পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহামহোপাধ্যায় পণ্ডিত জীবিধুশেখর ভট্টাচাৰ্য্যের প্রতি હૈ প্রীতিনমস্কার সম্ভাষণ আপনার রাজদত্ত সম্মান লাভের পর কিছুদিন বিলম্ব হয়ে গেল—যথোচিত অভিনন্দন পাঠাতে পারি নি তার কৈফিয়ৎ দেওয়া আবশ্বক। বিবাহ-উংসবে বিধবার যোগ দেওয়া নিষিদ্ধ—আমি উপাধিতাগী, কী আখ্য দেবেন ? সুপিাধিক ? আপনার নব উপাধি-সম্প্রদান উপলক্ষ্যে শঙ্খধ্বনি হয় তো আমাকে শোভা পায় না। তবু আপনার রাজধানীর বন্ধুসভা থেকে দূরে এই অন্তরালে বসে রাজবুদ্ধির প্রশংসাবাদ জানাচ্চি। আমাদের এই ক্ষুদ্র মণ্ডলীর মধ্যে যতদিন ছিলেন ততদিন আপনার প্রকাশ অবরুদ্ধ ছিল, তাই রাজার প্রসাদ থেকে বঞ্চিত ছিলেন—আজ প্রশস্ত ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছেন এবং সম্মানও পেয়েছেন তারই উপযুক্ত। আমরা আপনাকে নিতান্ত আটপহুরে শাস্ত্রী উপাধি দিয়েছিলেম দীনজনোচিত সঙ্কোচের সঙ্গে, সেটা মানী সমাজে ব্যবহার্য্য নয়। সেটা আজ এখানকার ধূলিতেই স্বলিত হয়ে রইল। ইতিমধ্যে দুই বার রোগের অভিঘাতে আমার জরার জীর্ণত আরো বাড়িয়ে দিয়ে গেছে। বিশ্রামের ইচ্ছা করে থাকি, কিন্তু সেটা আমার পক্ষে দরিত্রের মনোরথেরই তুল্য হয়েছে। বিশ্রাস্তির চরম উপাধি যিনি আমাকে দেবেন, তিনি আসন্ন হয়েছেন । ইতি ১৮ জানুয়ারি, ১৯৩৬ আপনাদের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহামহোপাধ্যায় পণ্ডিত শ্ৰীযুক্ত বিধুশেখর ভট্টাচার্য মুহৃদ্বরেষু বিদ্যার তপস্বী তুমি। আজ তুমি যশস্বী ভারতে ; কবি তব জয়মাল্য সপি দিল তব জয়রথে । এই আশীৰ্ব্বাদ করি ;–তব যাত্রা হোক অগ্রসর অপুৰ্ব্ব কীৰ্ত্তির পথে উত্তরিয়া দেশদেশান্তর দূর হতে দূরে। একদিন যবে অখ্যাত নিভৃতে স্তন্ধ ছিলে, অন্তলীন আনন্দের অদৃশ্য রশ্মিতে সিদ্ধি ছিল মহীয়সী ; ভারতীর প্রসাদ বৃষ্টিতে ছিল তব পুরস্কৃতি, ছিল না তা লোকের দৃষ্টিতে । জ্ঞানের প্রদীপ তব দীপ্ত ছিল ধ্যানের আড়ালে নিষ্কম্প আলোকে । আজ জনারণ্যে চরণ বাড়ালে, সেথা পরিচয় লাগি নাম মাগে উপাধির সীমা, সেথা মহিমার চেয়ে মানে লোকে চিহ্নের গরিমা । চিহ্ন না রহিতে তবু তোমারে চিনিয়াছিল যারা তাদের সম্মানমাল্য জনতার কাছে মূল্যহারা। যেথা যাহা প্রয়োজন তাই দিন সৌভাগ্য-বিধাতা, পদবীর পরিমাপে হয় যদি হোক উচ্চ মাথা । বিশ্বে তুমি দৃপ্ত হও ভালে বহি রাজদত্ত টিকা, বন্ধুচিত্তে থাকো লয়ে নিলাঞ্ছন আত্মালোকশিখা ॥ শাস্তিনিকেতন $९ श्वांश्च १७8* বন্ধু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর