পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्रीय 碳 কয়েকটা বিস্কুট পুরে দিলে, ‘ওকে আগে থাকতে দেখিও না, যেতে যেতেই তাহলে সব খেয়ে ফেলবে ।” টুলুর হাত ধ’রে পথে বেরোলাম। মনে হ’ল যেন ও ভয়ানক জীবন্ত । মুঠোর মধ্যে ওর হাতটাকে সামূলানো যাচ্ছে না। বললাম, টুলু, পথে বেরিয়েছ ; এখন ঠোঁট বুজে, হাত স্থির করে গম্ভীর হয়ে যাও । নইলে টাঙ্গ-ওয়ালা রেগে উঠে বলবে, এতটুকু ছেলেকে হাম এভা দূর নেই লে যায়গা । ভাড়া ঠিক করে আমরা তিনজনে টাঙ্গায় উঠে বসলাম –টুলু, আমি আর আমার সেই ভাবনা। টাঙ্গা-ওয়ালার এই বোধ হয় আজ সকালের প্রথম ভাড়া। গাড়ী বেশ খোস্-মেজাজে চলতে লাগল। মনের অবস্থা মোটেই ভাল নয় ; কিন্তু সকালটি বেশ তাজা এবং উদগ্রীব। যেন অনেকটা ঐ টুলুর মত। নিজের অনিচ্ছাসত্ত্বেও দ্রুত-বিলীয়মান পথের দু’একটা টুকরো ছবি চোখে পড়তে লাগল। আগে যা দেখেছি তার চেয়ে কাশীর পথ এখন ঢের ভাল হয়েছে। গাড়ী বা লোকচলাচল যা হয় তার তুলনায় বেশ চওড়া পথ বলতে হবে। কলকাতার মত অত চতুর বাস্তবাগীশ পথ নয়। পথের লোকের দিনরাত প্রাণপণ ঠেলাঠেলি ক’রে অর্থের দিকে এগোচ্ছে না, এদের অনেকেই এগোচ্ছে পরমার্থের দিকে ; হাতের চকৃচকে পেতলের ঘটিতে সেই পরমার্থ ভরে নিয়ে আসবে, কিংবা হয়ত কপালের চন্দনলেখায় থাকবে তার দেনাপাওনার হিসেব। কাজে চলেছে যে, তারও তাড়া নেই ; পথের মোড়ে দাড়িয়ে বিড়ি টানবার সময় আছে, দোকানদারের সঙ্গে রসিকতা করবার সময় আছে, ফুরস্কখ আছে হঠাৎ গান গেয়ে ওঠবার । ● টুলুর এটা কি, ওটা কি ক্রমেই বেড়ে উঠতে লাগল। আমার অনিচ্ছা এবং অক্ষমতা বুঝতে পেরে হিন্দুস্থানী গাড়োয়ানটা মহা উৎসাহে তার সঙ্গে আলাপ জুড়ে দিলে –খোকাবাবু, গোধুলিয়া তো ছেড়ে আইলে, ঐটা একটা হাসপাতাল আছে, ঐটা কি বলো তো ? ৰালিজ। ওখানে তোমাকে পড়তে হোবে—ইত্যাদি ইত্যাদি। বেনারস ক্যান্টনমেন্টে এসে পড়েছি । একে জায় 彎曾 శీఱి

        • خضعتنينتنذ -

শহর বলা যায় না। দুধারে মাঠ আর গাছ জায় মাঝে মাঝে ছু’একটা মেটে বাড়ি । তার মধ্যে দিয়ে গাছের ছায়ায় ছায়ায় গাড়ী ছুটেছে। হাওয়া আসছে যেন ঠিক বাংলা দেশের মত ; বোধ হয় দূর গঙ্গা থেকে, নইলে এমন চেনা চেনা বোধ হবে কেন। টুলু কলকল করে বকছে, গাড়োয়ানটাকে বোঝাতে চাচ্ছে সেও কম জানে না—জানো, ঐ উটগুলো নিমপাতা বয়ে নিয়ে আসে। সেই নিমের ডালে দাতন হয় ! হ্যা, আমি দেখেছি। নয়, সেজমামা ? ওর দিকে চেয়ে দেখলাম। আসল বাঙালীর ছেলে। থাকীর প্যান্ট আর টুইলের সাট থেকে বেরিয়ে আছে সরু কচি চঞ্চল পা আর হাতগুলো। শরীরের তুলনাম্ব মাথাটা বেশ বড়, এত বড় যে একজন আপিসের বড় বাবুর ঘাড়ে বসিয়ে দিলে আয়তনে বা গাম্ভীর্য্যে বেমানান হবে না । বয়স সবে সাত, কিন্তু এর মধ্যেই বুদ্ধি তীক্ষ এবং কথাবার্তা একেবারে লেজিসলেটিভ এসেম্রির উপযুক্ত। চোখ দুটি ডাগর এবং সরল। কিন্তু ভবিষ্যতের কথা বলা যায় না। ছেলেবেলায় আমারও চোখ ঐ রকম ছিল—ফটো এবং মার মুখে তার সাক্ষ্য আছে। মনে মনে হাঁসি পেয়ে গেল ; বেশ সঙ্গীটি আমার জুটেছে য-হোক! বললাম, কেমন টুলু, এ জায়গাটা তোদের কাশীর চেয়ে ভাল নয় ? p এটা কি জায়গা ? এটা একটা গ্রাম। গামৃ ? গাম্ নয়, গ। বল। গ। কাকে বলে ? যেখানে কাশীর মত অনেক বাড়ি নেই, অনেক মাঠ আছে, গাছ আছে, আর ঐ রকম সব কুঁড়ে ঘর আছে, তাকে গা বলে। তোর কেমন লাগছে ? টুলু গম্ভীর ভাবে রায় দিলে, বেশ ভাল জায়গা । সারনাথ কোথায় ? সে এখনো দেরী আছে। আচ্ছা টুলু, সায়মাথে গিয়ে তোর যদি খিদে পায় ? কি খাবি ? সেখানে তো কিছু পাওয়া शीघ्रं न ! কি—জু পাওয়া যায় না ?