পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মক্ষিকা-উপন্যাস শ্ৰীসুন্দরীমোহন দাস কলিকাতায় দুইটি প্রধান সঙ্গী, মশা ও মাছি রেতে মশা দিনে মাছি, এই নিয়ে কলকাত আছি । বহুকাল হইতে এই কবিতাটি মুখে মুখে চলিয়াছে। আমাদের অসীম ধৈয্যের বোধ হয় তাহাই কারণ । আয়ুৰ্ব্বেদে আছে শক্ষিক-বিষের কথা । উপায় :– মরিচ মহৌষধ বালক নাগাহৈামক্ষিক বিষলেপ । লাল বিষমপনয়ঙে মূলে মিলিতে পটোল নীলিকয়োঃ । মরিচ, গুঠ, বালা ও নাগকেশরের প্রলেপ দিলে মক্ষিকবিষ নষ্ট হয়। পটোল ও নীল-মূল বাটিয় প্রলেপ দিলে লালাবিষ নিবারিত হয়। মক্ষিকানাশক ধূপ : ত্রিফলজুন পুপাণি ভস্নাতক শিরাক । লক্ষ সজ্জয়সশ্চৈব বিড়ঙ্গশ্চৈব গুগগুল । এতৈ ধু পৈমক্ষিকানাং মশকানাং বিনাশনম্। —গরুড়পুরাণ বিষনাশের ত্রিফল, অৰ্জ্জুনফুল, ভেল, শিরীষ, লাক্ষ, ধূনা, বিড়ঙ্গ এবং গুগগুলের ধূপে মাছি ও মশার মৃত্যু। মাছি কি কি রোগ বিস্তার করে আয়ুৰ্ব্বেদে তাহার উল্লেখ পাওয়া যায় না। ১৯২ - ২২২৩৯-২-২১২ -- పి.JSట్డా - - سخ حیحات= سح---صه حسیجمحتاج ডাক্তারী শাস্বে বলে যক্ষ্মী, ওলাওঠা, আমাশয়, শিশুর উদরাময় এবং চক্ষুরোগ বিশেষের রোগবীজাণু বহন করে মাছি । জীবটির আয়তন ক্ষুদ্র, সিকি ইঞ্চি পরিমাণ, কিন্তু শক্তি অসীম । g প্রথমতঃ, ব্যঞ্জনী শক্তি চল্লিশ দিনে একটি মাছির বংশবৃদ্ধির সংখ্যা ৬৪,৫১,২০০ । ডিম ফুটাবার স্থান,--জঞ্জালপাত্র বা গৰ্ত্ত, গোবর-গাদ মাছি আবর্জন কুণ্ড হইতে আসিয় খাবারে বসিয়াছে ইত্যাদি । কলিকাতার জঞ্জাল-রেল প্রতিদিনে ২৮০০০ মণ ময়লা ছড়াইতে ছড়াইতে ধাপার দিকে অগ্রসর হয়। তবু অনেক ময়লা পড়িয়া থাকে। প্রত্যেক ডিম, একটি এক ইঞ্চির বারো ভাগের এক ভাগ পরিমাণ লম্ব স্বতোর মতন । বারে ঘণ্টা কি এক দিনে সেটা হয় ছানা। আগে ছিল একটা অন্ধকার, স্তাংসেতে গরম জায়গায়। পরে আসে ঠাণ্ড শুকনো গোবরগাদায় কি মাটির নীচে । পাঁচ-সাত দিনে হয় পালকহীন মাছি । এই অবস্থাটা শীতকালে ।