পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

utu প্রবাসী ১৩৪২ র্তাহাকে বিছানার পাশে ছোট টেবিলে আনিয়া দেওয়া হইল, দিকেই তাহদের বাধিতেছে। যামিনীকে দেখিয়া সকলেষ্ট কারণ খাইতে উঠিতেও তিনি আর রাজী হইলেন না। নানা রকম নালিশ লইয়া আসিয়া হাজির হইল। স্বজিত ছেলেমানুষ, অত দমিয়া অবশ্ব যায় নাই, কিন্তু লেও ত স্বর্থী মানুষ, পরিশ্রম করা বা অস্ববিধা সহ করা তাহারও কোনদিন অভ্যাস নাই। কাজেই সেও খাইয়া গুইতে ব্যস্ত হইয় পড়িল। যামিনী, মমতা ও স্বজিত সকলেই খাইয়-দাইয় গুইতে চলিয়া গেলেন, কারণ রাত্রের খাওয়া চুকাইয়া দিলে এই পল্লীগ্রামে আর কিই বা করা যাইতে পারে? এখানে বিজলীর বাতি নাই, চারি দিকে জাধারের বান ডাকিতেছে। শব্দের মধ্যে শুধু শেয়ালের ভাক আর ঝিল্লীধ্বনি। থিয়েটার নাই, বায়োস্কোপ নাই, মোটরে চড়িয় ঘুরিয়া বেড়াইবারও উপায় নাই। বন্ধুবান্ধব নাই যে রাত একটা অবধি জাগিয়া আডড দেওয়া যাইবে, কাজেই ঘুমাইয়া পড়া ছাড়া গতি নাই। স্বজিত কখনও এত সকাল সকাল ঘুমায় না, কিন্তু অবস্থাচক্রে তাহাকেও আজ ঘুমাইতে হইল। একলা ঘরে অন্ধকারের দিকে তাকাইয়া জাগিয়া থাকিতে পারে এক কবি, নয় যাহার প্রাণে শোকের আগুন জলিতেছে সে। স্বজিত কোন দলেই পড়ে না, স্বতরাং মনের বিরক্তি মনেই চাপিয়া সে বিছানায় গুইয়া পড়িল এবং এমনই নিস্তব্ধতার গুণ যে খানিক পরে ঘুমাইয়াও পড়িল । কলিকাতায় আজন্ম বাস করা সত্বেও যামিনীর বেশ ভোরে উঠা অভ্যাস ছিল। সূর্য্যোদয় না দেখিলে তাহার প্রাণে যেন তৃপ্তি আসিত না । তাই এখানেও তাহার ভোরবেলায়ই ঘুম ভাঙিয়া গেল। অস্পষ্ট আলোয় ঘরের চারি পাশ দেখা যাইতেছে, পাশে মমতা তখনও অঘোরে ঘুমাইতেছে। পথশ্রমে সেও কাল বড় কাতর হইয়াছিল, যদিও মনে আনন্দের জোয়ার ডাকিয়া যাওয়ায় সে ক্লাস্তিকে আমল দেয় নাই। অন্য দিন সে প্রায় মায়ের সঙ্গে সঙ্গেই ওঠে, আজ আর ওঠে নাই। সক্ষেহে একবার নিদ্রিতা কস্তার দিকে তাকাইয়া, মশারি তুলিয়া যামিনী বিছানা হইতে নামিয়া পড়িলেন। ঘরের বাহিরে আসিয়া দেখিলেন ঝি, চাকর, ঠাকুর সকলেই উঠিয়াছে বটে, তবে অভ্যস্ত কৰ্ম্মস্রোতে কলিকাতার বাড়িতে যেমন অনায়াসে সকলে গা ঢালিয়া দেয়, নুতন স্থানে তেমন পারিতেছে মা, সকল এমন স্বনার সকালবেলাটা বি-চাকরের কচকচি শুনিতে যামিনীর ভাল লাগিল না। “নৃতন জায়গায় একটু অন্ধবিধে ত হবেই, দেখে-গুনে কাজ চালিয়ে নাও,* বলিয়৷ তিনি মুখ ধুইতে চলিয়া গেলেন। তাহার পর ছাদে উঠিয়া বেড়াইতে লাগিলেন। কলিকাতার লৌহকার হইতে বহু বৎসর তিনি মুক্তি পান নাই। ভিতরে ভিতরে কতখানি সে তিনি ইফাইয়া উঠিয়াছিলেন, তাহা আজ এই দিগন্তবিস্তৃত উন্মুক্ত প্রান্তরের দিকে চাহিয়া তিনি বুঝিতে পরিলেন। শহরে থাকিয় থাকিয়া মানুষ কি খানিকট যন্ত্রের মত হইয়া যায় না ? হঠাৎ পিছনে পায়ের শব্দ শুনিয়া তিনি ফিরিয়া চাহিলেন ; মমতা ইহারই মধ্যে উঠিয়, মুখ ধুইয়া, মায়ের পিছন পিছন ছাদে আসিয়া উপস্থিত হইয়াছে। যামিনী বলিলেন, “আমি তোকে ডাকলাম না আর একটু ঘুমৰি ব’লে, এরই মধ্যে উঠে পড়েছিস্ ?” মমতা হাসিয়া বলিল, “এমন স্বন্দর জায়গায় ঘুমিয়ে সময় নষ্ট করতে ইচ্ছা করে না মা। দেখ দেখি পুবের দিকে চেয়ে । কি আশ্চৰ্য্য স্বন্দর রং । এ রকম কলকাতার আকাশে দেখা যায় না। ঐ মাঠটায় নেমে গিয়ে বেড়ালে হয় না মা ?” যামিনী মেয়ের উচ্ছ্বাসে হাসিয়া বলিলেন, “তোর বাব তাহ’লে ভয়ানক চটে যাবেন। এখানে একেবারে ঝুড়ি-চাপা হয়ে থাকা নিয়ম, না হ'লেই মান থাকে না।” মমতা বলিল, “কি জালা, বাপ রে বাপ । এ সব বোকামি কি করে যে প্রথমে মামুষের মনে এল তাই ভাবি । আমি ঠিক বলব বাবাকে।” যামিনী বলিলেন, “তা বলিস। একেবারে ভোরে না বেরলেই ভাল তবু, একটু ফরশা হ'লে যাস।” নীচে ঝি ডাকাডাকি করিতেছে। র্তাহাদের চা ইহারষ্ট মধ্যে প্রস্তুত। কলিকাতায় মা এবং মেয়ে সৰ্ব্বদা একসঙ্গে খান, স্বরেশ্বর কখনও তাঁহাদের ছায়া মাড়ান না, স্বজিত একদিন আসে ত পনর দিন আসে না। नैौफ़ ७क0ि बज्र झ्ण-घब्र, ७iशहे शीeब्रीब्र घब्र, ७वः