পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سوtچ\ه প্রবাসী \ তখন এইরূপ দেখাইতে চায়, যে, ভারতবর্ষের লোকদের উপকারের জন্য তাহারা তাহা করিতেছে। পালেমেন্টের যে কমিটিতে ১৮১৩ সালে এই সব বিষয়ের আলোচনা হয়, সেই কমিটি অনেক ভারত-ফেরত ইংরেজের ও অন্য ইংরেজের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। মান্দ্রাজের অন্যতম গবর্ণর সবু টমাস মনরোর সাক্ষা গ্রহণের সময় তাহাকে প্রশ্ন कुम्नौं। झुम्न ३– “Are not the natural halbits and dispositions of the people of India such as would lead them to engage with great zeal und ardour as well in commercial as in other pursuits, were the means of gain or advantage open to them?” তাৎপৰ্য্য। ভারতবর্ষের লোকদের স্বাভাবিক অভ্যাস ও প্রকৃতি কি এরূপ নয়, যে, লাভ বা সুবিধার উপায় তাহীদের অধিগম্য করিয়া দিলে তাহার। যেমন অস্ত কাজে তেমনি বাণিজ্যেও খুব আগ্রহ ও উৎসাহে ●ववृख हईरव ? সেকালে সব ইংরেজ ভারতবর্ষে বাণিজ্য করিতে পারিত না। কেবল ঈষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানী ও তাহার ভূত্যেরা পারিত। সকল ইংরেজ যাহাতে ভারতে অবাধ বাণিজ্যে প্রবৃত্ত হইতে পারে, তাঁহারই চেষ্ট পালেমেণ্টে হইতেছিল। সেই চেষ্টাটাকে এই আকার দেওয়া হইতেছিল, যে, বিলাতী জিনিষ অবাধে ভারতে পৌছিতে পারিলে ভারতীয়ের তাহার ব্যবসা করিয়া লাভবান হইবে । সেই জন্ত মনরোকে পুৰ্ব্বোক্ত প্রশ্ন করা হয়। তাহার উত্তরে তিনি যাহা বলেন তাহার অল্প অংশ উদ্ধৃত করিতেছি। তাহার উত্তরের এই অংশে তিনি জানাইয়া দেন, যে, ভারতীয়দিগকে বণিক বানাইতে হইবে না, তাহারা ব্যবসা বেশ বুঝে। তিনি বলেন :– “The people of India are as much a nation of shopkeepers as we are ourselves; they never lose sight of the shop, they carry it into all their concerns, religious and civil; all their holy places and resorts for pilgrims are so many fairs for sale of goods of every kind; religion and trade are in India sister arts, the one is seldom found in any large assembly without the society of the other.” Ruin of Indian Trade and Industries by Major B. D. Basu. pp. 26--27. তাৎপৰ্য্য। “ভারতীয়ের আমাদেরই মত দোকানদারের জাত , তার ব্যবসাটা কখনো ভুলে না, ধৰ্ম্মসম্বন্ধীয় ও লৌকিক অন্ত সব ব্যাপারের মধ্যে তার বাৰস নিয়ে যায়, তাদের যত পবিত্র স্থান ও তীর্থযাত্রীর সমাগমের স্থান সকল রকম জিনিষ বিক্রীর এক একটা মেলা : ধৰ্ম্ম ও বাণিজ্য ভারতবর্ষের কৰ্ম্মক্ষেত্রে দুই সহোদর, কোন वृश्९ खनठांब भएषा कठि९ ॐरू चांब्र ७कब्रि नाझ्कर्षी वाउँौठ দেখা যায়।” মনরোর উত্তরের এই অংশ হইতে বুঝা যায়, যে, ইংরেজরা যে দীর্ঘকাল হইতে রটাইতেছে, যে ভারতবর্ষ বরাবর শুধু কৃষির দেশই ছিল, সেটা মিথ্যা কথা । ভারতবর্ষ পূৰ্ব্বে দেশী লোকদেরই অতিবড় পণ্যশিল্পের ও বাণিজ্যের দেশ ছিল, এখন আর তা নাই, শিল্প ও বাণিজ্য এখন প্রধানতঃ ইংরেজদের হাতে গিয়াছে। স্বতরাং মেলাগুলির ব্যবসাও কমিয়া গিয়াছে। মাঘমেলা, অৰ্দ্ধকুম্ভ মেলা, পূর্ণকুম্ভ মেলা অবশু কেবল বা প্রধানত: বাণিজ্যের জন্ত কখনও হইত না, এখনও হয় না। অন্য যাহা হয়, তাহার খুব গুরুত্ব আছে। ধর্মের সহিতই ইহার প্রধান সম্পর্ক। এই উপলক্ষ্যে নানা হিন্দু ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের সাধু ও সন্ন্যাসীরা শিষ্য সমভিব্যাহারে প্রয়াগে আসেন। র্তাহীদের আখড়ায় ধৰ্ম্মবিষয়ক ব্যাখ্যান ও আলোচনা হয়। তাহা শুনিয়া জ্ঞানার্থী ও ধৰ্ম্মপিপাঙ্ক লোকেরা উপকৃত হইয়া থাকেন। র্তাহাদের মধ্যে কখন কখন মহাপণ্ডিতও কেহ কেহ আসিয়া থাকেন। অবশ্য বাজে সন্ন্যাসীও অনেক আসে। পূৰ্ব্বে পূৰ্ব্বে স্বানের প্রধান দিনে কোন সম্প্রদায়ের সাধুরী আগে সঙ্গমে স্নান করিবেন, তাহা লইয়া ঝগড়া বিসম্বাদ ও কখন কখন রক্তপাত পৰ্য্যস্ত হইত। নগ্নদেহ নাগা সন্ন্যাসীদিগের ষোদ্ধত্ব প্রসিদ্ধ ছিল । আজকাল ঝগড়া বিবাদ রক্তপাত হয় না । ভিন্ন ভিন্ন আখাড়ার মহস্তদের এবং নাগা সন্ন্যাসীদের শোভাযাত্রার দৃপ্ত চমৎকার। অনেক নাগা সন্ন্যাসীর স্বগঠিত দেহ ও পৌরুষব্যঞ্জক সাবলীল গতিভঙ্গী দর্শকদের মনে শ্রদ্ধার উদ্রেক করে । অনেক আখাড়ার এত অধিক সম্পত্তি ও আয় আছে, যে, তাহার মহন্তেরা লক্ষ লক্ষ টাকা ধার দিতে সমর্থ এবং রাজা মহারাজা ও অন্য ধনী ব্যক্তিদিগকে ধরে দিয়া থাকেন। ইহঁারা সোনালী ঝালরবিশিষ্ট আস্তরণের উপরিস্থ হাওদায় হস্তিপুষ্ঠে আরোহণ করিয়া স্বশোভন ঝাণ্ডা ( পতাকা ) লইয়া মাঘমেলা, অৰ্দ্ধকুমা মেলা ও কুম্ভমেলার শোভাযাত্রায় যোগ দিয়া থাকেন। অনেক কুচ্ছ সাধক সন্ন্যাসীকেও কথন কখন মেলায় যে যায়। একখান তক্তার উপর অনেক লোহার পেরেক পুতি । সেই সুন্নাগ্র কীলকশয্যায় শয়ন সন্ন্যাসী কথন কখন দে । যায়। কেহ বা গঙ্গাযমুনার জলে দেহ নিমগ্ন করিয়া খানে এবং চারি পাশে খোটা পুতিয়া ও মাথার উপরে জরে