পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Rషా8 প্রবাসী SNつ8ミ অভাবই সীমা । ইতিমধ্যে তোমার বইয়ে Cosmic Man থেকে মুরু করে বাকি অংশটুকু পড়ে বিশেষ আনন্দ পেয়েছি । মানবতর সম্বন্ধে কিছুকাল থেকে আমার কোনো কোনো রচনায় আমার মত ব্যক্ত করতে চেয়েছি –হয় তো স্পষ্ট বলতে পারি নি, কেন না, তত্ত্বের ভাষায় পলার ক্ষমতা আমার নেই। তাই তোমার ঐ অধ্যায়ে মানবের মধ্যে দৈবী আবির্ভলের তত্ত্ব ব্যাগ্য পড়ে আমি পরিতৃপ্তি লাভ করেছি । অবশেষে তোমার গ্রস্থে রামমোঙ্গল থেকে শাআলবিন্দ পৰ্য্যস্ত ভারতের বর্তমান সাধকদের বাণীর ধে বিশদ পর্য্যালোচনা করেছ, সে অত্যস্থ উপাদেয় । এতে তোমার ধে নিৰ্ম্মল উদার দৃষ্টি প্রকাশ পেয়েছে তার থেকে স্পষ্ট বুঝতে পারি বিশ্ব মানবের ভূমিকায় মানবের মহিম তোমার যথার্থ প্রত্যক্ষগোচর । “তত্ত্বকথা সম্পূর্ণ করে অল্পধাবন ও বিস্তারিত করে পয্যালোচনা কর। আমার ক্লাস্তশক্তির পক্ষে দুঃসাধ্য । সংক্ষেপে তোমাকে জানালুম তোমার বইখানি থেকে উপকার প্রত্যাশা করি এবং সে জন্য আমি কতজ্ঞ ।” নিৰ্ব্বাচনের অধিকার লাভের যোগ্যতা বিষয়ে হিন্দুর প্রতি অবিচার বৰ্ত্তমান ১৯৩৫ সালে ব্রিটিশ পালেমেণ্টে যে ভারতশাসন আইন প্রণীত হইয়াছে তাহাতে সমগ্রভারতীয় মহাজাতির ( নেশুনের ) এই অপকার করা হইয়াছে, যে, ধৰ্ম্মসম্প্রদায় অনুসারে, “উচ্চ” ও “নীচ জা’ত অনুসারে, বৃত্তিগত শ্রেণী অনুসারে, ইউরোপীয়, ভারতীয় ও ইঙ্গভারতীয় বংশ অনুসারে আলাদা আলাদা নির্বাচকমণ্ডলী গঠন করিয়া ভারতীয় জনসমষ্টির মধ্যে যত ভেদ আছে তাহা স্থায়ী করিবার ব্যবস্থা হইয়াছে এবং যেরূপ ভেদ নাই তাহ জন্মাইবার সম্ভাবন ঘটান হইয়াছে । তাহার পর, সকলের চেয়ে বেশী অনিষ্ট কর হইয়াছে হিন্দুদের । তাঁহাদের প্রতি সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক অবিচার করা হইয়াছে। তাহদের সংখ্যা ভারতবর্ষে অন্য সব ধৰ্ম্মাবলম্বীর সমষ্টির চেয়ে বেশী, অথচ তাহাদিগকে তাহাদের সংখ্যা অনুসারে ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভায় প্রতিনিধি ত দেওয়া হয়ই নাই, অন্য সকলের প্রতিনিধিদের সমষ্টির চেয়ে অন্তত কিছু বেশও দেওয়া হয় নাই। অর্থাৎ তাহারা যেমন সমগ্র লোকসমষ্টির অৰ্দ্ধেকের বেশী, তেমনি ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভায় হিন্দু প্রতিনিধির সংখ্যা সমগ্র প্রতিনিধিংখ্যার অৰ্দ্ধেকের কয়েক জন বেশী হইলেও বুঝা যাইত থে হিন্দুদের প্রতি ন্যায্য ব্যবহার করিবার ইচ্ছা আইনটার প্রণেতাদের ছিল। কিন্তু তাহাদিগকে অৰ্দ্ধেকের কিছু বেশী কিংবা অন্ততঃ অৰ্দ্ধেক প্রতিনিধি দেওয়া দূরে থাক, তাহদিগকে এক-তৃতীয়াংশেরও কম প্রতিনিধি দেওয়া হইয়াছে। ব্ৰহ্মদেশকে ভারতবর্ষ হইতে পৃথক করা হইয়াছে। উহ, বাদে ভারতের লোকসংখ্যা ৩৩৯,৬২৫,৫৮৬ । তাহার মধ্যে ব্রিটিশভারতেই হিন্দুর সংখ্য। ১৭৭,১৫৭,০৩৫, অর্থাৎ সমগ্র ভারতের লোকসংখ্যার অৰ্দ্ধেকের অধিক । অথচ য়্যাসেমরীতে ৩৭৫ জন প্রতিনিধির মধ্যে ব্রিটিশভারতের হিন্দু প্রতিনিধির ংখ্যা ১২৪, এবং কোন্সিল অব, ষ্টেটের ২৬০ জন প্রতিনিধির মধ্যে ব্রিটিশভারতের প্রতিনিধিদের সংখ্যা ৮১ জন । প্রাদেশিক ব্যবস্থাপক সভাতেও হিন্দুর প্রতি অবিচার করা হইয়াছে । মুসলমানরা যে প্রদেশেই সংখ্যালঘু সেইখানেষ্ট তাহাদিগকে তাতাদের সংখ্যানুসারে প্রাপ্য প্রতিনিধির চেয়ে অধিকসংখ্যক প্রতিনিধি দেওয়া হইয়াছে। কিন্তু হিন্দুদের সম্বন্ধে এই নীতি সৰ্ব্বত্র অনুষ্ঠত হওয় দূরে থাকৃ, বঙ্গে হিন্দুদিগকে তাহাদের সংখ্য অনুসারে প্রাপ্য প্রতিনিধি৪ দেওয়া হয় নাই । হিন্দুর প্রতি অবিচার এইখানেই শেষ হয় নাই । আইনট অনুসারে কাজ আরম্ভ করিবার আগে প্রতিনিধি নিৰ্ব্বাচন সম্বন্ধে, নিৰ্ব্বাচক যাহার হইবে তাহাদের যোগ্যতা সম্বন্ধে পহু নিয়ম প্রণীত হইতেছে। এই সকল দ্বারাও হিন্দুদের প্রতি অবিচার করা হইতেছে। তাহার একটি দৃষ্টান্ত দিতেছি । সমগ্রভারতীয় কেন্সিল অব ষ্টেটের এবং বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক *Isti Ü* *C*: ( provincial upper housewo | প্রতিনিধিনির্বাচকদের যোগ্যতা সম্বন্ধে বঙ্গের পক্ষে গবন্মে 5 এইরূপ প্রস্তাব করিয়াছেন – পুরুষ । সাধারণ ( অর্থাৎ হিন্দু বৌদ্ধ প্রভৃতি অমুসলমান ও অখ্ৰীষ্টিয়ান )—প্রেসিডেন্সী ও বদ্ধমান বিভাগে— জমীর খাজনা २००० üांक সেস ৫০০ টাকা