পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বরাবর পাহাড়ের প্রাচীন গুহ। শ্ৰীতড়িৎকুমার মুখোপাধ্যায় গয়া হইতে প্রায় ষোল মাইল উত্তরে প্রবর ( আধুনিক নাম বরাবর ) গিরিত্ৰেণী। উহার প্রাচীন নাম খলতিক (১) সুপিয়া ব কর্ণচাঁপার গুছা । (২) পাতালগঙ্গার পাশ দিয়া কর্ণচৌপার গুহার ধাওয়ার রাস্ত । (৩) কর্ণচৌপারের রান্ত। দুরে সম্মুখে সিদ্ধেশ্বরনাথ পৰ্ব্বত। সেখানে পৰ্ব্বতগাত্রে সম্রাট অশোক কর্তৃক নিৰ্ম্মিত কতকগুলি প্রাচীন গুহা আছে বলিয়া শুনিয়াছিলাম। তাহা দেখিতে আমরা কয়েক জন বন্ধু মিলিয়া মধুপুর হইতে ভোর সাড়ে চারিটার দিল্লী এক্সপ্রেসে রওনা হইলাম। আমরা যখন কিউল পৌছিলাম তখন বেল প্রায় আটটা । এক্সপ্রেস লেট থাকায় গয়ার গাড়ী ধরা গেল না। খবর লইয়া জানিলাম পরের ট্রেন সেই বেলা প্রায় দুইটার সময় ছাড়িবে। অগতা মোটঘাট লইয়া ষ্টেশনের বাহিরে গাছতলায় আশ্রয় লইলাম । কাছেই কিউল নদী। আধা বালি ও আধা জলে স্নান মন হইল না। পরে গাছতলায় ষ্টোভ ধরাইয়া আহার ও বিশ্রাম। যথাসময়ে আবার ট্রেন ধরিয়া সারা দুপুরে ট্রেনে গরমে প্রায় অৰ্দ্ধ-সিদ্ধ হইয়া সন্ধ্যা সাড়ে পাচটায় গয়া পৌছিলাম। ষ্টেশনে নামিতে-না-নামিতেই সৰ্ব্বদিক হইতে “লাগিল পাণ্ডা নিমেষে প্রাণটা করিল কণ্ঠাগত ।” তাহদের প্রথম প্রশ্ন, “বাবুর কোন জিলা ঘর ?” কলিকাতা বলিলে গোল বাড়িবে মনে করিয়া বৰ্ত্তমান আবাসস্থল মধুপুরের নাম করিলাম। কিন্তু তাহাতেও নিস্তার পাইলাম না । মধুপুরেও নাকি তাহদের অনেক যজমান আছে। শেষে অনেক কষ্টে বুঝাইলাম যে আমরা এখানে বেড়াইতে আসিয়াছি মাত্র, কোনও ঔদ্ধদেহিক কৰ্ম্মের জন্ত আসি না । পাণ্ডাদের এইরূপে ঠাণ্ডা করিলে দ্বিতীয় সমস্ত হইল কোথায় গিয়া উঠা যায়। ষ্টেশনের নিকটেই একটি ধৰ্ম্মশালা অ ছ বটে, কিন্তু তাহাতে স্থানাভাব। আমাদেরই মধ্যে এক ন পূৰ্ব্বে এই বরাবর পর্বতগুহা দেখিতে একবার গয়ায় আলিছিলেন। তিনিই আমাদের বর্তমান দলের পথপ্রদর্শক। f‘নি ষ্টেশন হইতে প্রায় এক মাইল দূরে গয়ায় তারত-সেবা ম’ সঙ্ঘের ধৰ্ম্মশালায় আমাদের লইয়া গেলেন। ধৰ্ম্মশাটি দোতালা এবং বেশ ফাকার উপর অবস্থিত। এখানে প্রায় •रई বাঙালী যাত্রী। ধৰ্ম্মশালার চারি দিক বেশ পরিষ্কার-প িস্থল এবং ঘরগুলিও বড় বড়। আলো-হাওয়াও যথেষ্ট। এর