পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পশ্চিমযাত্রিকী শ্ৰীমতী দুর্গাবতী ঘোষ ( २ ) পিরামিড থেকে ফিরে মিশরের নীল-নদীর ধারে এলুম। লোকে শুনলে আমাকে কি ভাববে জানি না, আমার নদীটিকে মাণিকতলার খালের মত লাগল। শুনলুম নদীতে এখন তেমন জল নেই। বেশী জলের সময় এর সৌন্দর্য্য কায়রে চিয়পস পিরামিড বোঝা যায়। এর পর আমরা আবার হোটেলে ফিরে এলুম। মাথা দিয়ে তখন আগুন ছুটছে । তখন আর শুধু মুখ-হাত পুয়ে থাকতে ইচ্ছা করছিল না। লম্বা ইজার-পর একটা ঠেঙ্গ বয়কে ডেকে বোবার মত ইসারায় জালালুম, চান করব । জলের বন্দোবস্ত ক'রে দিতে পারবে ত ? সে একটা অবোধ্য ভাষায় * যে বললে, কিছুই বোঝা গেল না। গুপন অন্য উপায় দেখতে হ’ল । আমাদের খাওয়া-দাওয়া দেখাশুন| মরবার জন্য টমাস কুক কোম্পানী এক সন লোককে নিযুক্ত করেছিল। ইনি বাসী, আরবী ও ইংরেজী জানেন,

  • মাদের মনের বাসনা তাকে জানাতে ঠিন বলেন তিনি বন্দোবস্ত করিয়ে দেবেন কিন্তু আমাদের এই পুরাপুরি

স্বানের জন্য আলাদা কিছু ( অর্থাৎ মাথা-পিছু ৫ শিলিং ) দিতে হবে ; এর জন্য টমাস কুক কিছু দেবেন না। আমাদের চুক্তি-কর ভাড়া দেওয়ার টাকার ভেতর আমরা কেবল ওই বেসিনে মুখ-হাত ধুয়ে কাকমান করতে পারব। গরমের জালায় তা’তেই আমরা রাজী হতে একটা কালে অন্ধকার চাকর দোতলায় আমাদের নিয়ে গিয়ে ঠাণ্ড ও গরম জলের ব্যবস্থা ক’রে একটা বাথরুম দেখিয়ে দিলে, দু-থান বড় ও দু-খান ছোট তোয়ালেও দিলে। মানের জলে কয়েক ফোট ক্লোরোদক ফেলে খুব আরাম ক'রে স্নান ক'রে কাপড় বদলে আমরা নীচেয় এলুম। এসেক্ট মধ্যাহ্নভোজনে বস গেল। অত ক্ষুধার সময় খাওয়াটি আমরা বেশ ভালই পেয়েছিলুম, মুরগীর মাংসের পিসপ্যাস, স্বপ, কয়েক টুকর লালটুকটুকে, সুমিষ্ট তরমুজের ফালি । আমাদের মনটা তখন আইসক্রীম খাবার জন্য উস্থুপ্‌ করছিল। একবার কথা পাড়তেই তদারকওয়াল-মহাশয় জানালেন, “নিশ্চয়, আইসক্রীম আছে বইকি।” আহারাদি সেরে এবার আমরা কায়রোর বাজারুের ভিতর গেলুম। বাজারের রাস্তার দু-পাশে দোকানপাটের খুব কাল্পরে—নীলনদ