পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

यांस्छब्र সমাজের সর্বনাশ সাধন হইতে অধিক বিলম্ব হইবে না। বুদ্ধিবিষয়ে যে মুসলমান-সমাজ একেবারে দেউলিয়া হইয়া যাইবে তাহারই স্বচনা আরম্ভ হইয়াছে। আমরা স্পষ্টভাবে ঘোষণা করিতেছি যে,বাঙালী মুসলমানদিগের অতগুলি ভাষা শিথিবীর কোন দরকার নাই, প্রাথমিক অবস্থায় কেবল বাংলা ও কিছু দিন ইংরেজী শিখিলেই চলিবে। আরবীটা অনেক পরে শিখিতে হইবে, কারণ ভাষা শিক্ষা অপেক্ষা অন্যান্ত জ্ঞাতব্য বিষয় শিক্ষা করা সৰ্ব্বাপেক্ষা প্রয়োজনীয়। বহুবিধ ভাষার চাপে তাহদের প্রতিভা নষ্ট হইলে তাহ আর পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হইবে না। ইহাতে তাহারা এরূপ পঙ্গু হইয়া পড়িবে যে, সাহিত্য-বিজয় করা দূরের কথা জীবনসংগ্রামে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করা দুরূহ হইয়া পড়িবে। বাংলা সাহিত্য ও ভাষার উপর নিজেদের বিজয়-বৈজয়ন্তী সগৰ্ব্বে উড্ডন করিতে হইলে বাঙালী মুসলমানদিগকে কঠোর জীবনায়ন త్రై প্রত্যেক স্তরে বাংলা ভাষার প্রচলন করিতে হইবে, মক্তবমাদ্রাসার মোহ পরিত্যাগ করিয়া বাংলা ভাষার মধ্য দিয়া ধৰ্ম্মকৰ্ম্মাদি শিক্ষা করিতে হইবে। সাহিত্য-সাধনা সামান্ত ব্যাপার নহে। প্রাণপণ করিয়া কৃচ্ছসাধনার পর মানুষ যেমন পরমার্থ লাভ করিতে সমর্থ হয়, সেইরূপ বহু যুগের বহু সাধনার পর একটা উৎকৃষ্ট সাহিত্য গড়িয়া উঠে। সেই সাধনার অভাব যখন রহিয়াছে তখন দু-একটা সভায় ফাক আওয়াজ করিয়া সাহিত্য-জয় করা সম্ভব হইবে না। সমগ্র প্রাণমন ঢালিয়া দিতে হইবে সাহিত্য-সাধনায়। আমরা বাঙালী-মুসলমানকে আহবান করিতেছি, সাহিত্যিকের প্রাণ ও কঠোর ব্রত লইয়া কৰ্ম্মক্ষেত্রে প্রবেশ কর এবং প্রকৃত সাহিত্য স্বাক্ট করিতে অগ্রসর হও । দেখিবে, তোমাদের সাধনা ফলবতী হইবে, সাহিত্য-বিজয় কাব্য মহা গৌরবে রচিত হইবে, কালের আক্রমণ তাহাকে গ্রাস করিতে পারিবে না, তাহ অনন্তকাল পর্য্যন্ত অমর অক্ষয় হইয়া সাধনার সহিত বাংলা ভাষা শিক্ষা করিতে হইবে, সমাজের রহিবে। জীবনায়ন ঐীমণীন্দ্রলাল বসু ( २P ) অরুণ আপন অন্তরে উমার মানসী মূৰ্ত্তি যতই স্বন্দর করিয়া গড়িয়া তুলিতে লাগিল, বাস্তব উমার সহিত তাহার যোগস্থত্র ততই শিথিল হইয়া যাইতে লাগিল । উমা যখন েৈর দাৰ্জিলিঙে ছিল, তাহার সঙ্গলাভের জন্য সে কাতর হইয়া উঠিত। এখন উমা নিকটে। সে উমার কথা ভাবে কিন্তু প্রতিদিন উমার সহিত দেখা করিবার জন্ত আকুল হয় না। অজয়দের বাড়িতে গেলে, মামীমার সহিত গল্প করে, চন্দ্রার সহিত খুনস্কড়ি করিয়া চলিয়া আসে, উমা কোথায়, তাহার খোজও লয় না। উমাই এখন অরুণকে খুজিয়া দেখা করে। বাড়িতে শঙ্কণের গলা শুনিলে সে নিজেই ছুটির আসে অথবা lడాt=') ) চন্দ্রাকে ডাকিতে পাঠায়। অরুণ হয়ত সিড়ি দিয়া নামিয়া যাইতেছে, চজা পথ আটকায়, বলে, অরুণদা, দিদি ডাকছেন। তাহার মুখে দুষ্টামির হাসি। বিস্ময়ের ভান করিয়া অরুণ বলে, দিদি আছেন নাকি বাড়িতে ? বারান্দা হইতে উমার কণ্ঠ শোনা যায়, আছি বইকি, জলজ্যাস্ত এখনও রয়েছি, বড় মুস্কিল হ’ল তোমার। সিড়ি দিয়া অরুণকে উঠিয়া আসিতে হয় । উমা হাসির স্বরে বলে, কি বড় উদাস দেখছি, আমাদের আর খোজখবরই নাও না। রাগ হ’ল নাকি আমার ওপর ? —ই, রাগ, তবে সেটা অণু পরিমাণে । —খুব ফাজিল হয়েছ। ব’স চেয়ারে। —না, বেশীক্ষণ বৃসব না ।