষ বাবুর মত সমাজতন্ত্রবাদের অষ্ট্রকুল বা তৎসদৃশ মনে হয়। তাহাকে সভাপতি করিলে সমাজতন্ত্রবাদীরা কংগ্রেস ন-ছাড়িতে পারে, এবং এই প্রকারে কংগ্রেসের বলক্ষয় নিবারিত হইতে পারে । এখন যাহারা কংগ্রেস-যন্ত্রের অধিকারী, তাহারা সম্প্রদায়িক বঁটোয়ারা সম্বন্ধে যে মত ও যে ভাব পোষণ করেন, ংগ্রেস জাতীয় দলের মত ও মনোভাব তাহার বিপরীত, এবং কংগ্রেস জাতীয় দল বঙ্গে প্রবল। বাংলা দেশকে কংগ্রেসযন্ত্রের অধিকারীদের পছন্দ না করিবার ইহা এবটি কারণ। যখন সম্প্রদায়িক বটেয়ার প্রকাশিত হয় নাই, এবং কংগ্রেস জাতীয় দল গঠিত হয় নাই, তপনও যে ঐ অধিকারীরা বাংলা দেশকে ও বাঙলাদিগকে পছন্দ করিত, এমন নয় । ফেকারণেই হউক, মহাত্মা গান্ধীর গোড়া ২হচরেরা বাংল দেশকে ভাল চোথে দেখেন না। কংগ্রেসী বাঙালীদের দলাদলি উহাদিগকে বঙ্গের প্রতি তাচ্ছিল্য প্রদর্শনের স্বযোগ