পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

न्कोडिन्क বসন্তের প্রারম্ভে ইহারা আনন্দে বে। বৌ শব্দে উড়িতে থাকে। ফাল্গুনে যিনি একক, চৈত্রে তিনি দশ লক্ষ । - দ্বিতীয়তঃ, সৈন্যসংগ্রহ-শক্তি একটি মাছি প্রায় ২৫,০০,০০০ লক্ষ সৈন্য সংগ্ৰহ করিয়া নরদেহ আক্রমণ করিতে পারে। ইহাদের নাম রোগবীজাণু। আহার সম্বন্ধে উদার ; বাছবিচার নাই । রুচি তরল পদার্থে। কঠিন খাদ্য লালায় ভিজাইয়া চুমুক দিলে পেটে তলাইয়া যায় ; স্বতরাং মিষ্টাম্নে আপত্তি নাই । রম্য স্থান আনন্দে বিচরণ ও সস্তানোৎপাদনের স্থান, কলিকাতার আবর্জনা-রেল, খোলা নর্দামা এবং গোশাল । আবর্জনা-রেল এই রেলের মায়া “দুরত্যয়” । জন্ম ১৮৬৭ সালে ; পোষণের ব্যঞ্জ ১৫ লক্ষের অধিক । সুতরাং ৬৮ বৎসরের সস্তানকে ত্যাগ করা সহর-পিতাদের পক্ষে কঠিন। আবার স্বাস্থ্যতত্ত্ববিৎ নগরবাসীদের জালায়ও তিষ্ঠা ভার। আমার গুরু ডাক্তার ডেহিবড়, স্মিথ যখন ছিলেন স্তানিটারী কমিশনর, তিনি বলিয়াছিলেন এই প্রথা স্বাস্থ্যতত্ত্বের *RRR (great sanitary abuse ) “so fostoes; of{SBR ( ill-considered and reckless system of conservancy ) । কিন্তু চিরকালই সরকার বাহাদুর সবস্বাস্তা। স্বাস্থ্যতত্ত্ব, শিক্ষাতত্ত্ব, ডাক্তারী তাহাদের করতলস্থ আমলকবং । ছোটলাট পরিদর্শন করিয়া বলিলেন :– "অস্বাস্থ্যকরতার চিত্র অতিরঞ্জিত।” আমি যখন ছিলাম কপোরেশনের সদস্ত, এবং স্বভাষচন্দ্র ছিলেন বড়সাহেব ( 0, E, 0, ), সুভাষ বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভাকে বলিয়া পঠাইয়াছিলেন, রেল উঠিয়া যাইবে দুই বৎসরের মধ্যে। দশ বংশরের কথা। ইতিমধ্যে চিংড়ীহাটবাসীদিগের আপত্তি, লক"র ধাঙ্গড়দের ধৰ্ম্মঘট করা ইত্যাদি নানাবিধ বিভীষিক*প্রভাত কর্পোরেশন কম্পিত কলেবরে পস্থা আবিষ্কারের চেষ্টায় আছেন। মাছির দ্বিতীয় রম্য স্থান খোলা নর্দাম । কলিকাতার খোল, নৰ্দ্দামার দৈর্ঘ্য ৩২০ মাইল। মাইল-প্রতি প্রতিদিন মক্ষিক-উপস্যাস ఆసి কেরোসীন-ব্যবহারের ব্যয় অন্ততঃ ৫২। দেউলিয়া হইবার ভয়ে কর্পোরেশন সে-বিষয়ে উচ্চবাচ্য করেন না । তৃতীয় রম্য স্থান গোয়ালঘর ও গোয়াল-বাড়ি। শক্ত ঠাই । গোয়ালাদের অসন্তোষের ফল কাউনসিলার-পদপ্রার্থীদের ভোট-বিভ্রাট এবং স্বাস্থ্যকৰ্ম্মচারীদের আয় সংক্ষেপ । আজকাল আবার স্থানে স্থানে সংঘবদ্ধ গোপ বা যাদব-সভার হুঙ্কার । মার্কিন স্বাস্থ্যতত্ত্ববিৎদের পরামর্শ Kill a fly in Spring, You do a line thing, Kill a fly in May, You keep thousands away; Kill a fly in June, You'll get results soon ; Kill a fly in July, You just kill a fly.” বসন্তে মক্ষিক নাশ । সাবাল ভাই সাবাস । মে মাসেতে মাছি মীর । হাজারে হাজারে তাড় । জুন মাসে হ'লে হত । ফল পাও মনোমত । অপেক্ষা করিয়! মার জুলারে অগত্য । বৃথা পরিশ্রম ঐ এক মাছি হত । ডিম্ব বা পক্ষহীন অবস্থায় মাছি মারা সঙ্গত । বসন্তের আরম্ভেই জঞ্জালস্তুপ, গোবরগাদা, পচা লতাপাত ইত্যাদি দূরে ফেলা উচিত। গোবর মাঠে রৌদ্রে শুকাইতে দিলেই মাছিছানার মৃত্যু। গোবরগাদা সরাষ্টবার সুবিধা না থাকিলে সোহাগার জল ছড়াইলে ডিম-ছান মরে । কেরোসীনও মক্ষিকানাশক কিন্তু ইহাতে সার গুণ নষ্ট হয়। আস্তাবল ও পাইখান সংক্রাস্ত আইন, মাছি ধরিবার ফাদ ও জাল, বসন্তের প্রারম্ভে মাছির জন্মস্থানের সন্ধান এবং স্বাস্থ্যবিভাগের কার্য্যতৎপরতা আমেরিকায় মাছির উপদ্রব অনেক পরিমাণে হ্রাস করিয়াছে । আমি যখন v রাধাগোবিন্দ করের মেডিকেল স্কুলে স্বাস্থ্যবিদ্যার অধ্যাপক ছিলাম, তদানীন্তন ছোটলাট স্তর চালর্স ইলিয়ট এক দিন পরিদর্শন করিতে আসিয়া বলিয়ছিলেন, বাংলার মিউনিসিপালিটি ও ডিষ্ট্রক্ট বোর্ডের সদস্যদের স্বাস্থ্যবিদ্যা শিক্ষার ব্যবস্থা থাক প্রয়োজন । বাস্তবিক তাহদের