পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাল্গুন জাহাজে স্থান রাখিবার বা করিবার আদেশগুলিকে ব্রজেন্দ্রবাবু পাসপোর্ট বা কাৰ্য্যতঃ পাসপোর্ট অর্থাৎ বিদেশে যাইবার অনুমতিপত্র বা ছাড়পত্র মনে করেন। আমি তাহা মনে করি না। কেন, তাহা বলিতেছি । আমাকে ১৯২৬ সালে ইউরোপ যাইবার জন্ত পাসপোর্ট লইতে হইয়াছিল। গত ১৯৩৫ সালে আবার তথায় যাইবার নিমিত্ত্ব পাসপোর্ট লইয়াছিলাম—যদিও যাওয়া হয় নাই। ইহাতে একটি পাতায় জাছে--- সব পাসপোর্টেই থাকে, “These are to request and require in the Name of the Viceroy and (iovernor-General of India all those whom it may concern to allow the bearer to pass freely without lot or hindrance, and to afford him (or her) every assistance and protection of which he (or she) may stand in need.” sistä via stfäs, Håstål stol & “By order of the Viceroy and Governor-General of lndia” &sif AICE 3 oito যাহাঁকে পাসপোর্ট দেওয়া হয়, পাসপোর্টে তাহীর নাম, পেশ, জন্মের স্থান ও তারিখ, হীল সাকিম, উচ্চতা ( height ), চোখের রং, চুলের রং, কোন দৃঙ্গ পরিচায়ক-চিঙ্গ, পিতার নাম, ও ধৰ্ম্ম লেখা থাকে। পাসপোর্টপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে কোন কোন দেশ যাইবার অনুমতি দেওয়া হইল, তাহাও পাসপোর্টে লেখা থাকে। পাসপোর্ট লইবার দরখাস্ত করিবার সময় দরখাস্তকারীকে নিজের দুইথান ফটোগ্রাফ দিতে হয় ও নিজের স্বাক্ষর দিতে হয়। পাসপোর্টে উহার একখান ফোটোগ্রাফ আঁটিয় দেওয়া হয় এবং তlহার নীচে দরখাস্তকারীর স্বাক্ষরটিও স্ট্রাটিয়া দেওয়া হয়। যাত্রীর সঙ্গে ঠাহীর *ী থাকিলে - ষ্টাহীরও ফোটোগ্রাফ ও স্বাক্ষর আঁটিয় দেওয়া হয়। দুইপান ফোটোগ্রাফের মধে, অনুমান করি, একথান সরকারী দপ্তরে রাখা হয়। কোম্পানীর আমলের জাহাজে স্থান করিবার আদেশ পাসপোর্ট ব। তত্ত্ব ল্য কিছু হইলে উক্ত সব বর্ণনা আদি কোথায় ? যাত্রী যখন বন্দরে নামে তখন জাহাজ হইতে নামিবার আগে জাহাজেই স্বাস্ত্য পরীক্ষা হয়। তখন তাহার পরিচয় লওয়া ও পাসপোর্ট দ্বার সনাক্ত করা হয় বা হইতে পারে। বনারে নামিবার সময় পাসপোর্ট খুলিয়৷ এই কায্যের জষ্ঠ নির্দিষ্ট কৰ্ম্মচারীকে নাম ও ফোটোগ্রাফ দখাতে হয়। তিনি যাত্রীদের মুখের দিকে তাকাইয় চেহারাট ফোটোগ্রাফের সঙ্গে মিলাইয়া লন। ১৮৩০ সালে ইহার মত সনাক্ত করিবার রীতি সম্ভবতঃ কিছু ছিল। সেথ বক্সুকে রাজারাম বানান গিয়া পাকিলে ইলণ্ডে নামিবার সময় তাহাকে কোন নামে অভিহিত করা হষ্টয়াছিল। কাগজপত্রে ও পুস্তকে রাজারামের ”ত উল্লেখ পাওয়া যায় তাহ! দেখিয়৷ এই সিদ্ধান্তই হয, যে, ভারতবর্ষে রামমোহনের বন্ধু, আত্মীয়স্বজন, পরিচিত ব্যক্তি, শুক্ৰ-কেহই—কখনও সেখ বক্স্ক নাম ব্যবহার করে নাই, tহাজেও কেহ করে নাই, ইংলণ্ডে ও কেহ করে নাই, তাহকে বিলতে চাকরী দেওয়া হয় রাজারাম নামে, সবাই সব সময়ে রাজারাম, রাজচন্দ্র, জি, রাজু, বা রাজী নাম ব্যবহার করিয়াছে, অথচ কেবল জাহাজে গ্ৰন করিবার আদেশ লইবার জঙ্গই সেপ বক্স্থ নাম ব্যবহৃত হইয়াছিলংগ বিশ্বাস করা অসম্ভব—অস্তুতঃ অত্যন্তই কঠিন । এবং যে সেখ বক্স শম শত্রু মিত্র কেহই জাণিত না, কেবল একবার তাহ ব্যবহার শুরিবার আবগুৰুই বা কি ছিল ? ধরা পড়িবার ভয় ? সেখ বস্তৃত্ব নাম **न जछ cरूइ३ खोनिङ न, उषन ब्राषtनाइनएक