পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অগ্রহণয়ণ ছিলেন না। তিনি বিশ্বভারতীর অধ্যাপক নিযুক্ত হইয়া কিছুকাল শান্তিনিকেতনে ছিলেন, এবং তাহার প্রারম্ভিক সভায় উপস্থিত ছিলেন। যে-সব ভারতীয় ছাত্র পারিস বিশ্ববিদ্যালয়ে তাহার বিভাগে শিক্ষালাভ করিতে বাইত, তিনি তাহাদিগকে যে কেবল শিক্ষা দিতেন তাহ মহে, থাকিবার জায়গা এবং ন্যায্য কম মূল্যে তাহার। যাহাতে ভাল আহার্য পায়, যত্বপূর্বক তাহার ব্যবস্থাও তিনি করিয়৷ দিতেন। র্তাহার পত্নীকেও ভারতীয় ছাত্রদের প্রতি সস্নেহ লিলভা, লেভী প্যবহার করিতে দেখিয়াছি । একবার অধ্যাপক লেভী সস্ত্রীক কলিকাতায় তাহার এক ছাত্রের সহিত দেখা করিতে আসেন। যখন কথাবাৰ্ত্ত হইতেছিল, তখন ম্যাডাম লেভী একটি শিশুর পা বিছানা হইতে বাহির হইয় সছে দেখিয় তাহাকে আনিতে বলেন । কোলে লইয় "সামি দিদিমা হই’ বলিয় তাহাকে আদর করেন । এই *iংলা কথাগুলি তিনি শান্তিনিকেতনে থাকিতে শিখিয়া"লেন। শিশুটির তথনও কথা বুঝিবার বয়স হয় নাই। জাপানের অধ্যাপক য়োনেজিরো নোগুচী জাপানের কেইও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী সাহিত্যের পক য়োনেজরে নোগুচী ইংরেজী কবিতা ও অন্যান্য পুনঃর দ্বারা খ্যাতিলাভ করিয়াছেন । তাহার ইংরেজী *ক্ষা প্রধানত: আমেরিকায় হয়। তিনি কলিকাতা বিবিধ প্রসঙ্গ—জাপানের অধ্যাপক য়েশনেজিরো নেগুচী NLovථ জাপানের অধ্যাপক ফোনেঞ্জিরে নেগুিচী বিশ্ববিদ্যালয়ের আহবানে বক্তৃতা দিতে আসিয়াছেন । তাহার পত্ত্বত আরম্ভও হইয়া গিয়াছে । প্রথম বক্তৃতাতে তিনি প্রাচ্য-বিশেষত: জাপানী-ও প্রতীচ্য কবিতা সম্বন্ধে নিজের মত ব্যক্ত করেন । তিনি অন্য কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়েও বক্ততা করিবেন। ভারতবর্ষের দ্রষ্টব্য নানা স্থান এবং প্রাচীন ও মধ্যযুগের বহু কীৰ্ত্তিও তিনি দেখিবেন । বৌদ্ধধৰ্ম্মের ভিতর দিয়া ভারতবর্ষের সহিত জাপানের বহু শতাব্দীর সম্পর্ক। বুদ্ধগয়া তিনি দেখিবেন। জাহাজ হইতে নামিয়াই তিনি ংবাদপত্রের প্রতিনিধিদিগকে বলেন, “আমি শিখিতে আসিয়াছি, শিথাইতে আসি নাই । সন্তান তাহার মাতাকে শিথাইতে পারে না ।” তিনি তাহার ভারত আগমন সম্বন্ধে কয়েক মাস পূৰ্ব্বে আমাদিগকে যে চিঠি লিখিয়াছিলেন, তাহাতে স্মরণ করাইয়া দিয়াছিলেন, যে, তিনি রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষ্যে প্রবাসীর সম্পাদকের দ্বারা সম্পাদিত গোল্ডেন বুকে কবিকে অৰ্ঘ্য দিয়াছিলেন। পরের চিঠিতে আমাদিগকে এক জন প্রসিদ্ধ জাপানী চিত্রকর সম্বন্ধে একটি সচিত্র প্রবন্ধ পাঠাইয়াছিলেন। তাহা মডার্ণ রিভিয়ুর নবেম্বর সংখ্যায় প্রকাশিত হইয়াছে। তাহার পর তিনি আমাদিগকে নিজের যে ফেটোগ্রাফ পঠাইয়ছিলেন, তাহা এথানে মুদ্রিত হইল ।