পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ששאף প্রবাসী SN98R বৎসর বয়সে র্তাহার মৃত্যু হইয়াছে। তিনি বাংলার স্থলেখক ছিলেন । ঋতেন্দ্রনাথ ঠাকুর রবীন্দ্রনাথের অন্ততম ভ্রাতুপুত্র শ্ৰীযুক্ত ঋতেন্দ্রনাথ ঠাকুরের হঠাৎ মৃত্যু হইয়াছে। তিনি ভারতবর্ষের প্রাচীন রীতিনীতি সম্বন্ধে বহু অধ্যয়ন ও আলোচনা করিয়াছিলেন । সাহিত্যক্ষেত্রে তাহার সাধনার পরিচয় তাহার “জয়ন্তী” নামক পুস্তকে श्रृंNeग्न शांध्र । 峨 বঙ্গে “শিক্ষাসপ্তাহ” গত মাসে কলিকাতায় “শিক্ষণসপ্তাহে’র আয়োজন হইয়ছিল। ইহার বক্তৃতাগুলি যাহারা শুনিয়াছেন ও গুনিয়া সে-বিষয়ে চিন্তা করিতে পারিয়াছেন এবং র্যাহারা শিক্ষা দিবার নানা আধুনিক সাজসরঞ্জাম প্রভৃতির প্রদর্শনী দেখিয়াছেন, শিক্ষা সম্বন্ধে তাঁহাদের জ্ঞান বাড়িয়াছে। সেদিক দিয়া শিক্ষাসপ্তাহটি আংশিক ভাবে ফলপ্রদ হইয়াছে। কিন্তু সভা বিদেশসমূহে প্রচলিত আধুনিক সাজসরঞ্জাম ও যন্ত্রাদি কিনিবার টাকা দেশের সাধারণ লোকের নাই এবং গবন্মেটিও শিক্ষার জন্য ব্যয় করা অপেক্ষা অন্ত নানাবিধ ব্যয় বেশী আবশুক মনে করেন । স্বতরাং, কোন দরিত্র দেশে অৰ্দ্ধাশন-অনশনক্লিষ্ট ক্ষুধিত লোকদের জন্ত যদি রাজভোগের প্রদর্শনী করা হয় এবং তাহার উৎকর্ষ ও প্রয়োজন সম্বন্ধে বক্তৃত হয়, অথচ তাহদের রাজভোগ পাইবার মত অর্থলাভের কোন ব্যবস্থা না থাকে, এই শিক্ষাসপ্তাহও অনেকটা সেই প্রকার হইয়াছিল। বঙ্গের গবর্ণর যে ইহার প্রারম্ভিক বক্তৃতা করেন, তাহাতে জানা যায়, যে, তিনি জানেন আমাদের বিদ্যালয়সকলের শিক্ষকদিগকে ষথেষ্ট বেতন দিবার টাকা নাই, তাহা দিয়া উদ্ধৃত্ত কিছু থাকিলে তবে সাজসরঞ্জামাদি হইতে পারে ; কিন্তু উদৃত্ত হয় না, হইতে পারে না; গবয়েন্টের নিকট হইতেও এখনকার চেয়ে বেশী টাকা দেশ পাইবে না। সুতরাং শিক্ষাসপ্তাহটি এক দিক্ দিয়া যেমন কিছু ফলপ্রদ বলিয়াছি, অন্ত দিক্ দিয়া তেমনই তাহাকে একটা অনভিপ্রেত বিদ্ধপও বলা যাইতে পারে। শিক্ষাসপ্তাহ মুখ্যতঃ শিক্ষকদের জন্ত এবং তাহার পর শিক্ষিত সাধারণের জন্ত। কিন্তু খবরের কাগজে দেখিলাম, যে, যে ষোল-সতর শত শিক্ষক নিমন্ত্রিত হইয়া আসিয়াছিলেন, র্তাহারা অনেকেই প্রথম দিন প্রবেশলাভ করিতে পারেন নাই, অনেকে পুলিস দ্বারা দেহ ও পরিচ্ছদ হাতড়ানর পরেও ঢুকিতে পান নাই। তাহার কারণ, বঙ্গের গবর্ণরকে নিরাপদ রাখা আবশুক বিবেচিত হইয়াছিল। র্তাহার দেহরক্ষা ও প্রাণরক্ষা অবশ্যই কৰ্ত্তব্য। কিন্তু তাহা হইলে হয় শিক্ষকদিগকে নিমন্ত্রণ না-করা উচিত ছিল, কিংবা র্তাহাদিগকে অনুসন্ধানানস্তর ঢুকিতে দেওয়া উচিত ছিল, কিংবা গবর্ণর বাহাদুরের বক্তৃতাস্থলে না আসিয়া প্রাসাদ হইতে রেডিওর সাহায্যে বক্তৃতী ব্রডকাষ্ট করা উচিত ছিল। মনে পড়ে, একদা একটি সরকারী অনুষ্ঠানে সব সৈয়দ শামস্থল হুদার গাড়ী এক কনষ্টেবল অগ্রসর হইতে দেয় নাই ; তাহতে তাৎকালিক বঙ্গের গবর্ণর লর্ড কারমাইকেল স্বয়ং দুঃখ প্রকাশ করিয়া মাফ চাহিয়াছিলেন। অবশু তিনি ছিলেন লর্ড কারমাইকেল এবং র্যাহার অগ্রগতি বাধা পাইয়াছিল তিনি মান্তগণ্য লোক, অজ্ঞাত অখ্যাত বিদ্যালয়ের শিক্ষক नcश्न ! দেশে বিদ্যাদানের আয়োজন যে অতি সামান্য এবং সেই আয়োজনে মৌলিক ও অন্তবিধ দোষক্ৰটি অনেক আছে, আশা করি শিক্ষাসপ্তাহের আড়ম্বরে সেই দুঃখকর, অনিষ্টকর ও লজ্জাজনক তথ্যটি চাপা পড়িয়া যাইবে না। শিক্ষার নানা সমস্যা সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ শিক্ষাসপ্তাহে রবীন্দ্রনাথ শিক্ষার নানা সমস্ত সম্বন্ধে যাহা বলেন, তাহাই এই অনুষ্ঠানটির প্রধান জিনিষ । এই বক্তৃতাটিতে তিনি যাহা বলেন, তাহা তাহার আগেকার অনেক কথার পুনরাবৃত্তি বটে, কিন্তু তাহার অনুকরণাতীত নিত্যনব অনবদ্য কৃথনভী সেগুলিকে নূতনের বেশ দিয়াছে। আমরাও এইরূপ কোন কোন তত্ত্ব ও তথ্য অনেক বার বলিয়াছি, কিন্তু কবি র্তাহার কথাকে যে অলঙ্কারে সাজাইয়া মনোজ্ঞ করিতে পারিয়াছেন ও ষে রসে আপ্লুত করিয়া উপভোগ্য