পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

இல்o সমে হৃদেবতা সত্যমধুনা কখয়ামি চ। সাক্ষী তচণ্ডিদাসশ্চ মাতা রাসমণি তথা ॥ কিছুৎকৃষ্টকুলে চাহং জাতাত্মি বিধিন ততঃ। বীক্ষ্য মামীদৃশং (পিতু ?) ন মুখঞ্চ ভবিগুতি। খণ্ডৱস্ত পুরং গত্ব স্থাস্তাম্যাজীবনস্তথা । জ্ঞাতং পত্যুরভিধানং চন্দননগরং তথা। মৎ পিত্রে কুশলঞ্চাতে মামেব জাপরিষ্ঠসি। কৃষ্ণসেনের অনুবাদ দিচ্ছি। (পত্রাঙ্ক ৬৬১) [ পাণ্ডুআ নগরে রমার উক্তি ; কমলকুমারী শম্ভুনাথের স্ত্রী ও রমার ভগিনী ] জাইতাম স্বান হেতু নিতা তার নিরে। তখ! তেঁই পড়ি এই তান্ত্রিকের করে । এখন আমার তিনি হৃদয়দেবতা । সাক্ষী তার চণ্ডিদাস রাসমনি মাত । কিন্তু আমি সৰ্ব্বস্রেষ্ঠ কুলীলের মেঞে । অকুলীন পাত্র সহ হইল মোর বিএ ॥ কুলে ধনে পিতা মোর সবার সন্মানী। আমি গেলে তথা তার হইৰ মানহানি । আমার দেখিজা কারে না জন্মিৰ মুখ। র্তেই তথা এজনমে না দেখাব মুখ । দিদি২ দঙ্গামই কমলকুমারী। জুলন। আমারে তুমি চরণেতে ধরি। আজীবন রব আমি স্বযুরের ঘরে। ঘুবিখ্যাত গ্রাম সেই চন্দন নগরে ৷ দেখা যাবে, কৃষ্ণ-সেন উদয়-সেনের সঙ্গে সঙ্গে গেছেন। উদয়সেন কোথায় কেমনে চণ্ডীদাসের চরিত জেনেছিলেন, সে কথা পরে অাছে । কৃষ্ণসেন নাটক লিখেন নাই, কিন্তু অনেক স্থানে নাটকের ভঙ্গি এনেছেন। মাঝে মাঝে গীত আছে, ‘অমুকের উক্তি, এই রূপ আছে। অসংখ্য স্থানে "অমুক কহে, এইরূপ আছে। আমি সংক্ষেপ নিমিত্ত সে-সে নাম পৃথক করেছি। আমার মনে হয়, কৃষ্ণ-সেন চরিতটি পালি-গানের উপযোগী করে’ছিলেন। তার পুখী কোথাও গাওয়া হ’ত কিনা জানি না। কিন্তু চণ্ডীদাসচরিত গান হত। যাত্রার অধিকারী নীলকণ্ঠ মুখোপাধ্যায় শুনেছিলেন, তার পুত্র ঐযুত কমলাকান্তকে সে কথা বলেছিলেন। পালাটিতে রামীর সহিত চণ্ডীদাসের মিলন, জাতিপাত, প্রায়শ্চিত্তের প্রয়াস, সিদ্ধ নামে খ্যাতি বশিত থাকত। এর প্রমাণ “পর্যালোচন” প্রকরণে দেওয়া যাবে। ঐযুত মহেন্দ্র-সেনের বাড়ীর পুখী এইরূপ ছিল, প্রাপ্ত পুখীর তুল্য দীর্ঘ ছিল না। চণ্ডীদাস-চরিতের এই প্রবাসী SNess অংশ মাধুর্য, বিস্ময় ও করুশ রসে পূর্ণ। এই কারণে প্রচারিত হয়েছিল । ( ৪ ) চণ্ডীদাসচরিত-উপাখ্যান আষাঢ়ের প্রবন্ধে চণ্ডীদাস, রামী, রুদ্রমালী, রূপনারায়ণ ও বিদ্যাপতি কেন্দুবিল্বগ্রামে ভোরবেলায় পন্থ চেছেন। ( পত্রাঙ্ক ৭৮২ )। র্তারা ঘরে ঘরে অবিরল হরিধ্বনি শুনতে পেলেন। জয়দেব স্মরণ করে চণ্ডীদাস ধ্যানমগ্ন হলেন। রুদ্রমালী দেখলে, শীর্ণকায় কে একজন দাড়িয়ে। গুনলে, সে দরিদ্র ব্রাহ্মণ, ভিক্ষা মেগে খায়, তার ছুটি সন্তান আছে, কিন্তু কোথাও ভিক্ষা পায় নাই। গ্রামে শ্ৰীহৰ্ষ নামে এক ধনবান আছেন, কিন্তু তিনি গালি দিয়ে দূর করে দিয়েছেন। রূত্রমালী। এত হরিনাম, অথচ দয়াশূন্ত গ্রাম! তুমি চণ্ডীদাসের নাম গুনেছ ? তিনি এখানে এসেছেন। ব্রাহ্মণ ॥ এখানে জয়দেব জন্মেছিলেন ; চওঁীদাসের নাম কেউ শোনে নি। কে সে ? রুদ্র ॥ চণ্ডীদাসী পদ শোননি ? ব্রাহ্মণ ॥ কি জানি, শুনেছি। কিন্তু হেথা তার চর্চা নাই। চণ্ডীদাসকে কেউ আদর করে না। তার নাম করলে এই গ্রামের অপমান। চণ্ডীদাসের আদেশে রুদ্রমালী ব্রাহ্মণকে নিয়ে ঐহর্ষের স্বারে যেয়ে ডাকলেন, “শ্ৰীহৰ্ষ আচার্যদেব, ঘরে আছেন কি ?” রুক্ষশ্বরে সাড়া পড়ল,—“কে তুমি, প্রত্যুষে ডাকাডাকি ক’রছ ?” ভিক্ষা দিতে হবে শুনে ক্রোধান্ধ হ'য়ে শ্ৰীহৰ্ষ । “আমাছাড়া গ্রামে বুঝি আর কেহ নাই।” তোমার বাপু এত বাড়াবাড়ি কেন ? তোমরা কে ? রুদ্র । সিদ্ধকবি চণ্ডীদাস ও তার উত্তর-সাধিক নিয়ে আমরা পাচটি অতিথি । তোমার বাড়ীতে থাকব । শ্ৰীহৰ্ষ । সেই পাপাচারী চণ্ডে ? এখনও তার সঙ্গে রজকঝিয়ারী আছে ? যদি প্রাণে বাঁচতে চাও, একথা কাকেও ব’লও না। কবি বটে, কিন্তু জয়দেবের জন্মস্থানে তার প্রশংসা সম্ভব কি ? রূত্র। চণ্ডীদাস শুধু কবি নহেন, তুমি তার পিছু যত জর্থ ব্যয় করবে, তার দ্বিগুণ পাবে। যত রূপা দিবে তার দ্বিগুণ সোনা পাবে।