পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

exeみbー প্রবাসী శిgR ষে প্রতিনি ঘরে জানিতেছে, ধরা পড়িয়া গাল খাইয়া হাসিমুখে ধে লাঞ্ছনার কাহিনীতে গৌরবের রং ফলাইতে বলে—লে জাজ একরাশ টাকা হাতে পাইয়া হাত গুটাইয়া ৰলিয়া থাকিবে ? ঐ বান্ধটায় নিশ্চয় টাকা আছে—অনেক টাকা। সেগুলি হাতে আসিলে নৃঙন কাপড় কেনা হইবে, জীর্ণ চালে নূতন খড় উঠবে, উঠানে একটা মড়াই বাধিয়া সারা বৎসরের চাউল কিনিয়া উহাতে সঞ্চিত করিয়া রাখিবে, উঠানের সীমানায় শক্ত করিয়া বেড়া দিবে। ছোট গোয়াল, একটি দ্বধবতী গাভী তাহাতে থাকিবে, তার পাশে টেকিশাল। দুর্গার মনে একের পর একটি করিয়া সংসারের কত স্বচার ছবিই ভাসিয়া উঠিতে লাগিল। অতৃপ্ত আকাঙ্ক্ষা-বুকের মধ্যে প্রচণ্ড তৃষ্ণা। রাত্রি বাড়িবার সঙ্গে সঙ্গে বাহিরের যেমন বৃষ্টি প্রবল হইয়া উঠিতেছে— তেমনই বৰ্ধিত বেগ চিস্তার প্রহারে দুর্গা পাগল হইয়া উঠিল। শিয়রের গোড়ায় স্কটকেসটা রাখিয়াছে—উহার মধ্যে ছৰ্গার সারাজীবনের তপস্যার ফল,—সারা জীবন দুঃখ-দৈন্তের মধুর স্বপ্ন,—বুকফাটা তৃষ্ণার স্বপেয় সলিল। হাত বাড়াইয়া ছুর্গ সেটাকে ছুইল। ঠাও ষ্টিলের দেহ—উত্তপ্ত হাতখানি আ:-কি স্নিগ্ধতায়ই না ভরিয়া গেল। দুর্গার সারাদেহে রোমাঞ্চ জাগিল। পুনঃ পুনঃ সে হাত দিয়া ষ্টিলের কঠিন দেহু স্পর্শ করিতে লাগিল। আরও নিবিড় ভাবে—সমস্ত আকাঙ্ক্ষা—সমস্ত স্নেহ-সমস্ত স্থখসাধকে স্পর্শের মধ্যে কেন্দ্রীভূত করিয়া বহুক্ষণ ধরিয়া দুর্গ অপরিমেয় আনন্দসাগরে অবগাহন করিতে লাগিল । 脅 嶺 豪 অবশেষে সে রাত্রি প্রভাত হইল, ধারাবর্ষণ একভাবেই চলিয়াছে । ছেলেরা খাবারের জন্য বায়না ধরিয়াছে, দুর্গার মুখে কিন্তু গালির প্রবাহ ছুটিল না। রসগোল্লার হাড়ি জানিয়া সে ছেলেদের মিষ্ট দিল, একটি নহে—দুটি করিয়া, ছেলেরা মহাখুলী। হরিশের জন্ত গাড়ু ও গামছা দাওয়ার একপাশে রাখিয়া দুর্গ। উচুনের ছাই তুলিতে লাগিল । একমাত্র বা বৃষ্টিপতনের শব্দ শাস্ত প্রভাতের শাস্তি ভদ করিতেছে, নতুবা এই গৃহের কোথাও বিদ্রোহের বহিধূম দেখা গেল না। হরিশ উঠিয়া প্ৰাত:কৃত্য সারিতে গেল। , , মমতা দুর্গার পিছনে ধাড়াইল। ধাড়াইয়া খনিক দুর্গার কাজ লক্ষ্য করিল, তার পর বলিল,-কাকীম, আমার স্বটকেসটা কি আপনার ঘরে আছে ? কাপড় ছাড়তে হবে দ্বর্গ হেঁট হইয়া কাজ করিতে করিতে জবাব দিল,— ঐ ঘরে যাও, নাও গে। ঘরে ঢুকিয় মমতা ত তাহার স্বটকেসের অবস্থা দেখিয়া অবাক ! কেষ্ট উহার ডালা খুলিয়া খান দুই কাপড় বাহির করিয়াছে ; ছোট আয়না, চিরুণি, টুথব্রাশ অনেক কিছুই সেই সঙ্গে বাহিরে আসিয়াছে। কাপড় বিছাইয় কেষ্ট ও তাহার ছোট ভাই আনন্দে তাহার উপর উলট-পালট খাইতেছে। - মমতা ছুটিয়া আসিয়া স্বটকেসের পাশে বসিয়া তাহার মধ্যে হাত চালাইয়া দিল । কাপড়, জামা এবং অস্কান্ত অনেক কিছু বাহির করিয়াও প্রাথিত জিনিষটি মমতা খুজিয়া পাইল না। পাণ্ড মুখে সে কেষ্টকে প্রশ্ন করিল, –এই, আমার টাকার ব্যাগ কোথায় ? বল, কোথায় রেখেছিস ? কেষ্ট মাথা নাড়িয়া বলিল,—আমি কি জানি ? মমতা উদ্বিগ্ন হইয়া বলিল,—তুই বাকুসো খুলিস নি ? কেষ্ট বলিল, হ্যা-খুলেছে বইকি ! মমতা আদর করিয়া বলিল,—লক্ষ্মী সোনা, ব্যাগটা জামায় দাও, তোমায় একটা টাকা দেব। -ञाभि कि खानि !-वणिग्न ८कटे घब्र श्रङ दाश्छि হইয়া গেল । o মমতা সেই ইতস্ততবিক্ষিপ্ত কাপড়, জামা, সাবান, আয়না ইত্যাদির সম্মুখে বহুক্ষণ বিমূঢ়ের মত বসিয়া রহিল। ললাট ও ভ্রর স্কুঞ্চন দেখিয়া বোঝা গেল, মমতা বুদ্ধির আলোকে এ রহস্তের তল খুজিতেছে। তার পর বুকের মাঝে অতিকষ্ট্রে একটি ভারী নিশ্বাস লুকাইয়া সে কাপড়-জামা স্বটকেসে গুছাইয়া তুলিতে লাগিল। মমতার তরী কুলে ভিড়িয়াছে। , ... -- তালাভাঙা স্কটকেস বন্ধ করা বড় কঠিন ; রার কয়েক সে-চেষ্টা করিয়া মমতা দুর্গার নিকট একটু ঘড়ি ভিক্ষ করিল।