थब्रांश्ब्रां निहब ८क ? রামমোহন রায় ও রাজারাম o Aه ব্রজেন্দ্রবাৰু পাসপোর্টের কথা বলিয়াছেন । ভারতবর্ষ হইতে যাহার যে নামে বিদেশে যায়, স্বদেশে ফিরিবার সময় তাহাদিগকে যাইবার সময়কার পাসপোর্টের সাহায্যে যাইবার সময়কার নামেই ফিরিতে হয়। ১৮৩৮ সালে যখন রাজারাম “জাভা” নামক জাহাজে ভারতে প্রত্যাবৰ্ত্তন করেন, তখন তাহার ঘাত্রীদের Sifroin of Afro wick—“Raja Rain Roy, the son of the late Raja Rammohon Roy” histato Go to হইলে অন্ততঃ তখন সেখ বকৃষ্ণ নাম ব্যবহার করিতে হইত, নতুবা নাম ভাড়াইবার অপরাধে তিনি দণ্ডনীয় হইতেন। যাত্রীদের তালিকায় যে ঠাহীকে রামমোহণের পুত্র বলা হইয়াছে, সে বিষয়ে বক্তব্য এই, যে, ব্রজেন্দ্রবাবু স্বীকার করিয়াছেন, গে, পালিত পুত্রকেও পুত্র বলা যায় মাঘের প্রবাসীতে বজেন্দ্রবাবু রমাপ্রসাদ বাবুর সমালোচনার যে উত্তর দিয়াছেন তাহার সম্বন্ধে কিছু বলা আবিষ্ঠক । সকেন্সিল গবৰ্ণর-জেনার্যালের কোম্পানীর আমলের মূল কাৰ্য্যবিবরণী কলিকাতাতেই আছে শুনিয়াছি। এজেন্দ্রবাবু লণ্ডনের ইণ্ডিয়া অফিস হইতে আনাইয় তাহার নকল ছাপাইয়াছেন। দলীল সংগ্রহের এই প্রকার রীতি লক্ষা করিয়া রমাপ্রসাদ বাবু হয়ত তৎসম্বন্ধে “বিচিত্র” বিশেষণটি প্রয়োগ করিয়াছেন, "Public Body short, 21st October, 1830 No. 95” az ARNt(w stqarsin গোড়ার ** "The Secretary reports” ata finitia gas “swf, পত্র" এই কথাটি আমদানী করিয়াছেন। প্রমাণের এইরূপ ব্যাখ্যাকেও রমাপ্রসাদ বাবু “ধিচিত্ৰ" বলিয়৷ থাকিবেন। রাজারাম তাহার পালক পিতা রামমোহন রায়ের সহিত হয়ত যাইতে ব্যাকুলু হওয়ায় তিনি সেপ বক্স্কর জায়গায় তাহাকে লইয়। গিয়াছিলেন, রমাপ্রসাদবাবু এইরূপ অনুমান করিয়াছিলেন । আমি এই অমুমানের সপক্ষে বা বিরুদ্ধে কিছু বলা আবগুক মনে করি না – রাজারামের যাওয়া সম্বন্ধে আমি কিছু ভিন্ন রকম অনুমান আগে লিপিবদ্ধ করিয়াছি । কিন্তু প্লমাপ্রসাদ বাবুর অনুমানের সমালোচন। করিতে গিয়া ব্রজেন্দ্রবাবু রমাপ্রসাদ বাবুর এতদ্বিষয়ক বাক্যগুলির যে সংক্ষিপ্তসার দিয়াছেন, তাহ ঠিক হয় নাই। রমাপ্রসাদ বাবু লিখিয়াছিলেন :--- “রামমোহন রায় যখন অীদেী তিনজন অমুচরের জন্ত অtলবিয়ন জাহাজে জায়গঃ চাহিয়া দরখাস্ত করিয়াছিলেন, তখন রাঞ্জারামের যাওয়ার কথা ছিল না । তারপর যখন যাত্রার দিন ঘনাইয়া আসিল, তখন পিতামাত উভয় স্থানীয় পালক পিতার সঙ্গে যাইবার জন্ত হয়ত রাজারাম বিশেষ ব্যাকুল হইয় পড়িল, সুতরাং তাছাকে সেলিয়৷ যাওয়া সষ্ট জ গুইল না।” ( পৌষের প্রবাসী, ৩৯৩ পৃষ্ঠ । ) ব্রজেন্দ্র বাপু রমণীপ্রসাদ বাপুকে বলাইয়াছেন, "কিন্তু যাত্রার দিন যখন ঘনাইয়া আসিল— অর্থাৎ ১৫ই তারিখে অমুমতি লওয়ার পরে-- রাজারাম বিশেষ ব্যাকুল হইয় পড়াতে রামমোহন তাহাকে সঙ্গে লইতে বাধ্য হইলেন।” ( মাঘের প্রবাসী, ৫৪২ পৃষ্ঠ । ) ঝুমাপ্রসাদবাবু যাহ লিখিয়াছিলেন তাঙ্কার “হয়ত" কথাটির উপর আমি বেশী জোর দিয়া পড়িয়ছিলাম । তাঙ্কার জায়গায়, “হয়ত" বাদ দিল্প, ব্রজেপ্রবাবু করিয়াছেন “রাজারাম ‘বিশেষ ব্যাকুল হইয়। পড়াতে ।” রমাপ্রসাদ বাবু লিখিয়াছিলেন, “যখন যাত্রার দিন ঘনাইয়া আসিল" : ব্রজেন্দ্রবাবু তাহার মানে করিয়াছেন, "অর্থাৎ ১৫ই তারিখে অনুমতি চাওয়ার পর"। কিন্তু যাত্রার দিন ঘনাইয়া আসার অর্থ ( थांजविग्रन छांशtछब्र) यांजाब्र निम नरश् ।