পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

यहांस्छब्र প্রকাশ করিয়া তিনি বলিয়া উঠিলেন–রাত্রে আলোও ত চাই দাদা। সেজদার নতুন আলোও আছে। তুমি কিছু বলতে পাবে ন-আমি তালা ভাঙব । উত্তরের প্রতীক্ষা না করিয়াই তিনি চলিয়া গেলেন। বড়কর্তা নীরবে দাড়াইয়া রছিলেন। চাকর আসিয়া বলিল— ঘনশুমে দে এসেছেন—জার সঙ্গে গোঁসাইজী রয়েছেন। ব্যস্ত হইয়া বড়কৰ্ত্ত অগ্রসর হইয়া গেলেন । —প্ৰণাম গোসাইজী, আস্বন, আস্বন–রাধারাণীর আমার পরম ভাগ্য । চৌধুরী-কর্ভার সম্মুখে গোসাইজীর রসিকতা বেশ জমে না তবু সে বলিল—বৈকুণ্ঠ থেকে এই এখুনি টেলিফোন করছিলেন আমাকে, বলেন—তোমাদের মর্ত্যধামে ব্যাপার কি, রায়ার এত সুগন্ধ আসছে কোথা থেকে । আমি বলে দিলাম—বলি পেটুক ঠাকুর, চৌধুরী-বাড়িতে রাধারাণীর পাক-দেখা যে ! বড়কৰ্ত্তার বন্দোবস্ত—গয়লার ছেলে এ সব পাবে কোথা ? দে গোঁসাইয়ের সহিত কৰ্ত্তার সম্ভাবণ-শেষের প্রতীক্ষায় দাড়াইয়াছিল, চৌধুরীকর্তা গোঁসাইজীর কথায় শুধু একটু হাসিয়া, দে-কে নমস্কার করিয়া বলিলেন—নমস্কার দে-মশায়, আক্ষন, আম্বন। দে চমকিয়া উঠিল—তাড়াতাড়ি হেঁট হইয়া কৰ্ত্তাকে প্ৰণাম করিয়া বলিল—প্ৰণাম কৰ্ত্তাবাবু, আমি কিছু পাকা কলা এনেছি, আমার বাড়িরই গাছের, বাজারে দেখলাম আপনার লোক কলার সন্ধান করে পেলে না, তাই— । আনরে, আন্‌ ! একটা মুটে মাথা হইতে একটা চাঙারি নামাইয়া দিল । চাঙারিতে সাজান পরিপুষ্ট মৰ্ত্তমান কলাগুলি সত্যই অতি চমৎকার। বড়কৰ্ত্ত কয়েক মুহূৰ্ত্ত নীরব থাকিয়া বলিলেন— কি বলে যে আপনাকে আশীৰ্ব্বাদ করব দে-মশায়,—আশীৰ্ব্বাদ করি, অন্তঃকরণ আপনার দিন নিউচু হোক। ঘনগুম কর্তাকে আবার প্রণাম করিয়া পায়ের ধূলি ब्रद्देल । বড়কর্তা জোড়হাত করিয়া গোসাইকে বলিলেন—বলতে उ गांश्ण झञ्च न cगैंगाहेर्खौ-शनि मब्रां क'cब्र जांभांब्र ५थांप्न মধ্যাঙ্কে সেবা গ্রহণ করেন তবে--- ՊԵ-Վ2 ब्रडौञ छब्धंज्ञा به جای গোঁসাই বলিল—বেশ–বেশ—বেশ । বড়কর্তী ঘনশ্যামকে বলিলেন—দে-মশায়—আপনি যদি ৷ হাতজোড় করিয়া দে কহিল—সে ত, হুজুর না বললেও আসব। আমি ত আপনার মুী, আমার বরাজ ত বাধা আছে । বড়কর্তা চাকরটাকে একান্তে ডাকিয়া বলিলেন—দেখ, ময়রা, নাপিত, আর গয়লাকেও নেমস্তয় ক’রে আয় । আর কলু, ধোপা, সেকরা আর তোমার দাই এগুনি এদেরও বলতে হবে। বড়গিল্পীকে জিজ্ঞেস ক'রে নে, রাধারাণীর জাতুড়ে এগুনি কে ছিল। এই বেলা সব বলে জায়। ই্যা হ্যা, মেছুনীকেও বলতে হবে। চৌধুরী-বাড়ি ৷ হইতে বাহির হইয়া ঘনশুমে একটা দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিয়া বলিল,এ বাড়িতে আমি আসি না, এলেই মন খারাপ হয়ে যায়। তাগাদায় পৰ্য্যস্ত কাউকে পাঠাই না। গোঁসাই কোন উত্তর দিল না, আপনার বাড়ি আসিয়া উঠিল। তখন তাহার মা আপন-মনেই বকিতেছিল—সংসারে কত্তা থেকেও নেই—চাল ফুরিয়েছে—সে কি ধান ভানতে দেব আমি ? গোঁসাই অবাক হইয়া প্রশ্ন করিল—সে চাল এর মধ্যে ফুরিয়ে গেল ? মাও অবাক হইয় গেল, বলিল—এরই মধ্যে হ’ল কিশোর ? তিনটে পেটে খেতে ত হয়, হিসেব ক'রে দেখ না বাবা । গোঁসাই মাথা নাড়িয়া বলিল—উ-ছ! তারপর এদিক-ওদিক চাহিয়া বলিল—তোমার বে। কোথা গেল ? মা বলিল—ঘাটে গেছে, বাসন মাজতে । গোঁসাই বলিল—তবে বলি শোন, তোমার বৌয়ের কীৰ্ত্তি এ । সবিস্ময়ে মা প্রশ্ন করিল—কি ? —এই চাল—তোমার চাল ফুরোনোর কথা বলছি—চাল বেচে ও বেগুনী-ফুলুরী খায়। 壽 播 Co. চৌধুরীকভার মেয়ে রাধারাণী অপছন্দ হইবার মেয়ে নয়। বণে লাবণ্যে দেহসৌষ্ঠবে মেয়েটি প্রতিমার মত স্বন্দরী। পাত্রপক্ষের অপছন্দও হইল না। পত্রিক উচ্ছসিত জানৰে