পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাল্গুন বিবিধ প্রসঙ্গ—জৰtহরলালের কংগ্রেস সভাপতি নিৰ্বাচন ÄNSvÒ বৎসর পরে ভারতবর্ষে আসিয়া দরবার করিবেন। ভারতবর্ষের যে-সব লোক রাষ্ট্রনৈতিক চিন্তা করিতে পারে ও করিয়া থাকে, তাহারা এখন আর শুধু বাহ জাকজমকে কিম্বা ভবিস্ততে উচ্চ আশা পূর্ণ হইবার প্রতিশ্রুতিতে সন্তুষ্ট হইতে পারিবে না। অতএব, ভারতবর্ষের গবন্মেন্টের ও লোকদের আর্থিক অবস্থা যেরূপ, তাহাতে আড়ম্বরে অর্থব্যয় করা ঠিক হইবে না। তবে, যদি অবস্থাচক্রে ভারতবর্ষের স্বরাজলাভ ঘটে এবং তাঁহারই প্রারম্ভিক কোন ঘোষণার জন্য নৃপতি অষ্টম এডোয়ার্ড ভারতবর্ষে আসেন, তাহা হইলে তাহার সার্থকতা স্বীকৃত হইবে । ইংলণ্ডে পণ্ডিত জবাহরলাল নেহরু পণ্ডিত জবাহরলাল নেহরু দুই বৎসরের জন্য কারারুদ্ধ হইয়াছিলেন । বৰ্ত্তমান ফেব্রুয়ারী মাসের ১৫ই তারিখে তাহার খালাস পাইবার কথা ছিল। কিন্তু তাহার স্ত্রী শ্ৰীমতী কমল নেহরুর ইউরোপে পীড়া খুব বুদ্ধি পাওয়ায় র্তাহাকে দেখিতে ও র্তাহার নিকট থাকিতে সমর্থ করিবার নিমিত্ত র্তাহাকে আগেই খালাস দেওয়া হয়। র্তাহার স্ত্রীর স্বাস্থ্য কিছু ভাল হওয়ায় তিনি জামেনী হইতে ইংলও গিয়াছেন, এবং সেখানে তাহার খুব অভ্যর্থনা হইয়াছে। বকৃতাও তিনি অনেকগুলি করিয়াছেন এবং তাহাতে অনেক স্পষ্ট কথা বলিয়াছেন। নূতন ভারতশাসন আইন সম্বন্ধে তিনি যাহা বলিয়াছেন, তাহার কোন কোন অংশ রয়টারের তারের খবরে এদেশে পৌছিয়াছে। রয়টারের খবরে জানা যায়, পণ্ডিতজীর মতে ॐ श्राद्धेन তুচ্ছ ("trivial”) or ভারতবর্ষের এখন যতগুলি সঙ্গীন সমস্ত আছে তাহার কোনটিরই সমাধান উহার দ্বারা হইবে না । তিনি আরও বলিয়াছেন, যে, ঐ আইনটি এরূপ যে উহাতে পরোক্ষ ভাবে মাহুষকে বিদ্রোহপ্রবণ করিবে । ইংলণ্ডের সাম্রাজ্যোপাসক লোকেরা এরকম কথা শুনিতে প্রস্তুত নয়। এই জন্ত পালেমেন্টে প্রশ্ন হইয়াছে, যে, পণ্ডিত জবাহরলালের কারামুক্তির দিন ধখন ১৫ই ফেব্রুয়ারী তখন ॐशक ऊांशंद्र शू6 हेरण७ जांगिटङ ७ ऊषांब वङ्कङ আদি দ্বারা স্বীয় রাজনৈতিক মত গুচার করিতে কেন দেওয়া ইল। সহকারী ভারত-সচিব মিঃ বাটলার উত্তরে i. عياد حس غاج বলিয়াছেন, মিঃ নেহরুকে ছাড়িয়া দিবার পূৰ্ব্বে তাহার সহিত গবন্মেন্টের কিছু চিঠি লেখালেখি হয় এবং এইরূপ স্থির হয় ষে ইউরোপে সৰ্ব্বত্র তাহার চলাফের ও মত প্রকাশাদির স্বাধীনতা থাকিবে। পণ্ডিতজীর ইউরোপ-যাত্রার সময় এরূপ কথা খবরের কাগজে বাহির হইয়াছিল বটে, যে, তিনি কোন সৰ্ত্তে আবদ্ধ হইয়া মুমূৰু স্ত্রীকে দেখিতেও যাইতে রাজী নহেন। এইরূপ দৃঢ়তা প্রদর্শন যে ঠিকৃ হইয়াছিল, এখন তাহা স্বম্পষ্ট হইয়াছে। জবাহরলাল ভারতবর্ষে পূর্ণস্বরাজ স্থাপন চান। স্বতরাং র্তাহার রাষ্ট্রনৈতিক উক্তিসমূহ স্বাধীনতাকামী প্রত্যেক ভারতীয়ের ভাল লাগিবে। সাম্প্রদায়িক ভাগবাটোয়ারায় বঙ্গের বাঙালীদের খুব আপত্তির কারণ আছে তাহ! তিনি পরিষ্কার করিয়া বলিয়াছেন। এই মর্শের কথাও বলিয়াছেন, যে, বঙ্গে হিন্দু শিক্ষিত শ্রেণীর লোকদিগকে প্রভাবহীন ও শক্তিহীন করা এই সাম্প্রদায়িক সিদ্ধাস্তের অভিপ্রায় । পণ্ডিতজীর মতে ভারতবর্ষের সাম্প্রদায়িক ঝগড়াবিবাদের মূল ধর্মবিষ্ণুক অনৈক্য নহে, উহার কারণ অর্থনৈতিক। এই মত সম্পূর্ণ অমূলক নহে, সম্পূর্ণ সত্যও নহে। পণ্ডিতজী সমাজতন্ত্রবাদী (socialist), তাহাকে সাম্যবাদীও মনে করা যাইতে পারে। স্বতরাং তিনি ধনিকদের ধন বাজেয়াপ্ত করা সম্বন্ধে যে মত প্রকাশ করিয়াছেন, তাহাতে বিস্ময়ের কারণ নাই । কিন্তু এই মত প্রকাশিত হওয়ায় বোম্বাইয়ের ধনিক মহলে চাঞ্চল্য উপস্থিত হইয়াছে। কংগ্রেসের কাজে তথাকার ধনিকরা এই জন্য টাকা ন-দিতেও পারেন। জবাহরলালের কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন পণ্ডিত জবাহরলাল নেহরু ভারতবর্ষের ২১টি কংগ্রেস প্রদেশের মধ্যে ১৯টি দ্বারা কংগ্রেসের আগামী অধিবেশনের সভাপতি নিৰ্ব্বাচিত হইয়াছেন। বাকী একটি—বাংলা প্রদেশ —প্রতিনিধি নির্বাচন করিতে পারে নাই বলিয়া এ-বিষয়ে কোন মত বঙ্গের পক্ষ হইতে প্রকাশিত হয় নাই। অপরটি উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে । তথায় এখনও সমুদয় কংগ্রেসপ্রতিষ্ঠান সরকারী হুকুমে নিষিদ্ধ সমিতির অন্তভূর্ত বলিয়া ঐ প্রদেশও এ-বিষয়ে মত প্রকাশ করিতে পারে নাই। ১৯টি কংগ্রেস প্রদেশের কংগ্রেগওয়ালারা যে তাহাকে মনোনীত