পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कांस्छब्र “সাহিত্য-বিজয় কাৰ্য” \,^NS সে আনন্দকে ছোট ক'রে বা জল মিশিয়ে পরিবেষন করতে পারেন নি। এই সকল কারণেই তার চার দিকে বিশেষ কোনও একটা সম্প্রদায় গড়ে ওঠে নি। আপনার চরিত্র ও জীবনের মধ্য দিয়ে তিনি তার জ্ঞান ও প্রেমের আদর্শ রেখে গেছেন। এর চেয়ে বেশী কিছু তিনি রেখে যান নি, কারণ জনতাকে বন্দী করার দুর্গপ্রতিষ্ঠা তার স্বভাববিরুদ্ধ ছিল । র্তার প্রকৃত দান এই আশ্রম ; এই আশ্রমে আসতে হ’লে দীক্ষা নিতে হয় না, খাতায় নাম লিখতে হয় না—যে আসূতে পারে, সেই আসতে পারে, কারণ এ তে সম্প্রদায়ের নয়। এর ভিতরকার বাণীটা হ’ল “শাস্তম্ শিবম্ অদ্বৈতম।” আশ্রমের মধ্যে যে গভীর শাস্তি আছে, সেটা কেউ মুক্তভাবে নিতে পারে তো নেয়। মোহমুগ্ধ করে তো সে আনন্দ দেওয়া যায় না। সেই জন্যেই কখনও বলেন নি যে, র্তার বিশেষ একটা মত কাউকে পালন করতে হবে। তার প্রাচীন সংস্কারের বিরুদ্ধে আমার আধুনিকপী অগ্রজেরা অনেক বিরুদ্ধত করেছেন—তিনি কিন্তু কখনও প্রতিবাদ করেন নি। আমার মধ্যেও অনেক কিছু ছিল, অনেক মতবাদ, যার সঙ্গে তার মতের মিল হয় নি, তবু তিনি শাসন করে তার অনুবত্তী হ’তে কখনও আজ্ঞা করেন নি । তিনি জানতেন যে, সত্য শাসনের অনুগত নয়, তাকে পাওয়ার হ'লে পাওয়া যায়, নইলে যায়ই না। অত্যাচার করেন অনেক গুরু, নিজেদের মতবাদ দিয়ে অল্পবৰ্ত্তাঁদের আষ্টেপৃষ্ঠে বন্ধন করে ; গিট বাঁধতে গিয়ে তারা সোনা হারান । আমার পিতৃদেব স্বতন্ত্র ছিলেন, আমাদের স্বাতন্ত্র্যও তিনি শ্রদ্ধ করতেন। কোনও দিন বাধতে চান নি । মরবার আগে তিনি ব’লে গিয়েছিলেন যে, শাস্তিনিকেতন আশ্রমে যেন তার কোনও বাইরের চিহ্ন বা প্রতিকৃতি না থাকে। র্তার এই অস্তিম বচনে সেই নিঃসংসত্ত আত্মার মুক্তির বাণী যেন ধ্বনিত হয়েছে। তিনি বুঝেছিলেন, যদি নিজেকে মুক্তি দিতে হয় তবে অন্তকেও মুক্তি দিতে হবে। যা বড়, কেবলমাত্র মুক্তির ক্ষেত্রেই তা থাকতে পারে ; মুক্ত আকাশেই জ্যোতিষ্ক সঞ্চরণ করে, প্রদীপকেই ফুটরের মধ্যে সন্তপণে রাখতে হয়। এই মুক্তির শিক্ষা তার কাছ থেকে আমি পেয়েছি। র্তার কাছেই শিখেছি যে, সত্যকে জোর ক’রে দেওয়া যায় না ; বহু বিরুদ্ধতার ভিতর অপেক্ষা ক’রে থাকতে হয় । এই আমার আজকের দিনের কথা ক্ষ so মাঘ ( ১৩৪২) মহবি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যুবাৰিকা তিথিতে শাস্তিনিকেতন-মন্দিরে প্রদত্ত ভাষণ : অধ্যাপক খ্ৰীযুক্ত ক্ষিতীশ রার কর্তৃক অনুলিখিত। “সাহিত্য-বিজয় কাব্য” রেজাউল করীম, এম-এ, বি-এল বঙ্গদেশের খ্যাতনামা কবিগণ আপনাদের অপার স্বজনী-শক্তির প্রভাবে কয়েকখানি স্বমধুর কাব্য রচনা করিয়া সাহিত্যক্ষেত্রে চিরস্থায়ীভাবে নিজস্ব প্রতিভার ছাপ রাখিয়া গিয়াছেন। তাই আমরা "মেঘনাদবধ,” “বৃত্ৰসংহার,” “বীরাঙ্গন, “পরিত্রা,” “মহাশ্মশান” প্রভৃতি কাব্য ও মহাকাব্যের সহিত পরিচিত হইয়া নিজেদের ধন্ত মনে করি। এই সব গ্রন্থ পৃথিবীর যে-কোনও দেশের গৌরবের ও গর্বের সামগ্ৰী হইতে পারে। কিন্তু এবার এক জন নিতান্ত অকবি ও অসাহিত্যিক মহাপণ্ডিত যে “সাহিত্য-বিজয়কাব্য’ রচনায় ব্ৰতী হইয়াছেন, তাহা সফল হইলে তিনি বোধ হয় সকল সাহিত্যিককে টেক্কা মারিবেন । সাহিত্যরসিক ব্যক্তিগণ বিস্ময়বিস্ফারিত নয়নে দেখিবার জন্য অপেক্ষা করিতেছেন, এই অসাহিত্যিক মহাজনের “সাহিত্য-বিজয় কাব্য” না জানি কি অপরূপ বস্তু হইবে। বস্তুতঃ তথাকথিত খিলাফথ-সম্মেলনের কর্ণধার