পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

שריר প্রবাসী ১৩৪ই মৌলিক গবেষণা করেছেন। তিনি প্রমাণ করেছেন যে স্বর্ঘ্যের আকাশে ধাতুর অসংখ্য পরমাণু ক্রমাগতই ভীষণ গতিতে ছুটাছুটি করে বেড়াচ্ছে এবং পরস্পরের সঙ্গে বার বার ধাক্কা খাচ্ছে। তার ফলে পরমাণু থেকে বিদ্যুতিন fবচ্ছুরিত হচ্ছে । এই সকল বিদ্যুতিন হয়ত আবার ঐ পরমাণুর সঙ্গে মিশে পূর্বের আকার প্রাপ্ত হয় । বিদ্যুতিন যে স্বৰ্য্য থেকে উৎক্ষিপ্ত হ’তে পারে সে সম্বন্ধে ডক্টর সাহ কিছু বলেন নি। তার পর অধ্যাপক মিলনে দেখান যে স্বর্ঘ্যের ভিতরকার বিদ্যুতিন সকল বাইরের আকাশে আসতে পারত যদি বিচ্ছুরণ-চাপ, মাধ্যাকর্ষণ ও স্থিরবৈদ্যুভিক চাপের অপেক্ষা বেশী হ’ত। কেবলমাত্র বিদ্যুতিন বের হতে পারে না। তার সঙ্গে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক দুরকমই বিদ্যুতাশ্রিত অণু-পরমাণু এবং বিদ্যুংহীন পরমাণু (neutral atoms) s fa:ws z 1 GHzēts qș sfērā মাইল বেগে ওর। পৃথিবীর দিকে আসতে থাকে। বিদ্যুতিনদের বিচ্ছুরণ-চাপ (radiation pressure, fx x'ta sai থাকে ধনাত্মক বিদ্যুতের পিছনে । সুতরাং স্বৰ্য্য থেকে উৎক্ষিপ্ত জলকণার যে স্রোত তার সাম্নেটা হয় ধনাত্মক আর পিছনটা হয় ঋণাত্মক । সেকেণ্ডে হাজার মাইল বেগে আসতে আসতে যখন ওরা পৃথিবীর চুম্বক-ক্ষেত্রের নিকট পৌছয় তখন হয় ওদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি। বিদ্যুতাশ্রিত অণু-পরমাণু সকল এই চুম্বকক্ষেত্রদ্বারা প্রতিহত হয়ে মেরুপ্রান্তে ছুটে যায় এবং সেখানে গিয়ে তাদের যত কিছু শক্তি আশপাশের বায়ুরাশিতে ছেড়ে দেয় আর তার ফলে সমস্ত আকাশ কিছুক্ষণের জন্য অতি তীব্র আলোয় আলোকিত হ’য়ে পড়ে। এই ঘটনার নাম অরোরা। আর বিদ্যুৎইন জড়কণাগুলি চুম্বকক্ষেত্রদ্বারা প্রতিহত না হয়ে সোজা আসতে থাকে নীচের দিকে এবং শেষে ই-স্তরকে বিদ্যুৎপরিচালক করে । বাস্তবিক এই জড়কণা ও অতিবেগুনী রশ্মি বিদ্যুৎমণ্ডলের উৎপত্তির কারণ কিনা তা প্রমাণ করবার জন্য সারা ইউরোপ, আমেরিকা, জাপান ও কলিকাতায় পরীক্ষা ক'রে দেখা হয়েছে। এ বিষয়ে মীমাংসা করতে হ’লে স্বৰ্য্যগ্রহণই প্রশস্ত সময়। কারণ এই সময় চন্দ্র, স্বৰ্ষ্য ও পৃথিবীর মধ্যে এসে পড়ে। সেই সময় অতিবেগুনা রশ্মি ও জড়কণার দরুণ যে কিরণস্রোত—উভয়ই চন্দ্রদ্বারা প্রতিহত হবে এবং সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ-মণ্ডলের পরিচালকত্ব ধৰ্ম্ম হ্রাস পাবে। কিন্তু সূৰ্য্য হ’তে আলো সেকেণ্ডে ১৮৬০০০ মাইল এবং জড়কণা সেকেণ্ডে এক হাজার মাইল বেগে পৃথিবীর দিকে ছুটে আসছে। সুতরাং এই দুইয়ের জন্য যে দু'বার গ্রহণ হবে তা' কখনও এক সময়ে হবে না। একটু আগে-পিছে হবেই। (ছবি দেখুন) অতিবেগুনী রশ্মির জন্য যে গ্রহণ হবে তার প্রায় ছ’ঘণ্টা আগে হবে জড়কণার দরুন গ্রহণটা। প্রত্যেক গ্রহণের সময় যদি আমরা বিদ্যুৎ-মণ্ডলের দুটি স্তরের বিদ্যুৎপরিচালকত্ব মাপি এবং অন্য সময়ের তুলনায় যদি হঠাৎ হ্রাসবৃদ্ধি লক্ষ্য করি তবেই বলতে পারব কোনটার জন্য বিদ্যুৎ-মণ্ডল ঐ ধৰ্ম্মলাভ করেছে। ১৯৩৩ সালের অগষ্ট মাসে স্বৰ্য্যগ্রহণের সময় কলিকাতা বিজ্ঞান কলেজে এইজন্য পরীক্ষা হয়। তাতে দেখা যায় যে স্বৰ্য্যগ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে যখন সারা পৃথিবী অন্ধকারে ঢেকে গেল বিদ্যুৎ-মণ্ডলের পরিচালকত্ব ধৰ্ম্মও হ্রাস পে’ল। গ্রহণ ছেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু সেই ধৰ্ম্ম আবার বেড়ে গেল। জড়কণার দক্ষণ গ্রহণের সময় কোন পরিবর্তনই লক্ষিত হ’ল না। এর থেকে প্রমাণ হল যে স্থধ্যের অতিবেগুনী রশ্মিই বিদ্যুৎ-মণ্ডলের উৎপত্তির কারণ এবং সুর্য্য থেকে উৎক্ষিপ্ত জড়কণার বিশেষ কোন প্রভাব নেই বিদ্যুৎ-মণ্ডলের উপর। ইউরোপ * আমেরিকায় এইরূপই স্থির হয়েছে। কিন্তু বাটন এবং