পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سواره به SNb8包 টিয়েষ্ট শিলিঙের ভেতর পাঁচ শিলিং এই ভারতবর্ষ থেকেই আয় হয়। আমরা সৃদ্ধি বিলাতী দ্রব্য বর্জন করি, তাহলে এই পাচ শিলিং লোকসান হয়। কাজেই গবর্ণমেণ্টকে এই ব্যবস্থা করতে হয়েছে। গবর্ণমেণ্ট তাদের নিজের সুবিধা দেখবেন বইকি। একথা শুনে হোটেলওয়ালী বললে,~~ বুঝেছি। মহাত্মা গান্ধী আমাদের দেশের লোক নন তবু আমরা তাকে নিযুত মনে মনে পূজা করি । খানিক গণ পরে জাহাজঘাটে যাবার জন্য হোটেলের বাস এসে পড়ল। আমরা লাগেজ-সমেত তাইতে উঠলুম। জাহাজ ছাড়বার আগে এক লীর দিয়ে কিছু চিনেবাদামভাজা কিনে নিলুম। এক জন লোক জাহাজ ঘাটে তা বিক্ৰী করছিল। জাহাজ ছাড়বার পর জাহাজের ক্যাপ্টেনের সঙ্গে গল্প করতে করতে আমরা চললুম। শুনলুম ক্যাপ্টেন অনেক দিন ধ’রে নানা রকম জাহাজে চাকরি ক’রে অবশেষে এই টি শ্লেষ্ট-পোটোরসোর ফেরী ষ্টীমারে কাজ নিয়েছে। ট্ৰিয়েষ্ট থেকে পোর্টোরসোএয়ারোপ্লেনেও যাওয়া যায় ; দু-ঘণ্টার জায়গায় পাঁচ মিনিটে পৌছে যাওয়া যায়। আমরা জাহাজে থাকৃতে থাকৃতে দু-তিনখানি এয়ারোপ্লেন যাতায়াত করলে । পোর্টোরসে পৌছে, হেঁটেই হোটেলে উঠলুম। এ জায়গাটি সমুদ্রের ধারেই, আশপাশে পাহাড় ও ছোট-বড় দ্বীপ। আমাদের হোটেলটির নাম পেনসন হেলিও, একেবারে সমুদ্রের ধারেই। হোটেলওয়ালা তখন বাড়ি ছিল না। আমরা হোটেলে ঢুকে কাউকে দেখতে না পেয়ে হোটেলের বাগানে এলুম। এখানে এসে দেখি সমুদ্রের ধারে বালির চড়ায় চেয়ার পেতে ও বালির উপর গুয়ে পড়ে লোকে সান-বাথ, করছে। পুরুষ অপেক্ষা মেয়ের ভিড় বেশী। সকলেরই পরনে গলাকাটা হাতবিহীন স্নানের পোষাক, প্রায় অৰ্দ্ধনগ্ন বললেও চলে। একটি মেয়ে আমাদের কাছে উঠে এল । এ জাৰ্ম্মান, কোন রকমে ভাঙা ইংরেজীতে জানালে ম্যানেজার কি কাজে টিয়েষ্টে গেছে, বিকেলবেল আসবে । সে নিজে আমাদের সাহায্য করতে পারে । তাকে জানালুম আমাদের একটি ভাল ঘরের দরকার কিছুদিন থাকৃতে চাই। সে আমাদের দোতালায় নিয়ে গিয়ে একটি ঘর ঠিক ক'রে দিলে। ছোটখাট ঘর সমুদ্রের ধারেই। হোটেলটিতে শুনলুম একটি মাত্র পায়খানা, তা সকলকেই ব্যবহার করতে হয় । বাথরুম বলে কিছুর ব্যবস্থা নেই। লোকে এখানে এলে সমুদ্রস্নানই করে। কাজেই বাড়িতে স্নানের ঘরের কোনও পার্ট নেই। পায়খানায় গিয়ে দেখি চেন-টানা জলের বন্দোবস্ত আছে, কিন্তু অনেক বার টানবার পরও জল এল না । উণ্টে অনেক কালের পচা ময়লা উপরে ভেসে উঠল ! এতগুলি লোক কি ক’রে এখানে বসবাস করছে বুঝতে - পারলুম না। তখন শরীর বড়ই ক্লাস্ত, থিদেও পেয়েছে খুব, কাজেই সে-সব দেখা সত্ত্বেও নীচে নেমে এলুম খাবার জন্ত । এখানে কেউ ইংরেজী জানে না। ধে ঝি পরিবেশন করতে এল, তাকে বোঝাতেই পারি না কি খাব !