পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

झोछुन्। ब्रडौव्ष छन्थंप्री چچه ঘাটের পথে রোজ যায়—জার বে। আর বেটার নামে— সে অামি সব গুনেছি। গোঁসাই বসিয়া বসিয়া কেবল উঃ আঃ করিতেছিল। স্ত্রী বলিল,—এই দেখ অবেলায় মরা-পেটে চড়া দিয়ে খেয়েছ— একটু শোও। ঘুমলেই সেরে যাবে। গোসাই বলিল—তাই দাও, কিন্তু একটু বেড়িয়ে এলে হ’ত । একখানা মাছর বিছাইয়া দিয়া বালিশটা দিতে দিতে স্ত্রী কহিল—না, একটু শোও। সারাদিনই ত টো-টো করে ঘুরছ। গোসাই শয়ন করিল—কিন্তু শরীর সুস্থ হইল না। কিছুক্ষণ এ-পাশ ও-পাশ করিয়া উঠিয়া বলিল—যাই একবার ইট্টিশান ঘুরে আসি। লক্ষ্মীবাটীর বাবুরা যাবেন এই ট্রেনে দেখাটা করে আসি । ঠিক এই সময় বাড়ির বাহির হইতে কে ডাকিল— গোসাইজী আছেন ? গোঁসাই তাড়াতাড়ি উঠিয়া বলিল—কে হে, হরেকেই না কি ? হ্যা, যাই । বাহিরে আসিয়া দেখিল হরেকেষ্টই বটে। তাহাকে দেখিয়া সে অকারণে খুশী হইয়া উঠিল। হরেকেষ্ট বলিল—তার পর সেই খবরটার কি হ’ল ? গোসাই বলিল—না ভাই, যাওয়া আর হয় নি। তার জন্তে তুমি এত ভাবছ কেন ? হুরেকেষ্ট বলিল—ভাবনা আমার বিশেষ নেই গোসাইজী। আমরা হলাম চৌধুরী-বাড়ির জ্ঞাতি, আর ওদের সঙ্গে বিরোধ বলেই এ বাবুরা আমাকে চাকরি দিয়েছেন। ছাড়ান, নিজেরাই বুঝবেন। ও যতই ফুসফাস করুন— আমি-ভিন্ন চৌধুরীদের সম্পত্তি হজম করতে কেউ পারবে না । গোসাই বলিল—আচ্ছ, তোমাদের বুঝি নেমস্তন্ন করে নি । রাধারাণীর পাক-দেখা হয়ে গেল, কই তোমাদের বাড়ির কাউকে ত দেখলাম না ! হয়েকেই উত্তর দিল—নেমস্তন্ত্র ছিল—ও আমাদের গুটীতে ব্যতিক্রম হবার উপায় নাই। তবে আমার শরীর বেশ ভাল ছিল না, আর ধরুন এ-পাড়া থেকে ও-পাড়া, মেয়েছেলের যাওয়ারও ভারী অন্ধবিধে ••• কিছুক্ষণ নীরব থাকি আবার সে বলিল—তার পর সৰ किठीक झटम्र ८१ोण ? গোসাই বলিল—স্থ্য, আশীৰ্ব্বাদ হয়ে গেল—আসছে সপ্তাহে—২৫শে অস্ত্রাণ দিনও হয়ে গেল । —আশীৰ্ব্বাদে কি দিলে ? এ দিকে নাম-ভাৰ ত খুব ওদের আমাদের সমাজে । গোসাই ঘাড় নাড়িয়া ফুষ্ঠিত ভাবে বলিল—ঝাপট একখানা। কিন্তু আমার বেশ ভাল লাগল না দেখে। মরা সোনার গয়না, পানে ভরা-পাথরগুলো—কে জানে ভাই পাথর ত চিনি না—কিন্তু কাচের মতই মনে হ’ল আমার । হরেকেই বলিল—সেকেলে গয়না, সোনা একটু নীরেন্সই হয় ; কিন্তু পাথর বোধ হয়—সাচ্চাই হবে। লক্ষ্মীবাটির বাবুদের অনেক জহরত আছে। গোঁসাই চুপ করিয়া রহিল। হয়েকেষ্ট বলিল—জাচ্ছা তা হ’লে— । গোঁসাই বলিল—একটা কাজ কিন্তু ভাই চৌধুরী-কত্ত ভাল করলেন না । —কি ? ' –এই মানে—রাণীর পায়ে হাটুর ওপরে নাকি সাদা সাদা দাগ আছে। ওঁরা বলেন—পোড়া দাগ। কিন্তু—কে জানে ভাই কি। কিন্তু এর পর দেখে যদি ওরা ‘ফুল', মানে শ্বেতফুষ্ঠ-টুষ্ট ভাবে-অ্যH বলা উচিত ছিল।...আর হয় ত— তাই-ই হবে— । হরেকেই বলিল—রাধারাণীর পা পুড়ল কখন— কই শুনি নি ত আমরা ! গোসাই বলিল—ওই দেখ, তোমরা জ্ঞাতি, তোমরাও জান না । —তবে অবশু আমরা ও পাড়ায় থাকি, না জানতেও পারি। —আর এক কাও জান ? —ন, আবার কি কাণ্ড । —সেজগিল্পীর বাড়ির তালা ভেঙে দুই ভাইয়ে প্রায় যথাসৰ্ব্বস্ব—বুঝেছ কি না গালচে বার করবার ছল করে— বাবা এই মহৎ—এত মহৎ—দেখ, ব্যাপার দেখ।