পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

穹悖 खोषमाझन्म (rN9N9 রাজার শব্দে স্বর্ণময়ী অরুণের কোন কথা শুনিতে পান নাই। তিনি বলিলেন—কি বলছ অরুণ ? —বিশেষ কিছু না। —কি একটা বলছিলে । —উমা তাহলে বি-এ পড়বে ? —ই । ওঁর কিন্তু বড় অমত । ও মেয়ে ত কলেজে ভৰ্ত্তি হয়ে গেছে । আমাদের আবার পূজোর পর চলেই যেতে হবে হয়ত । —তোমরা কি শীগগির দিল্লীতে যাবে। —ওঁর শীতকালে গিয়ে আপিসে জয়েন করবার ইচ্ছে । অরুণ স্বর্ণময়ীর মুখের দিকে চাহিল। রেখাঙ্কিত ললাটে কুঞ্চিত গণ্ডে উনানের আগুনের আভা ঝিকিমিকি করিতেছে। যৌবনে যে তিনি অসামান্ত সুন্দরী ছিলেন, তাহা স্পষ্টই বোঝা যায়। দুই চক্ষে কি স্নেহময় দৃষ্টি। স্বর্ণময়ী ধীরে বলিলেন—তুমি কি ভাবছ বুঝেছি, অরুণ। অজয়ের আগে উমার বিয়ে হওয়া উচিত। কিন্তু ওকে কিছুতেই মত করাতে পারলুম না। উনি বি-এ পড়বেন, ওঁর আমলাদিদির মত মাষ্টার হবেন বোধ হয়, স্বাধীন হবেন—ওর ভাগ্যে অনেক ছঃখ আছে তোমায় বলে দিলুম। —কি যে বলছ মামী। স্বর্ণময়ী অরুণের অতি নিকটে আসিয়া দাড়াইলেন। র্তাহার মুখ ছলছল করিয়া উঠিল। মুম্বকণ্ঠে তিনি বলিলেন— খে অরুণ, তোমার মা নেই। মায়ের স্থান কেউ পূর্ণ করতে পারে না। তবু, তোমাকে আমি কত স্নেহ করি, তুমি জান । আমরা মেয়েমানুষ পরাধীন, আমাদের সাধ পূর্ণ হয়না । স্বর্ণময়ীর কণ্ঠরোধ হইয় গেল, দুই চোখ জলে ভরিয়া আসিল। চোখ মুছিয়া তিনি রামার কাজে মন দিলেন। অরুণ ধীরে বলিল—মামী, তুমি কোন দুঃখ করে না, তুমি অামায় কত স্নেহ কর জানি । অরুণের দুই গও আগুনের আভায় আতপ্ত হইয়া উঠল। রামাঘর বড় গরম বােধ হইতে লাগিল। চুপ * সে প্ৰজলিত উনানের দিকে চাহিয়া রহিল। উনানের শিক হইতে অঙ্গার নীচে খসিয়া পড়িতে লাগিল।

  • b*->}

টিপটপ, বৃষ্টি পড়িতেছে। বর্ধারাত্রির আকাশ নিকষকৃষ্ণ । রুদ্ধ ক্ৰন্দনের মত আৰ্জবাতাস গুমরিয়া উঠিতেছে। অরুণ অজয়দের বাড়ি হইতে বাহির হইল। ভিজিতে ভিজিতে সে জোরে চলিল। বাড়ি ফিরিতে ইচ্ছা হইল না । ইচ্ছা হইল, অবিরাম, শ্রাস্তিহীন পথে চলে ; এ পথ-চলার যেন শেষ না হয়। গলি পার হইয়া সে বড়রাস্তায় আসিয়া পড়িল । বারিসিক্ত পথ আলোয় ঝিকিমিকি করিতেছে । দোকানে দোকানে আলোকের ঝলমলানি । চারি দিকের সজল অন্ধকার-যবনিকা মধ্যে মধ্যে বিদ্যুতের অগ্নিরেখায় কাপিয়া উঠিতেছে। এই পথের জনস্রোত, আলো-অন্ধকারের ধারা অলীক মায়, অবাস্তব । কোন মায়াবিনীর স্বষ্টি । জোরে সে চলিতে লাগিল। ছুটিতে ইচ্ছা হইল। এক চলন্ত ট্রামে সে লাফাইয়া উঠিল। টুমের সম্মুখের বেঞ্চে বসিয়া জানলার শাসী ফেলিক্সা দিল । আৰ্দ্ৰ বাতাসে তপ্ত ললাট শীতল হইল । প্ধর ট্রকেলে চাহিয়া রহিল। ইমলাইনের লৌহদও কারে" গুলি আলোয় ঝিকিমিকি করিতেছে । ট্রাম-ডিপো হইতে অরুণ অজানা অন্ধকার পথে চলিল। দুরন্ত বাসনার মত কোন অদম্য গতিশক্তি তাহাকে কেবল সম্মুখের দিকে ঠেলিয়া লইয়া যাইতেছে। দিশাহার হইয়া সে ভিজিতে ভিজিতে চলিল । প্রাস্তর-ভরা অন্ধকার তরুণী পৃথিবীর আদিম রহস্তের মত। দীর্ঘ বৃক্ষশ্রেণী যেন নিদ্রিত দৈত্যপুরীর অন্ধ &श्द्रौद्र लि । অরুণ একটি বৃক্ষের তলায় বসিল । ধীরে সে ভাবিতে চেষ্টা করিল। নানা চিন্তার খণ্ডিত স্বত্রগুলিতে মাথায় একটা অদ্ভূত জট পড়িয়া গিয়াছে। ই, অজয়ের সহিত প্রতিমার বিবাহ দিলে প্রতিম! হয়ত স্বর্থীই হইবে। দুই জনেই শিগুপ্রকৃতির। ঝগড়া হইলেও শীঘ্রই আবার ভাব হইবে। প্রতিমাকে অজয় দুঃখ দিতে পরিবে না। জীবন কি কেবলমাত্র স্বথের জন্য, দুঃখের জন্ত নয় ? ষে গভীর দুঃখ পাইল না, সে জীবনের রহস্ত জানিল কি ? নারী পুরুষকে জীবনের ষে-পথে আহবান করে সে ত নিছক