পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳՅo প্রবাসী S\రికిక్చా विगङ्ग। cनई कथाझे३ रुणtठ कई। cनई अडांदछ। जिक्र यथांप्यांना पञांश्वtरब्रग्न छाड्छांद ! দেশের খালবিল নদী-নালায় আজ জল শুকিয়ে এল, তেমনি রাজার অনাদরে আধমরা হয়ে এল সৰ্ব্বসাধারণের নিরক্ষমতা দূর করবার স্বাদেশিক ব্যবস্থ৷ 瞳 আমাদের দেশে মানুষকে লিখনপঠনক্ষম করিবার আয়োজন, অর্থাৎ প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা, এখনকার চেয়ে জাগে প্রচুর ও ব্যাপক ছিল, তাহা আমরা বার বার তাথ্যিক সংখ্যা সহযোগে ও অনেক ইংরেজের সাক্ষ্য হইতে প্রমাণ করিয়াছি। কবিও বলিতেছেন— ● রামমোহন রায়ের বন্ধু পত্রি এডাম সাহেব বাংলা দেশের প্রাথমিক শিক্ষার যে রিপোট প্রকাশ করেন তাতে দেখা যায়, বাংল৷ বিহারে এক লক্ষের উপর পাঠশালা ছিল; দেখা যায়, প্রায় প্রত্যেক গ্রামেই ছিল জনসাধারণকে অস্থত নুন্নতম শিক্ষাদানের ব্যবস্থা । এছাড়, প্রায় তখনকার ধনী মাত্রেই অীপন চণ্ডীমণ্ডপে সামাজিক কৰ্ত্তব্যের অঙ্গরূপে পাঠশালা রাখতেন, গুরুমশায় বৃত্তি ও বাস পেতেন উারই কাছ গেৰেক । রবীন্দ্রনাথ তাহার বক্তৃতা এই বলিয়া শেষ করিয়াছেন— অবশেষে আমার নিবেদন এই যে, আজি কোনো ভগীরথ বাংলাভাষায় শিক্ষাশ্রোতকে বিশ্ববিদ্যার সমুদ্র পর্য্যন্ত নিয়ে চলুন, দেশের সহস্ৰ সহস্ৰ মন মুখতার অভিশাপে প্রাণহীন হয়ে পড়ে আছে; এই সঞ্জীবনীধারার স্পর্শে বেঁচে উঠুক, পৃথিবীর কাছে আমাদের উপেক্ষিত মাতৃভাষার লজ্জ দূর হোক, বিদ্যাবিতরণের অন্নসত্র স্বদেশের নিত্যসম্পদ হয়ে আমাদের আতিথ্যের গৌরব রক্ষা করুক। জানিনে, হয়তে অভিজ্ঞ ব্যক্তি বলবেন, একথাটা কাজের কথা নয়, এ কবিকল্পনা । ত হোক, আমি বলব, আজ পর্য্যন্ত কেজে-কথায় কেবল জোড়াতাড়ার কাজ চলেছে, স্বষ্টি হয়েছে কল্পনার বলে। নারীহরণকারীদের বেত্ৰদণ্ডের উদ্যোগ নারীহরণকারীদের বেত্ৰদণ্ড দিবার আইন বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সাহায্যে প্রণয়ন করিবার চেষ্টা সরকার পক্ষ হইতে হইতেছে। ইহা খুবই আবগুক। এরূপ ছুবৃত্তদের অর্থাও, কারাদও, বেত্ৰদণ্ড এবং স্থলবিশেষে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হওয়া উচিত। তম্ভিয়, যে-সব লোক নারীহরণকারীদিগকে গ্রাম হইতে গ্রামান্তরে অপহৃত নারীকে লইয়া যাইতে ও স্ব স্ব গৃহে লুকাইয়া রাখিতে সাহায্য করে, তাহদেরও সমুচিত শাস্তি হওয়া উচিত। কচুরীপানা উচ্ছেদ আইন কচুরী পানার দ্বারা বঙ্গের প্রভূত ক্ষতি হইয়াছে ও হইতেছে। ইহার আক্রমণ ও বিস্তারে বিস্তর শস্তক্ষেত্র চাষের অনুপযোগী হইয়া গিয়াছে, অনেক নদীনালা নৌকা চালাইবার অনুপযোগী হইয়াছে এবং অনেক পুষ্করিণী খাল বিল অব্যবহার্ষ্য হইয়া পড়িয়াছে। হয়ত ম্যালেরিয়ার বিস্তারও পরোক্ষ ভাবে ইহার দ্বারা হইতেছে। এই হেতু ইহার উচ্ছেদ আবখ্যক বিবেচিত হইয়াছে। আমাদের বিবেচনায় ইহার নিয়ন্ত্রণ দ্বারা স্বব্যবহার সম্ভবপর না হইলে উচ্ছেদ সাধন অবশু কৰ্ত্তব্য । কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান কলেজের ফলিত রসায়নের অধ্যাপক ডক্টর হেমেন্দ্রকুমার সেন বলিয়াছেন, যে, কচুরী পান হইতে, লাভ রাখিয়া, আলকোহল বা স্বরাসার উৎপন্ন হইতে পারে এবং অন্যান্য দ্রব্যও প্রস্তুত হইতে পারে। ইহার পরীক্ষা হওয়া চাই। যদি কচুরী পান হইতে লাভজনক কোন পণ্য দ্রব্য প্রস্তুত হইতে পারে, তাহা হইলে সেই সব পণ্যদ্রব্যের চাহিদা ও কাটতি বুঝিয়৷ তদনুরূপ কচুরী পান থাকিতে দিয়া বা আজাইয়া বাকী নষ্ট করা কৰ্ত্তব্য। বহু দেশমহাদেশে অশান্তি ইটালী আবিসনিয়া আক্রমণ করায় তথায় ঘোরতর যুদ্ধ চলিতেছে এবং ইটালী সেখানে বর্বরাধম ব্যবহার করিতেছে। কিন্তু কেবলমাত্র আবিসনিয়াতেই যে অশাস্তি বিদ্যমান তাহা নহে। সরিয়ায় ফরাসীদের প্রভুত্বের বিরুদ্ধে আন্দোলন প্রবলভাবে চলিতেছে। ফলে সেখানে দাঙ্গা হাঙ্গামা প্রাণনাশ হইয়া গিয়াছে এবং ফরাসী পণ্যদ্রব্যের বয়কট ঘোষিত হইয়াছে। প্যালেষ্টাইনে ব্রিটিশ মুকুব্বির আশ্রয়ে অত্যন্ত বেশী ইহুদী আসিয়াছে এই অজুহাতে তথাকার আরবেরা দাবী করিয়াছেন, যে, প্যালেষ্টাইনে আর ইহুদীদের মাগমন কিছুকাল বন্ধ থাক ; কিন্তু ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সচিৰ এই দাবী মানেন নাই। রাশিয়ার মাঞ্চুরিয়া সীমান্তে রাশিয়া ও জাপানের যে ছোটখাট সংঘর্ষ হইয়াছে, তাহা বৃহত্তর যুদ্ধে পরিণত হইতে পারে। মাঞ্চুরিয়ার